ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিনের ৭ মিনিটের গোপন রুটিন!

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২৭ জুলাই ২০২৫

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিনের ৭ মিনিটের গোপন রুটিন!

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান ব্যস্ত জীবনযাত্রায় সুস্থ থাকাটা যেন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। কিন্তু সুখবর হলো, প্রতিদিন মাত্র ৭ মিনিটের একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্কআউট রুটিন অনুসরণ করে আপনি আপনার হৃদপিণ্ডকে রাখতে পারেন তরতাজা ও সতেজ!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে যে স্বল্প সময়ের উচ্চ তীব্রতার ব্যবধান প্রশিক্ষণ (HIIT - High-Intensity Interval Training) হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই পদ্ধতিতে অল্প সময়ের জন্য খুব দ্রুত ও তীব্র ব্যায়াম করা হয়, যা শরীরের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে দ্রুত উন্নত করে।

৭ মিনিটের ওয়ার্কআউট রুটিনটি কেমন হবে?

এই ৭ মিনিটের রুটিনে সাধারণত ৭ থেকে ১০টি ভিন্ন ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত থাকে, যার প্রতিটি ৩০ সেকেন্ড ধরে করা হয়। প্রতিটি ব্যায়ামের মাঝে ১০ সেকেন্ডের বিশ্রাম থাকে। ব্যায়ামগুলি এমনভাবে নির্বাচন করা হয় যা শরীরের প্রধান পেশী গ্রুপগুলিকে সক্রিয় করে এবং হৃদস্পন্দন দ্রুত বাড়ায়।

কিছু সাধারণ ব্যায়াম যা এই রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে:

জাম্পিং জ্যাক (Jumping Jacks): পুরো শরীরকে সক্রিয় করে এবং হৃদস্পন্দন বাড়ায়।

ওয়াল সিট (Wall Sit): পায়ের পেশী শক্তিশালী করে।

পুশ-আপ (Push-ups): বুক, কাঁধ ও হাতের পেশী শক্তিশালী করে।

অ্যাবডোমিনাল ক্রাঞ্চেস (Abdominal Crunches): পেটের পেশী শক্তিশালী করে।

স্টেপ-আপ অন চেয়ার (Step-up onto Chair): পা ও গ্লুটসের পেশী শক্তিশালী করে।

স্কোয়াট (Squats): উরু ও গ্লুটসের পেশী শক্তিশালী করে।

ট্রাইসেপস ডিপ অন চেয়ার (Triceps Dip on Chair): ট্রাইসেপসের পেশী শক্তিশালী করে।

প্ল্যাঙ্ক (Plank): কোর মাসল শক্তিশালী করে।

হাই নিস রানিং ইন প্লেস (High Knees Running in Place): কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে দ্রুত সক্রিয় করে।

লাঞ্জেস (Lunges): পা ও গ্লুটসের পেশী শক্তিশালী করে।

কীভাবে শুরু করবেন?

প্রথমেই মনে রাখা জরুরি যে, যেকোনো নতুন ব্যায়াম শুরু করার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি আপনার কোনো পূর্ব বিদ্যমান স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে।

ওয়ার্ম-আপ: ব্যায়াম শুরু করার আগে ৫ মিনিটের হালকা ওয়ার্ম-আপ করুন। এতে শরীর ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত হবে এবং আঘাতের ঝুঁকি কমবে।

সঠিক ফর্ম: প্রতিটি ব্যায়াম সঠিক ফর্মে করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল ফর্মে ব্যায়াম করলে আঘাত লাগতে পারে এবং এর সুফল পাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে অনলাইন ভিডিও দেখে বা একজন প্রশিক্ষকের সাহায্য নিয়ে সঠিক ফর্ম সম্পর্কে জেনে নিন।

নিয়মিততা: প্রতিদিন ৭ মিনিট করে হলেও নিয়মিত ব্যায়াম করাটা জরুরি। এটি আপনার হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে দীর্ঘমেয়াদে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

ঠান্ডা রাখা: ব্যায়াম শেষে ৫ মিনিটের হালকা কুল-ডাউন এবং স্ট্রেচিং করুন।

এই ৭ মিনিটের ওয়ার্কআউট শুধুমাত্র হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যই নয়, এটি ক্যালরি পোড়াতে, পেশী শক্তিশালী করতে এবং মেজাজ উন্নত করতেও সাহায্য করে। তাই আর দেরি না করে, আজই শুরু করুন আপনার ৭ মিনিটের হার্ট-হেলদি রুটিন এবং থাকুন তরতাজা!

ফারুক

×