
ছবি: সংগৃহীত
পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন মানেই ধীর গতি, কম ব্যাটারি ব্যাকআপ বা হ্যাং হয়ে যাওয়া— এই ধারণা এখন পুরনো। সামান্য কিছু পরিবর্তনেই পুরনো স্মার্টফোনকে নতুনের মতো কর্মক্ষম করে তোলা সম্ভব। ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দীর্ঘদিন ধরে সফটওয়্যার সাপোর্ট দিচ্ছে, ফলে পুরনো ফোনগুলোও বেশ কার্যকরভাবে চলতে পারছে।
বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন মডেল এলেও অনেকেই পুরনো ফোনেই আস্থা রাখছেন। কারণ, সেটি এখনো নির্ভরযোগ্য এবং কিছু সহজ টেকনিক অনুসরণ করলেই এর কার্যকারিতা বেড়ে যায় অনেক গুণ।
ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে অটো ব্রাইটনেস বন্ধ করে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রযুক্তিবিদরা। একই সঙ্গে ব্যাটারি অপটিমাইজেশন ও অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি ফিচার চালু রাখলে ফোনের ব্যাটারি আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
চোখের আরাম ও ব্যাটারির সাশ্রয়ের জন্য ডার্ক মোড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যান্ড্রয়েড ১০ বা তার পরের সংস্করণে পুরো সিস্টেমেই ডার্ক মোড চালু করা যায়। পুরনো সংস্করণে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপেও ডার্ক থিম ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
অতিরিক্ত অ্যাপ ইনস্টল করার সময় যাতে হোম স্ক্রিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইকন না আসে, তার জন্য সেটিংস থেকে "Add apps to Home Screen" অপশনটি বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। এতে হোম স্ক্রিন থাকবে পরিপাটি ও ঝামেলামুক্ত।
রাতের বেলায় ফোনের শব্দ যেন বিরক্ত না করে, তার জন্য চালু রাখতে বলা হচ্ছে "Do Not Disturb" মোড। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সেট করে দেওয়া যায়, যাতে প্রয়োজন ছাড়া কোনো নোটিফিকেশন না আসে।
ফোন হারিয়ে গেলে যেন সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়, সে জন্য "Find My Device" বা স্যামসাং ব্যবহারকারীদের জন্য "Find My Mobile" ফিচার চালু রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। অনলাইনে লগ ইন করেই ফোনের অবস্থান জানা সম্ভব।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট। এতে ফোনের নিরাপত্তা বাড়ে, বাগ ফিক্স হয় এবং কর্মক্ষমতাও বেড়ে যায়। Wi-Fi সংযোগের মাধ্যমে সহজেই Settings > Software Update থেকে এটি করা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন ফোন কেনার আগে একবার নিজের পুরনো ফোনটি একটু যত্ন করে দেখুন। হয়তো আপনি নিজেই অবাক হবেন— স্মার্টফোনটি এখনও কতটা কার্যকর।
সূত্র: সিনেট ডটকম
এম.কে.