
সংগৃহীত
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে সামরিক বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনায় নিজ জীবন বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করার জন্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে গেছেন শিক্ষিকা মেহেরিন চৌধুরি। তিনি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজী হলেও নিজে কখনো রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি
ব্যক্তিগত জীবন
- বয়স: আনুমানিক ৪৬ বছর
- পেশা: মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা
- জন্মও পরিবার: মেহেরিন চৌধুরি জিয়াউর রহমানের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তবে রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন।
- ব্যক্তিত্ব: সহানুভূতিশীল, নিষ্ঠাবান শিক্ষক, যিনি সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করেছেন।
২১ জুলাই বিমান বিধ্বস্তের সময় মেহেরিন চৌধুরি দ্রুত জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে আনে। তিনি অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুম থেকে বের করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতেন।
তবে ওই সময় ভয়াবহ আগুনে শরীরের বড় অংশ দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে যান। পরে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট ও প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি হন এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মৃত্যুবরণ করেন
ড. শাওন বিন রহমান, বার্ন ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট সার্জন, তাঁর মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেন। একটি অভিভাবক জানিয়েছেন, মেহেরিনের দ্রুত সিদ্ধান্তই কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থীর জীবন রক্ষা করেছে
রাজনীতির প্রতি কোনো আকর্ষণ না রাখলেও মেহেরিন নিজেকে মানবিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োগ করেছিলেন। দুর্ঘটনার সময় এবং পরে তিনি যে ত্যাগ ও কর্তব্যবোধ দেখিয়েছেন, তা শ্রদ্ধার হার বৃদ্ধি করেছে এবং সমাজে মানবিকতার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে।
শিক্ষিকা মেহেরিন চৌধুরি ছিলেন জিয়াউর রহমানের ভাতিজী হলেও রাজনীতির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি—বরং একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষিকা ও স্বাভাবিক মানুষ হিসেবেই সমাজে আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিলেন। দুর্ঘটনার সময় তাঁর সাহসিকতা অসীম মানবিকতার চিহ্ন হয়ে বাংলাদেশের হৃদয়ে এক অমলিন স্মরণ রাখবে।
হ্যাপী