
সিলেট সীমান্তে কারফিউ জারি করেছে ভারত। প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দেশটির মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলসের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সই করা এক আদেশে সীমান্তে এই কারফিউ জারি হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সীমান্তে ভারতের রাত্রিকালীন কারফিউ জারির তথ্য সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছে । বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি কোনো তথ্য পাইনি। তবে গোয়েন্দা তথ্যসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আমরা সীমান্তবর্তী এলাকার ইউপি মেম্বারদের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করার কার্যক্রম শুরু করেছি। কেন তারা এমনটি করল, সেটি আমরা জানারও চেষ্টা করছি।’
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলস জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী শিবাংশ আরস্থির সই করা আদেশে বলা হয়, পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলস জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত এখনো সম্পূর্ণভাবে বেড়া দিয়ে ঘেরা নয়। এ কারণে এই অঞ্চলে অবৈধ অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, চোরাকারবারি ও অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশকারীরা রাতের আঁধারে সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে ৮ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ থাকবে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে এই কারফিউ থাকবে। কারফিউয়ের সময়সীমা প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত।
কারফিউ চলাকালে কিছু বিষয় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ বা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে চলাফেরা, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অবৈধ জমায়েত, অস্ত্র, লাঠি, রড, পাথরসহ অন্যান্য অস্ত্রোপযোগী বস্তু বহন, গবাদিপশু, চোরাচালান পণ্য, সুপারি, পানের পাতা, শুকনো মাছ, বিড়ি, সিগারেট, চা পাতা ইত্যাদি পাচার।
ফুয়াদ