
ছবিঃ সংগৃহীত
অনেক সময় আমরা দোয়া করি, কিন্তু তা কবুল হয় না। এর পেছনে রয়েছে গভীর একটি হিকমত (জ্ঞানের কথা), যা পবিত্র কোরআনেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা বাকারা, আয়াত ২১৬-তে ইরশাদ করেছেন—
"তোমরা হয়তো এমন কিছু পছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর; আবার এমন কিছু অপছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আল্লাহ জানেন, অথচ তোমরা জানো না।"
এই আয়াত থেকেই স্পষ্ট হয়, দোয়া কবুল না হওয়াও হতে পারে আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য রহমতের এক রূপ।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন একজন ২০ বছর বয়সী তরুণ ছেলেটি দোয়া করলো, “হে আল্লাহ, আমাকে একটি BMW মোটরসাইকেল দাও।”
সে চায় দ্রুত গতির একটি দামি মোটরসাইকেল, কিন্তু আল্লাহ তা কবুল করলেন না। কারণ, হতে পারে আল্লাহ জানেন— যদি সে এই মোটরসাইকেল পায়, তবে তা তার জন্য বিপদের কারণ হবে; হয়তো সে দুর্ঘটনার শিকার হবে, পা ভেঙে যাবে, অথবা পঙ্গু হয়ে যাবে।
এখানেই আল্লাহ তার দোয়ার জবাব দিয়েছেন, কিন্তু তা না দেওয়ার মাধ্যমে। অর্থাৎ, তিনি তার বান্দাকে রক্ষা করেছেন এমন কিছু থেকে, যা বান্দা নিজেই বুঝতে পারছে না। কারণ, বান্দা জানে না, কিন্তু আল্লাহ জানেন। এভাবেই অনেক সময় আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেন ‘না কবুল করার’ মাধ্যমেও।
অন্যদিকে, পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারা, আয়াত ১৫ ও ১৬-তে আল্লাহ ভণ্ডদের সম্পর্কে বলেন—
“আল্লাহ তাদের উপহাস করেন এবং তাদেরকে বাড়তে দেন তাদের অবাধ্যতায়, যাতে তারা বিভ্রান্তির মধ্যে ঘুরে বেড়ায়।”
এখানে বোঝানো হয়েছে, অনেক সময় যারা ঈমানদার নয় বা যারা নিজেদের স্বার্থেই সবকিছু চায়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার সম্পদ দিয়ে থাকেন, যাতে তারা নিজেদের বিভ্রান্তিতে আরও ডুবে যায়।
সুতরাং, দোয়া কবুল না হওয়াকে হতাশার কারণ না ভেবে বরং ঈমানের পরীক্ষার অংশ হিসেবে গ্রহণ করাই মুমিনের পরিচয়। আল্লাহ কখনোই বান্দার কল্যাণের বাইরে কিছু করেন না।
ইমরান