ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সংযোগ সড়কের অভাবে ভোগান্তিতে মানুষ

পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৫ বছর

সংবাদদাতা, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:৩০, ৪ জুন ২০২৩

পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৫ বছর

সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের আঙ্গুটিয়া গ্রামে খালের ওপর নির্মিত সড়কবিহীন সেতু

সাটুরিয়া উপজেলার দীঘলিয়া ইউনিয়নের আঙ্গুটিয়া গ্রামে খালের ওপর নির্মিত সড়কবিহীন সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে প্রায় ২৫ বছর। জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুটি কোনো কাজেই আসেনি বরং ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামের হাজারো মানুষ। 
সরু খালের ওপর নির্মিত সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল অনেক নিচু করে, যার ফলে সেতুটির নিচ দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এলাকার কৃষিজীবী মানুষের। তারা বলেন, আমাদের আবাদি জমির ফসল এই সেতুর নিচ দিয়ে আনা-নেওয়াই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেতুটির চারদিকের রেলিংয়ে ভাঙন ধরেছে। এছাড়াও সেতুর নিচের অংশের প্রলেপ খুলে-খুলে পড়ছে ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সেতুটির চারপাশ আগাছা ও জঙ্গলে ভরে যাওয়ায় দিনের বেলাতেও সেতুর চারপাশে অন্ধকার মনে হয়। তারা অকেজো এই সেতুটির দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।
আংগুটিয়া গ্রামের কৃষক নয়া মিয়া বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে খাই। মাথায় ফসলের বোঝা নিয়ে এই সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করতে হয়। সেতুটি অনেক নিচু হওয়ার কারণে আমাদেরকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, গত বছর ধানের মৌসুমে মাথায় ধানের বোঝা নিয়ে সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুর কার্নিশে বেজে পড়ে যাওয়ার ফলে আমি ঘাড়ে ব্যথা পেয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম। কৃষক নায়েব আলী বলেন, আমরা কৃষিজীবী মানুষ। সারা বছরই আমাদের উৎপাদিত ফসলের বোঝা নিয়ে এই সেতুর নিচ দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬০ ফুট দীর্ঘ সরু খালের ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে।

সেতুটি নির্মাণের আগে কথা ছিল এলাকাবাসী সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক করার জন্য তাদের জমি ছেড়ে দিবে, কিন্তু পরে তারা তাদের জমি ছেড়ে না দেওয়ায় সেতুটি নির্মাণের পর থেকে, দুপাশের সংযোগ সড়ক ছাড়াই এই ভাবেই পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসী বলেন, সেতুটি সচল থাকলে আংগুটিয়ার সঙ্গে পৌলশুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কড়াইল গ্রামে মানুষ সহজে চলাচল করতে পারত। দীঘলিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল আলম জুয়েল জানান, সেতুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে বলা হয়েছে। তারা সেতুটির প্রয়োজনীয় নথিপত্র খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম বলেন, যেহেতু সেতুটি অনেক পুরনো, তাই এর নথিপত্র আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে হবে। খোঁজ খবর নিয়ে সেতুটি অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

রায়গঞ্জে রেলিং নেই ব্রিজের দুর্ভোগ মানুষের
নিজস্ব সংবাদদাতা রায়গঞ্জ সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, রায়গঞ্জে চকনুর- কুটারগাতি সড়কের চকনুর খালের ওপর নির্মিত ব্রিজের দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে দীর্ঘদিন যাবৎ। রেলিং ছাড়া ব্রিজে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর দাবি ব্রিজের রেলিং সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করে তোলা। উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মহালম জানান, চকনুর-কুটারগাতি রাস্তার চকনুর খালের ওপর বিগত ৮৮ সালের বন্যার পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে। এই রাস্তার সঙ্গেই রয়েছে চকনুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোদগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চকনুর হাফেজিয়া মাদ্রাসা।

পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের বিষয়টি উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ বলেন, সমস্যাটি তার জানা নেই। তবে দুএক দিনের মধ্যেই সরেজমিন পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

×