ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ

ইবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ৯ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের ব্যানারে শুক্রবার (৯ মে) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে এসে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে বিকাল চারটার দিকে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেন। এতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অভিমুখে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হত। এসময় আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও প্যারোডি গান গাইতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।   

বিক্ষোভ মিছিলে ‘আওয়ামী লীগ মিছিল করে, ইন্টেরিম কি করে’ ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো, করতে হবে করতে হবে’ ‘কন্ঠে আবার লাগা জোর, আওয়ামী লীগের কবর খোড়’, ‘আমার সোনার বাংলায়, আমি লীগের ঠাঁই নাই’, ‘২৪ এর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘খুনির লীগের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মুজিববাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’ ব্যান ব্যান আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।   

বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান সুইট, সহ- সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রব্বানী, তানভীর মাহমুদ মন্ডল, ইসমাইল হোসেন রাহাত, মুবাশ্বির আমিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাদেক আহমদ, শাখা ছাত্রশিবিরের ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জাকারিয়া সহ শতাধিক শিক্ষার্থী এতে এংশ নেন।   

সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন, তাদের হুঁশিয়ার করছি জুলাইয়ের মতো আমরা আবারও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আমাদের প্রায় ২ হাজার ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমরা যারা জীবিত আছি, প্রয়োজনে আবারও জীবন দেবো। কিন্তু আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতি করতে দেবো না। তারা এই দেশের রাজনীতির অধিকার হারিয়েছে। কেউ যদি তাদের ফিরিয়ে আনতে চায় বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা বাহিনীর কেউ, তাদের পরিণতিও শুভ হবে না।   

সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান সুইট বলেন, জুলাই-আগস্টের ৮/৯ মাস হওয়ার পরও এই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার এখনো তাদেরকে নিষিদ্ধ করে নি। এক্ষেত্রে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের যেমন সদিচ্ছার অভাব আছে, তেমনি আমাদের অভ্যুত্থানের স্বপক্ষের দুই একটি সংগঠনেরও সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র অতিদ্রুত প্রকাশ করতে হবে। প্রয়োজন হলে জুলাই বিপ্লবীরা আবার রাস্তায় নামবে এবং তাদের দাবী আদায় করে নিবে। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। 

আসিফ

আরো পড়ুন  

×