
ছবি : সংগৃহীত
কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক টানাপোড়েন চরমে পৌঁছেছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। পাকিস্তানের মতে, 'অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস'-এর অংশ হিসেবে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধরের আদমপুরে স্থাপিত এস-৪০০ সিস্টেমকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, এ অভিযানে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে ভারতের একটি জেএফ-১৭ থান্ডার বিমানও গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত এই এস-৪০০ সিস্টেমটি রাশিয়া থেকে কিনেছিল এবং এটি প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের এক কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ভারত মিসাইল হামলা চালানোর পর থেকেই একাধিক দাবি করে আসছে পাকিস্তান। শুরুতে তারা পাকিস্তানের আকাশসীমায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করে। এরপর আরও দাবি করা হয়, ভারতীয় ড্রোনও গুলি করে নামানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এখনো ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে বিবিসি ভারতের একটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাতে পাকিস্তান আরও দাবি করে, তারা ভারতের ২৬টি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। যদিও ভারত এসব দাবিকে অস্বীকার করে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
সামরিক হামলার পাশাপাশি সাইবার হামলারও অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। তারা দাবি করেছে, ভারতের একাধিক শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইট তারা হ্যাক করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কার্যকর অবস্থায় রয়েছে, যা এ দাবির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এ বিষয়ে বিবিসিও এখনো কোনো স্বতন্ত্র যাচাই করতে পারেনি।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানি গোলাবর্ষণে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে এক সরকারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। এর আগে, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান পালটা হামলার দাবি করে।
আঁখি