
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাই করেছে। এবার প্রায় ৯,০০০ জন কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এটি গত দুই বছরের মধ্যে মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় ছাঁটাই এবং চলতি বছরে দ্বিতীয় দফার ছাঁটাই কার্যক্রম।
কর্মী ছাঁটাইয়ের এই সিদ্ধান্তে একাধিক বিভাগ প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক্সবক্স গেমিং ইউনিট ও বৈশ্বিক বিক্রয় (সেলস) টিমের অনেক সদস্য। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের রেডমন্ডে অবস্থিত প্রধান কার্যালয় থেকেই চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ৮৩০ জন।
এই ছাঁটাই মাইক্রোসফটের মোট কর্মীবাহিনীর প্রায় ৪ শতাংশের সমান। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূলত ব্যবসা কাঠামো সহজ ও কার্যকর করতে এবং ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির খাতগুলোর ওপর আরও বেশি মনোযোগ দিতে।
এক্সবক্স বিভাগের প্রধান নির্বাহী ফিল স্পেনসার এক মেমোতে জানিয়েছেন, ‘এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো অপারেশন আরও কার্যকর করে ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির খাতে ফোকাস বাড়ানো।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-এর দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার অংশ। মাইক্রোসফট আগামী দিনে AI অবকাঠামোতে ৮০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। তাই পুরনো কিছু ইউনিট—যেমন গেমিং ও প্রচলিত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং—এ ধীরে ধীরে বিনিয়োগ কমানো হচ্ছে।
তবে এই ছাঁটাই নিয়ে একটি উদ্বেগও তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, মাইক্রোসফটের নিজস্ব AI-চালিত কোডিং টুলগুলোই হয়তো মানুষের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক সফটওয়্যার ডেভেলপার চাকরি হারাতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে।
এই ছাঁটাইয়ের ফলে প্রমাণিত হচ্ছে যে, AI এখন শুধু ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নয়— এটি ইতিমধ্যেই চাকরির বাজারে বড় পরিবর্তন এনে দিচ্ছে।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
এম.কে.