
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক অনন্য প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল “সম্প্রীতিই শক্তি”। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা আয়োজনে অংশ নেন।
আজ রবিবার( ৮জুন)রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় খানসামা উপজেলা পরিষদ রুকুসা এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ফুটবল ম্যাচটি । বিকেল ৬টায় উপজেলার প্রানকেন্দ্র জিয়া মাঠে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় অংশ গ্রহন করে খানসামা উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।খেলার আগে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচিত পর্ব শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২সেশনের শিক্ষার্থী রাশেদ মিলন। এ সময় তিনি বলেন,আমরা এই খেলা ২০১৩ সাল থেকে চালু রেখেছি।এটার মূল কারন ছিল সকলে এক সঙ্গে হয়ে মিলনমেলার আয়োজন করা। আজকের তরুণরা সমাজের শক্তি। তাদের মধ্যে সম্প্রীতির এই চর্চা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া।
ম্যাচে অংশ নেওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মো আনাজ ইসলাম বলেন, এই খেলায় জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। সবচেয়ে বড় কথা আমরা একসাথে ছিলাম, একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করেছি।
এ সময় রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নির্মল চন্দ্র রায় বলেন,এখানে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে হয়তো সুযোগ দিতে না পারলল সবাই মিলে একসাথে হয়েছি এটাই আমাদের অন্যতম প্রাপ্তি৷খানসামার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংহতি ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে এমন আয়োজন সামনেন নিয়মিত করা হবে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি খানসামা উপজেলা স্টুডেন্ট সোসাইটি এর সভাপতি শাহিন আলম বলেন,সভাপতির অনুভূতি
ঈদের আনন্দকে আরও প্রাণবন্ত করতে এবং খানসামা উপজেলার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও বন্ধনের চর্চা করতে প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা আয়োজন করেছি এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ—ঢাকা একাদশ বনাম রাজশাহী একাদশ।
এটি শুধুমাত্র একটি খেলা নয়, বরং আমরা বিশ্বাস করি, এটি আমাদের ঐক্য, পারস্পরিক পরিচয় ও বন্ধুত্বের মঞ্চ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে থাকা আমাদের ছাত্রবন্ধুরা যখন একত্রিত হয়, তখন তৈরি হয় এক অনন্য মিলনমেলা।
আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও উপস্থিতিই আমাদের উৎসাহ এবং আগামী দিনের পথচলার অনুপ্রেরণা।
উল্লেখ্য, খেলাটি হয় মূলত দুটি দলে ভাগ হয়ে
যমুনা নদীকে মধ্যবর্তী স্থান ধরে যমুনার পশ্চিম পাড়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মিলে রাজশাহী একাদশ ও পূর্বপাড়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মিলে ঢাকা একাদশ। ঢাকা একাদশের হয়ে অংশগ্রহণ করে ঢাবি,জাবি,চবি,চুয়েট,জবি,বুয়েট,ডুয়েট,সাস্ট,শেকৃবি সহ আরো কয়েকটি বিশ্বিবদ্যালয়। ঢাকা একাদশের হয়ে ঢাবি সমন্বয় সাধন করে। আর রাজশাহী একাদশের হয়ে অংশগ্রহণ করে রাবি,রুয়েট,বেরোবি,হাবিপ্রবি, ইবি,পাবিপ্রবি,যবিপ্রবি,খুবি,কুয়েট সহ আরো কয়েকটি বিশ্বিবদ্যালয়। এই একাদশে রাবি সমন্বয় সাধন করে। খেলায় রাজশাহী একাদশ কে এক গোলে হারিয়ে ঢাকা একাদশ ম্যাচে জয়লাভ করে।বিজয়ীদের হাতে শেষে কাপ তুলে দেওয়া হয়।
Jahan