
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, আজ রাতের মধ্যেই এসব অঞ্চলে নামতে পারে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি। সতর্কতা হিসেবে সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে দেখাতে বলা হয়েছে এক নম্বর সংকেত।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ (১১ জুন) রাত ১টা পর্যন্ত যেসব এলাকায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো হলো: ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট। এসব অঞ্চলে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুধু রাতেই নয়, আগামীকাল সকাল ৯টা পর্যন্তও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি থাকবে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায়, আর রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশালের দু-এক জায়গায় দেখা দিতে পারে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাতও। চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি মাত্রার ভারী বর্ষণ।
এদিকে গরমের দাপটও পুরোপুরি কমেনি। নীলফামারীর ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মাঝারি তাপপ্রবাহ, আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও আশেপাশের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ, যা কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
তবে স্বস্তির খবর—দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে আসতে পারে, যদিও রাতের তাপমাত্রা থেকে তেমন রেহাই নেই।
পরামর্শ: নদীপথে চলাচলকারীদের সতর্ক থাকা জরুরি। আর শহরবাসী, রাতে ছাতা সঙ্গে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আকাশের আড়ালে লুকানো এই বৈরী বার্তাটি যদি আপনার এলাকাকে ছুঁয়ে যায়, জানুন—এটা বর্ষার আগমনী সুর, সঙ্গে প্রকৃতির একটু রুদ্ররূপও!
Jahan