
ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, " নিষিদ্ধ করে দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে না। বরং যারা বিগত ১৫–১৬ বছর ধরে দেশজুড়ে অপরাধ করেছে, কর্তৃত্ববাদ কায়েম করেছে, তাদের বিচারই হতে হবে।"
গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলন করছে। শাহবাগে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ঘোষণা এসেছে, যতক্ষণ না নিষিদ্ধ ঘোষণা বা প্রজ্ঞাপন জারি হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এই দাবি নতুন কিছু নয়। গত জুলাই-আগস্ট থেকেই ছাত্র ও বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। তবে বিষয়টি কেবল নিষিদ্ধ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। সরকারের উচিত হবে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা।"
হারুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, “গত ৯ মাসে সরকার দেশজুড়ে সংঘটিত গণতন্ত্র হত্যা, দুর্নীতি, অর্থপাচার ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনাগুলোর কোনোটিরই কার্যকর বিচার করতে পারেনি। বরং এসব ঘটনার পেছনে থাকা বড় অপরাধীরা এখনো রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যেই সক্রিয় রয়েছেন।”
সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, "সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এখন দায়িত্ব, গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজা।"
বিচার ও নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "৭১ সালের যুদ্ধপরাধের সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলো এখনো মাঠে রয়েছে। সুতরাং একটি বড় দলকে নিষিদ্ধ করলেই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। বরং অপরাধের ভিত্তিতে যারা দোষী, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, নিশ্ছিদ্রভাবে।"
আলোচনার শেষাংশে তিনি বলেন, “নিষিদ্ধ নয়, অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরি করতে হলে অপরাধীদের—যারাই হোক না কেন—আইনের আওতায় আনতে হবে।”
সূত্র:https://youtu.be/J6ouB9B8jkc?si=Fp9k9-P8j0GxxtKN
আঁখি