নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠির নলছিটিতে সুগন্ধা নদীর আকস্মিক ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে। ভেঙে গেছে একটি সেতুর একাংশ। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে নলছিটির সঙ্গে ঝালকাঠির গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে বিকট শব্দে ফেরির গ্যাংওয়ে ভেঙে পড়ে নদীতে। মুহূর্তের মধ্যে নদীতে বিলিন হয়ে যায় ফেরিঘাটের চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ট্রলার শ্রমিকদের একটি অফিস কক্ষ। এলাকার লোকজন এসে নদী থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কিছু মালামাল উদ্ধার করতে পারলেও বেশিরভাগ নদীতে তলিয়ে গেছে। এতে ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে নদী ভাঙনের শিকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ফেরির গ্যাংওয়ে ভেঙে যাওয়া অনির্দিষ্টাকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ক্রেন এনে নতুন করে গ্যাংওয়ে স্থাপন করার পর ফেরি চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও নদী ভাঙনে ভেঙে গেছে ফেরিঘাট সংলগ্ন একটি সেতুর একাংশ।
স্থানীয়রা জানায়, গত দুই বছর ধরে সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলিন হচ্ছে ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট, বহরমপুর ও কাঠিপাড়া গ্রাম। নদীতে প্রায় ২০টি বসতঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে গেছে। অনেকে কয়েক দফায় ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়েও সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পায়নি। কয়েক দফায় ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার। হুমকির মুখে রয়েছে আরো ৫০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
ষাইটপাকিয়া ফেরির সুপারভাইজার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভাঙনে ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ভেঙে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এখন নতুন করে গ্যাংওয়ে তৈরি করতে হবে। ক্রেন মেশিন দিয়ে নদী থেকে তুলে পুনস্থাপন করার জন্য সময় লাগবে। কবে নাগাদ ফেরি চলাচল শুরু করতে পারবো বলতে পারি না।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এইচ এম আতাউর রহমান বলেন, ষাইটপাকিয়া এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে বরাদ্দ পেলে গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।