
ছবি : সংগৃহীত
নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি ) এর অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা এবং দল পরিচালনার উৎস নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যেই দলীয় অর্থায়নের প্রশ্নটি আটকে আছে। তবে এনসিপি এ বিষয়ে পরিবর্তন আনতে চায় এবং ইতোমধ্যেই ক্রাউডফান্ডিং মডেল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা চাই এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে একজন রিকশাওয়ালাও আমাদের দলকে সমর্থন করতে পারেন, প্রবাসে থাকা একজন ভাই বা বোনও যেন আমাদের তহবিলে চাঁদা দিতে পারেন।” তিনি জানান, এনসিপি এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চায় যেখানে জনগণের অংশগ্রহণেই দল চলবে।
তিনি আরও জানান, পেশাজীবী ও সমর্থকদের নানা সংগঠন থেকেও দল তহবিল সংগ্রহ করছে। তবে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “যারা করাপ্টেড অলিগার্ক বা দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, যেমন বসুন্ধরা-এস আলম টাইপের গ্রুপ, তাদের কাছ থেকে আমরা কোনো অর্থ নেই, নেব না।”
দলীয় অর্থায়নে স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়টিও জোর দিয়ে বলেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “যদি নির্বাচন কমিশন বা কোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ জানতে চায়, কারা কারা আমাদের ফান্ড দিয়েছে, আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। প্রয়োজনে জনসমক্ষে প্রকাশ করতেও আমাদের আপত্তি নেই, তবে শর্ত একটাইফান্ডদাতারা যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হন।”
তহবিল সংগ্রহের কৌশল ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, দলের সদস্যদের জন্য মাসিক চাঁদার ব্যবস্থা রয়েছে। বছরের শুরুতে সেন্ট্রাল কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও বড় কর্মসূচির সময়, সচ্ছল সমর্থকদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “একটা রাজনৈতিক দল পরিচালনার জন্য অর্থ প্রয়োজন, এটা সাধারণ মানুষ বোঝে। তাই তারা নিজেরাই আমাদের কাছে সহযোগিতা করতে চায়।”
আঁখি