ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

দুই সোনালী অতীত ক্লাবের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

পলাশ উপজেলার কাছে রায়পুরা উপজেলার হার

প্রকাশিত: ২০:১৮, ১১ মার্চ ২০২৪

পলাশ উপজেলার কাছে রায়পুরা উপজেলার হার

প্রাণবন্ত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আগে পলাশ ও রায়পুরা সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়রা

নতুন প্রজন্মকে ফুটবল খেলায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পসরায় সাজানো উপভোগ্য এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। তবে এই ম্যাচের খেলোয়াড়দের কেউই কিশোর-তরুণ-যুবক নন। বরং তারা সবাই ঊর্ধ-৪০ বছর বয়সী। কিশোর বয়সে তারা সবাই ছিলেন দুর্দান্ত-কুশলী ফুটবলার। অনেকেই আন্তঃস্কুল, উপজেলা, জেলা, বিভাগ, পাইওনিয়ার, তৃতীয়, দ্বিতীয়, প্রথম বিভাগ ফুটবল খেলেছেন। কেউ কেউ আবার এই গন্ডি পেরিয়ে খেলেছেন জাতীয় দলের হয়েও। সময়ের পরিক্রমায় আজ তাদের বয়স হয়ে গেলেও ফুটবল নৈপুণ্যে বিন্দুমাত্র মরচে ধরেনি। বরং এখন ফুটবল পায়ে তারা যেন সমানে টক্কর দিতে পারেন তরুণদের সঙ্গেও!

৯ মার্চ (শনিবার) এমনই কিছু ফুটবলারদের ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখতে নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র মাঠে উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক দর্শক। তারা প্রাণভরে উপভোগ করলেন দুটি সোনলী অতীত ফুটবল ক্লাবের মুখোমুখি জমজমাট লড়াই। একপক্ষে ছিল স্বাগতিক দল ‘পলাশ উপজেলা সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাব। আর অন্যপক্ষে ছিল রায়পুরা সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাব।

দুই সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের লড়াইয়ে জিতেছে স্বাগতিক পলাশ দল। রায়পুরাকে তারা হারিয়েছে ৩-১ গোলে। বিজয়ী দলের জহির, নয়ন ও রাসেল এবং এবং বিজিত দলের বাদল একটি করে গোল করেন।
পলাশ দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক ছিলেন যথাক্রমে সেলিম ভুঁইয়া ও কামাল হোসেন (জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার)। রায়পুরা দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক ছিলেন যথাক্রমে বাদল মিয়া ও নুর মো. মানিক।
ম্যাচের রেফারি ছিলেন রিয়াজ আহমেদ (বাফুফের তালিকাভুক্ত রেফারি)। সহকারী রেফারি ছিলেন মাসুদুর রহমান এবং রিফাত। প্রাণবন্ত ধারাভাষ্য দেন আবদুর রাজ্জাক ও এমএ হাসেম।

অতিথি হিসেবে খেলাটি উপভোগ করেন পলাশ উপজেলা সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের নির্বাহী পরিষদের অন্যতম উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান ফুলন, শহীদুল ইসলাম (উপবিভাগী প্রকৌশলী, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র), ফারুক আহমেদ (সাংগঠনিক সম্পাদক, সিবিএ), হারুনুর রশীদ (রায়পুরার ইতালি প্রবাসী) ও শফিকুল ইসলাম (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রায়পুরা) সহ আরও অনেকেই।

উল্লেখ্য, নরসিংদীর ঘোড়াশালের ওয়াপদা গেটে “পলাশ উপজেলা সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাব”প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ১৭ জুন। এই ক্লাবের স্লোগান হচ্ছে- “ক্রীড়াই শক্তি, ঐক্যের ভিত্তি। এটি একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ক্রীড়া সংগঠন। সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো পলাশ উপজেলার সব সাবেক ফুটবলার ও ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়ামোদী ব্যক্তিদের একত্রিত করে ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা, নব প্রজন্মকে ফুটবল খেলায় উৎসাহিত করা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা, ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা, দেশের অন্যান্য স্থানে অবস্থিত সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত সোনালী অতীত ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা, ফুটবলের হারানো গৌরবকে পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট থাকা এবং বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা। ইতোমধ্যেই সংগঠনটির লিখিত গঠনতন্ত্র, মনোগ্রাম, বিশেষ টি-শার্ট এবং দুই ধরনের জার্সি তৈরি করা হয়েছে। খেলেছে একাধিক প্রীতি ম্যাচ। এই ক্লাবের পাঁচ ধরনের সদস্য আছে ক্লাবটির-পৃষ্ঠপোষক সদস্য, আজীবন সদস্য, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাধারণ সদস্য এবং প্রবাসী সদস্য।

 

 

রুমেল খান

×