
ছবি: সংগৃহীত
মহাকাশে গ্রিনহাউস গ্যাস পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো একটি স্যাটেলাইট প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে হারিয়ে গেছে। প্রায় ৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত স্যাটেলাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের জেফ বেজোস এবং নিউজিল্যান্ড সরকারের যৌথ অর্থায়নে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।
স্যাটেলাইটটি মিথেন গ্যাসের নির্গমন শনাক্ত করে জলবায়ু পরিবর্তনের গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু উৎক্ষেপণের কিছুদিন পরই এটি কারিগরি সমস্যার মুখে পড়ে এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে স্যাটেলাইটটি এখন মহাকাশেই নিখোঁজ।
নিউজিল্যান্ড স্পেস এজেন্সির কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি সত্যিই হতাশাজনক। মহাকাশ গবেষণা সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং। আমরা আশাবাদী ভবিষ্যতে আরও ভালোভাবে ফিরে আসব।’
স্যাটেলাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ প্রতিরক্ষা তহবিল (Environmental Defense Fund)-এর একটি প্রকল্পের অংশ ছিল। সংস্থাটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যামি মিডলটন জানিয়েছেন, ‘আমরা এটিকে ব্যর্থতা হিসেবে না দেখে একটি প্রযুক্তিগত বিপত্তি হিসেবে দেখছি। স্যাটেলাইটটির সূচনা হয়েছিল ২০২৪ সালের মার্চে।’
কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই স্যাটেলাইট?
বিজ্ঞানীদের মতে, মিথেন হলো শক্তিশালী একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যার তাপধারণ ক্ষমতা কার্বন ডাই–অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুণ বেশি। মাটির নিচের তেল ও গ্যাসকূপ থেকে এই গ্যাস লিক হলে তা মারাত্মক জলবায়ু বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
এই স্যাটেলাইটটির মূল কাজ ছিল বিভিন্ন উৎস থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস শনাক্ত করা এবং তার মাত্রা নিরীক্ষণ করা। বিশেষ করে তেল ও গ্যাস শিল্পে গ্যাস লিকেজ ঠেকাতে এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। তবে মহাকাশে স্যাটেলাইট হারিয়ে যাওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ নজরদারির কাজ এখন থমকে গেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রাকিব