
ছবি: সংগৃহীত
ফোন কেনা সহজ নয়। বাজারে অসংখ্য মডেল আর নানা প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যের ভিড়ে সঠিক ফোন বাছাই অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। তবে, ফোন কেনার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যামেরা—প্রথম বিবেচনা
ফোন কেনার সময় ক্যামেরা সব সময় প্রধান বিবেচ্য বিষয় হিসেবে উঠে আসে। অনেকেই প্রথমেই ফোনের ক্যামেরা স্পেসিফিকেশন পরীক্ষা করেন এবং সুযোগ থাকলে দোকানে হাতে নিয়ে ক্যামেরা অ্যাপ ব্যবহার করে দেখেন।
উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি সাধারণত দামি ফোনেই থাকে। iPhone 16 Pro Max, Samsung Galaxy S25 Ultra এবং Google Pixel 9 Pro— এসব ফোনে দারুণ ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
তবে মাঝারি দামের ফোনেও ভালো ক্যামেরার অভিজ্ঞতা মেলে। যেমন OnePlus 13R কিংবা Nothing Phone 3a Pro।
চাহিদা অনুযায়ী ফোন বাছাই করাই সঠিক সিদ্ধান্ত। যারা জুম-ভিত্তিক ভালো ছবি চান, তাদের টেলিফটো লেন্স যুক্ত ফোন বেছে নেওয়া উচিত। আর যারা সাধারণ ছবি তুলতে চান, তাদের জন্য বেশি রেজোলিউশনযুক্ত সেন্সরই যথেষ্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোন কেনার আগে অবশ্যই ক্যামেরা পরীক্ষা করে দেখা উচিত, অথবা কিছু নমুনা ছবি দেখে নেওয়া ভালো। কারণ ফোনই হতে পারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ক্যামেরা— স্মৃতি ধরে রাখার বিষয়টি আগেই জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যাটারি লাইফ—উপভোগের অপরিহার্য উপাদান
ফোনের ব্যাটারি লাইফ তার কার্যকারিতার অন্যতম প্রধান সূচক। বিশেষজ্ঞরা সব সময় এমন ফোনের পরামর্শ দেন, যেটি সারাদিন ব্যবহারযোগ্য হয়। বর্তমান সময়ের বড় ডিসপ্লে আর শক্তিশালী প্রসেসরের কারণে অন্তত ৪,০০০ mAh ব্যাটারির ফোন বেছে নেওয়াই ভালো।
বাজারের কিছু ফ্ল্যাগশিপ ফোন যেমন OnePlus 13 কিংবা Motorola Edge 60 Pro-তে ৬,০০০ mAh ব্যাটারি রয়েছে। তবে মাঝারি দামের ফোনগুলোর ব্যাটারি সাধারণত ৩,৫০০ থেকে ৪,৫০০ mAh-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
ব্যবহার অনুযায়ী ব্যাটারির কার্যক্ষমতা ভিন্ন হয়। তাই ফোন কেনার আগে ব্যবহারিক রিভিউ দেখে নেওয়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
নতুন প্রযুক্তির ফলে এখন দ্রুত উন্নত হচ্ছে ফোনের ব্যাটারি। কিছু চীনা ব্র্যান্ড ইতিমধ্যে "সিলিকন-কার্বন ব্যাটারি" প্রযুক্তির কথা বলছে, যা সাধারণ লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির তুলনায় বেশি শক্তি ধারণ করতে সক্ষম। যদিও এটি এখনো খুব সাধারণ নয়, তবে ভবিষ্যতে এর ব্যবহার বাড়বে বলে ধারণা।
চিপসেট—ফোনের দীর্ঘমেয়াদী পারফরম্যান্স নির্ধারক
ফোনের চিপসেটকে বলা হয় এর ‘মস্তিষ্ক’। প্রসেসিং ও গ্রাফিক্সের যাবতীয় কাজই চিপসেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বর্তমানে এআই বা ভারী কাজের চাহিদা বাড়ায়, শক্তিশালী চিপসেট নির্বাচন করা জরুরি।
সাধারণ কাজ যেমন ইমেইল, ওয়েব ব্রাউজিং কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য বেশিরভাগ ফোনই যথেষ্ট। তবে যারা হালকা গেমিং কিংবা এআই-ভিত্তিক কিছু কাজ করতে চান, তাদের জন্য মাঝারি দামের আধুনিক ফোন যথেষ্ট কার্যকর।
তবে ভিডিও এডিটিং, অডিও প্রোডাকশন, হাই-এন্ড এআই কিংবা গেমিংয়ের মতো ভারী কাজের জন্য প্রয়োজন ফ্ল্যাগশিপ চিপসেট।
iPhone 16 Pro ও iPhone 16 Pro Max-এ ব্যবহৃত হয়েছে Apple A18 Pro চিপসেট। অন্যদিকে, সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে Qualcomm Snapdragon 8 Elite কিংবা MediaTek Dimensity 9400 চিপসেট।
বাজারে নানা ধরনের চিপসেট রয়েছে। তবে সাধারণত ফোনের দাম যত বেশি, পারফরম্যান্সও তত উন্নত।
আবির