ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল নিয়ে শান্তর লক্ষ্য

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ৩০ মে ২০২৪

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল নিয়ে শান্তর লক্ষ্য

শান্ত-সাকিবদের এমন চওড়া হাসিই বিশ্বকাপে দেখতে চান দেশবাসী

এবার টি২০ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে। আগের ৮টি আসরে অংশ নিয়ে আহামরি কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। তাই অনেক আগেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে বেশি মাতামাতি না করার আহ্বান জানিয়ে রাখেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে দলের ও নিজের লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যের কথা না জানিয়ে সামর্থ্য অনুসারে নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দেওয়ার ওপরেই জোর দিয়েছেন তিনি। এই বিশ^কাপে দলের অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়েও নিজের চাওয়ার কথা জানিয়েছেন শান্ত। 
প্রতি বিশ^কাপেই দারুণ কিছু করার প্রত্যাশা নিয়ে যাত্রা করা বাংলাদেশ হতাশায় নিমজ্জিত হয়। আগের ৮ বার টি২০ বিশ^কাপ থেকে কিছুই পায়নি বাংলাদেশ দল। অথচ অধিনায়করা আশার বাণী শুনিয়ে যান। এবার সেই পথে হাঁটেননি শান্ত। যদিও তিনি বলেছেন, ‘সম্ভাবনা আমি বলতেই চাই না। কারণ আপনিও চান বাংলাদেশ শিরোপা জিতুক।

খেলোয়াড়েরাও চায় বাংলাদেশ দল কাপ জিতুক। এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।’ এই লক্ষ্যটা সবার থাকলেও বরং নিজেদের সামর্থ্য অনুসারে প্রতি ম্যাচে পারফর্ম করার ওপরেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত। কারণ সেক্ষেত্রেই ভালো কিছু করা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রস্তুতিটা ঠিকমতো নিয়েছি কি না, ছোট ছোট কাজগুলো করছি কি না, প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কি না এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে করতে পারি, প্রতিটি ম্যাচে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ফল আসবেই।

তাই ফল নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। ছোট ছোট জিনিসগুলো যেন আমরা ঠিক করতে পারি, এটা নিয়েই বেশি মনোযোগী।’ খুব বেশিদিন আগে অধিনায়ক হননি শান্ত। তবে সিনিয়র-জুনিয়রদের মাঝে মেল বন্ধন ঘটেছে তার। অভিজ্ঞতমদের সঙ্গে, সমবয়সীদের সঙ্গে এবং জুনিয়রদের সঙ্গে অনেকগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে। নিজের নেতৃত্ব নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘অধিনায়ক হওয়া নিয়ে অনেক বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেছে এভাবেও চিন্তা করতে চাই না। প্রত্যেকটা সময় উপভোগ করতে চাই।

প্রত্যেকদিন দলকে যেন কিছু একটা দিতে পারি এটাই মূল লক্ষ্য থাকবে আর কি।’ ক্রিকেটারদের স্বপ্ন থাকে বিশ^কাপ খেলার, জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার। এর পাশাপাশি শান্ত সৌভাগ্যবান হিসেবে বিশ^কাপে নেতৃত্বই দিতে চলেছেন। 
তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই এমন স্বপ্ন থাকে যে প্রথমে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা অবশ্যই। তারপর যদি আবার বিশ্বকাপের মতো একটা আসরে এ ধরনের সুযোগ আসে তাহলে তো ওই ক্রিকেটারের জন্য গর্বের বিষয়। অনেক রোমাঞ্চকর একটা মুহূর্ত আমার কাছে মনে হয়।’ অভিজ্ঞতম সাকিব-মাহমুদুল্লাহকে পাশে পাবেন তিনি সবসময়ই। তারা দীর্ঘদিন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ দুজনকে নিয়ে শান্ক বলেছেন, ‘এটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট মনে হয় আমার কাছে।

এমন ক্রিকেটার যখন দলে থাকে, বিশেষ করে যাঁরা তরুণ, অনেকেই আছে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপ খেলবেন তাঁদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণা দেবে মনে হয়। পাশাপাশি তাঁদের তো অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাও আছে। আশা করি কঠিন সময়ে কোনো সাহায্য দরকার হলে তাঁরা করবেন এবং এখন সেটাই করছেন। বিশ্বকাপে এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমি আশা করি।’ টি২০ ফরম্যাটে বিশ^সেরা অলরাউন্ডার সাকিব সব বিশ^কাপ খেলেছেন এই ফরম্যাটের।

সেদিক থেকে সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিনি। সাকিবকে নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘আলাদাভাবে যদি বলেন, আমি বলব যে সাকিব ভাই তার অভিজ্ঞতা সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তিনি গত বছরগুলোয় যে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে, সেসব তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে তারা অনেক উপকৃত হবে এবং এরই মধ্যে সেটা তিনি করছেন।’

×