
ছবি: সংগৃহীত
‘সান্ডা’ সাধারণত মরুভূমি অঞ্চলে পাওয়া যাওয়া একটি সরীসৃপ প্রাণী, যার বৈজ্ঞানিক নাম Uromastyx। এটি দেখতে গুইসাপের মতো হলেও কিছুটা ভিন্ন। আমাদের উপমহাদেশে একে অনেকে "সান্ডা তেল" বা "সান্ডা গুইসাপ" নামে চিনে। এটি মূলত শুকনো এলাকায় বাস করে এবং এর চর্বি থেকে তেল বের করে অনেকে ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করেন।
সান্ডা খাওয়া যায় কি?
হ্যাঁ, সান্ডা খাওয়া ইসলামে বৈধ বা হালাল।
এ ব্যাপারে হাদিসে স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে। হাদিস থেকে প্রমাণ:
সহীহ মুসলিম ও সহীহ বুখারী-তে বর্ণিত— আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (সাঃ)-এর সঙ্গে খেয়েছিলাম। তখন আমাদের সামনে সান্ডা পেশ করা হয়। নবীজি (সাঃ) তা খাননি, কিন্তু হারামও বলেননি। তখন খালেদ ইবনে ওয়ালিদ (রাঃ) বললেন: “আমি খেয়ে নিলাম, কারণ আপনি তো নিষেধ করলেন না।” নবীজি (সাঃ) নিজে না খেলেও তিনি সান্ডাকে নাজায়েজ বা হারাম বলেননি। বরং সাহাবারা খেয়েছেন এবং নবীজি তা মেনে নিয়েছেন।
গুইসাপ (মনিটর লিজার্ড) ও সান্ডা এক নয়:
অনেকে সান্ডা ও গুইসাপকে একই মনে করেন, কিন্তু তারা ভিন্ন প্রজাতি। সান্ডা (Uromastyx): নিরীহ, নিরামিষভোজী প্রাণী; মূলত মরুভূমির সরীসৃপ। গুইসাপ (Monitor Lizard): মাংসাশী, হিংস্র প্রাণী। এর মাংস ও তেল হারাম।
সান্ডা তেলের ব্যবহার:
অনেক কবিরাজ বা আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ সান্ডার তেলকে যৌন উত্তেজক, পেশি শক্তিশালীকরণ বা বাতজনিত সমস্যা দূরীকরণে ব্যবহার করে থাকেন। তবে এর কার্যকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা যথেষ্ট নয়। তবে খাওয়ার উদ্দেশ্যে বা ওষুধ হিসেবে সান্ডার তেল ব্যবহারে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো নিষেধ নেই, যদি তা বিশুদ্ধ হয় এবং গুইসাপের তেল না হয়।
ফারুক