ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গোসল ফরজ অবস্থায় কী করা যাবে, কী নিষেধ

প্রকাশিত: ২০:০৪, ১৩ জুন ২০২৫

গোসল ফরজ অবস্থায় কী করা যাবে, কী নিষেধ

সংগৃহীত

ইসলামি শরিয়তে পবিত্রতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দৈনন্দিন ইবাদত ও ধর্মীয় কর্মসম্পাদনের পূর্বশর্তই হলো শারীরিক ও আত্মিক পবিত্রতা। তাই কোনো মুসলিম যদি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যেখানে গোসল ফরজ হয় যেমন জানাবাত, হায়েজ বা নিফাস তাহলে কিছু নির্দিষ্ট আমল থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব হয়ে পড়ে।

তবে অন্যান্য দুনিয়াবি কাজের ব্যাপারে ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি তুলনামূলকভাবে নমনীয়।
ফরজ গোসল না করে যে-সব কাজ নিষিদ্ধ ফিকহবিদদের মতে, গোসল ফরজ অবস্থায় নিম্নোক্ত কাজগুলো করা হারাম:

  • নামাজ আদায় করা
  • কাবা শরিফ তাওয়াফ
  • কুরআন তিলাওয়াত
  • কুরআন স্পর্শ করা
  • মসজিদে প্রবেশ

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একদিন তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে মদিনার পথে সাক্ষাৎ করেন। তখন তিনি জানাবাত অবস্থায় ছিলেন।

তিনি বলেন, “আমি নিজেকে অপবিত্র মনে করে রাসূল (সা.)-এর কাছ থেকে সরে পড়লাম।” পরে গোসল করে এসে পুনরায় সাক্ষাৎ করলে রাসূল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন,  "আবু হুরায়রা, কোথায় গিয়েছিলে?"

তিনি বললেন, "হে আল্লাহর রাসূল! আমি জানাবাত অবস্থায় ছিলাম। আপনার সঙ্গে বসা সম্মানজনক মনে হয়নি।"

এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন:
"سُبْحَانَ اللَّهِ، إِنَّ الْمُسْلِمَ لا يَنْجُسُ"

"সুবহানাল্লাহ! একজন মুসলমান কখনোই নাপাক হয় না।"
(সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ২৭৯)

যদিও জানাবাত অবস্থায় দুনিয়াবি কিছু কাজ করতে অনুমতি রয়েছে, তবুও হাদিসে এসেছে এসব কাজের আগে ওজু করে নেওয়া উত্তম ও সুন্নত।

হজরত আয়েশ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) জানাবাত অবস্থায় ঘুমাতে বা খেতে চাইলে নামাজের মতো ওজু করে নিতেন।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ৩০৫)

হ্যাপী

×