
সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী। ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে পদকজয়ী সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই। আজ শনিবার (১০ মে) সকালে বনানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে বড় মেয়ে সংগীতশিল্পী সামিরা আব্বাসী বাবার সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে ফেইসবুকে লিখেছেন, “আমার সোনার চান পাখী .. আর দেখা হবে?”
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে বাধ্যর্কজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শনিবার ভোরে ঢাকার বনানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী উপমহাদেশের এক প্রখ্যাত সংগীত পরিবারের সন্তান। বাবা আব্বাসউদ্দীন আহমদ পল্লিগীতির কিংবদন্তি শিল্পী। এ দেশের পল্লিসংগীতকে তিনিই প্রথম বিশ্বে জনপ্রিয় করেছেন। মুস্তাফা জামান আব্বাসী তাঁর পিতা আব্বাসউদ্দিনের কাছে একই সঙ্গে পেয়েছিলেন সঙ্গীত ও ধর্মীয় চেতনার দীক্ষা। পরবর্তীতে তাই রূপেরসে বর্ণেগন্ধে পল্লবিত হয়েছে তাঁর জীবনে। নবীকে ভালোবেসে লিখেছেন 'মুহাম্মদের নাম' গ্রন্থ। সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন মুস্তাফা জামান আব্বাসী।
মুস্তাফা জামান আব্বাসীর চাচা আব্দুল করিম ছিলেন পল্লিগীতি ও ভাওয়াইয়া–ভাটিয়ালির জনপ্রিয় শিল্পী। বড় ভাই মোস্তফা কামাল আইনবিশারদ। মোস্তফা কামালের মেয়ে নাশিদ কামালও একজন বরেণ্য শিল্পী। বোন ফেরদৌসী রহমান দেশের প্রথিতযশা বহুমাত্রিক প্রতিভার সংগীতজ্ঞ হিসেবে সমাদৃত।
মুমু