ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক সহজলভ্য ১০ সুপারফুড

প্রকাশিত: ০৫:০২, ২৩ জুলাই ২০২৫

কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক সহজলভ্য ১০ সুপারফুড

ছবি: সংগৃহীত

কোলন ক্যানসার বা রেক্টাল ক্যানসার হলো বৃহদান্ত্র বা মলাশয়ে শুরু হওয়া এক ধরনের ক্যানসার। এটি সাধারণত পলিপ নামক ছোট অ-ক্যানসারযুক্ত কোষ থেকে শুরু হয়, যা সময়ের সাথে ক্যানসারে রূপ নিতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিচে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী ১০টি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:

১. শাকসবজি (Leafy Green Vegetables)

শাকসবজি যেমন পালং, লাল শাক ও কলমি শাকে থাকে প্রচুর ফাইবার, ফলেট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে এবং অন্ত্রে প্রদাহ কমায়।

২. ক্রুসিফেরাস সবজি (Cruciferous Vegetables)

ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো সবজিতে থাকে সালফোরাফেন নামের একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ক্যানসার যৌগ, যা ক্ষতিকর কার্সিনোজেন দূর করতে সাহায্য করে।

৩. সম্পূর্ণ শস্যদানা (Whole Grains)

গম, ওটস ও বাদামী চালের মতো সম্পূর্ণ শস্যে থাকে প্রচুর ফাইবার, যা মল নরম রাখতে সাহায্য করে এবং বর্জ্য দ্রুত শরীর থেকে বের করে দেয়।

৪. ডাল ও শস্যজাতীয় খাবার (Beans and Legumes)

মুসুর, মুগ, ছোলা ও সয়াবিনে রয়েছে রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ ও সলিউবল ফাইবার। এগুলো অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

৫. বেরি ফল (Berries)

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ও র্যাস্পবেরির মতো ফলে থাকে ভিটামিন C, অ্যান্থোসায়ানিন ও এলাজিক অ্যাসিড, যা কোলনের কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।

৬. তেলযুক্ত মাছ (Fatty Fish)

স্যামন, সারডিন ও ম্যাকারেল জাতীয় মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অন্ত্রে প্রদাহ কমিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

৭. রসুন (Garlic)

রসুনে থাকা সালফার যৌগ লিভারের এনজাইম সক্রিয় করে ক্যানসারের উপাদান ধ্বংসে সহায়তা করে। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হওয়ায় অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।

৮. হলুদ (Turmeric)

হলুদের কারকিউমিন নামক উপাদান অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ধীর করে এবং টিউমার ছড়াতে বাধা দেয়।

৯. দই ও প্রোবায়োটিক খাবার (Yogurt and Probiotics)

প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

১০. বাদাম (Nuts)

আমন্ড, আখরোট ও কাজুবাদামের মতো বাদামে আছে ফাইবার, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন ই। এগুলো দেহের কোষকে ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।

ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ এইসব খাবার হজমতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

নোট: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

সূত্র: এনডিটিভি।

রাকিব

×