ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত: ০০:৪৯, ২৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০০:৫০, ২৭ জুলাই ২০২৫

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপ ধীরে ধীরে ঘনিভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, যা এখনো বহাল রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি বর্তমানে ভারতের ছত্তিশগড় এবং তৎসংলগ্ন ঝাড়খণ্ড অঞ্চলে অবস্থান করছে।

এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসে চাপের তারতম্য বিরাজ করছে। উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলগুলোতে অমাবস্যা ও নিম্নচাপের সম্মিলিত প্রভাবে ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে এবং বহু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে আজ থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী এমনকি অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কাও রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আগামীকাল ও পরশুদিন বৃষ্টিপাতের এলাকা আরও বিস্তৃত হতে পারে এবং তা দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে ২৯ জুলাইয়ের পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও তীব্রতা কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে বৃষ্টিপাত কমলেও “ভ্যাপসা গরমের” অনুভূতি বজায় থাকবে। বর্ষাকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বেশি থাকার কারণে শরীর থেকে ঘাম ঠিকভাবে বের হতে না পারায় বাস্তব তাপমাত্রার চেয়ে অনুভূত তাপমাত্রা ২–৩ ডিগ্রি বেশি মনে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আজকের দিনেও ঢাকায় তাপমাত্রা প্রায় ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও মানুষ তা ৩৬ ডিগ্রির মতো অনুভব করতে পারে। কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বর্তমানে ৯০% এরও বেশি। যদি বাতাসে আর্দ্রতা ৪০-৪৫% এর মধ্যে থাকত, তাহলে একই তাপমাত্রায় অনুভব করা যেত ২৮ ডিগ্রির মতো।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আজকেও কাছাকাছি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু কিছু স্থানে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে, তবে অধিকাংশ স্থানে তা ৩৬ ডিগ্রির নিচেই থাকবে।

এছাড়া, বন্যা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বৃষ্টির অবদান মাত্র ১০ শতাংশ। অর্থাৎ উজানে যদি ভারী বৃষ্টিপাত না হয় কিংবা সেখান থেকে ঢল নেমে না আসে, তাহলে শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ বৃষ্টির ফলে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হলে, বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা প্রবলভাবে বেড়ে যায়। এই বিষয়ে নজর রাখছে বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।

Jahan

×