ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

কজন সাবেক রাষ্ট্রপতি কোনো বাধা ছাড়া বিদেশ চলে যান, এটা স্পষ্টতই সরকারের নীরব অনুমোদনের ফল

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ১০ মে ২০২৫; আপডেট: ০৮:৪৭, ১০ মে ২০২৫

কজন সাবেক রাষ্ট্রপতি কোনো বাধা ছাড়া বিদেশ চলে যান, এটা স্পষ্টতই সরকারের নীরব অনুমোদনের ফল

ছবি : সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি দেশের বাইরে চলে গেলেন— এটা সরকার জানত না, এমন কথা বলে জনগণকে বোকা ভাবার কোনো সুযোগ নেই,” বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

 

 

এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ ও তাকে কেন্দ্র করে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সবসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা থাকে। তিনি বিমানবন্দর পেরিয়ে গেলেন—এটা সরকার জানত না বলা মানে মিথ্যা বলা। এটা ছিল পরিকল্পিত এবং ইচ্ছাকৃত।”

 

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা করে না। “এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এই ধরনের অবাক করা ঘটনা ঘটতেই থাকবে,” বলেন তিনি।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আব্দুস সালাম বলেন, “আমরা যখন বিদেশ যেতাম, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইমিগ্রেশনে অপেক্ষা করতে হতো। হাইকোর্টের জামিনের কাগজ হাতে নিয়েও আমাদেরকে আটকে রাখা হতো। অথচ আজকে একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি কোনো বাধা ছাড়া বিদেশ চলে যান—এটা স্পষ্টতই সরকারের নীরব অনুমোদনের ফল।”

 

 

তিনি বলেন, “ এই  সরকারের অধীনে থেকে আমরা কিভাবে নিশ্চিত হব যে আবার সেই একই অপশাসন ফিরে আসবে না? বর্তমান সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। মন্ত্রীরা কারাগারে থেকেও পরে ইউরোপে পালিয়ে যাচ্ছেন—এটা কীভাবে সম্ভব?”

 

 

 

আব্দুস সালাম জোর দিয়ে বলেন, “এখন সময় এসেছে একটি গ্রহণযোগ্য ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনের। তবেই এসব অবিচার, মিথ্যাচার ও অপশাসনের অবসান ঘটবে।”

তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, “এটা পুতুল খেলা নয়। জনগণ এখন বোকা নয়। সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের ঘটনায় চিফ অ্যাডভাইজারসহ সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে।”
 

আঁখি

আরো পড়ুন  

×