
ছবি: সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তান—দুই প্রতিবেশী, দুই জাতি, অথচ ইতিহাস জুড়ে এক চিরন্তন সংঘর্ষের গল্প। শান্তির কথা কেবল বক্তৃতার মঞ্চে, মাঠে বাজে কামানের গর্জন। চলমান উত্তপ্ত মুহূর্তে, দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলায় ফিরে আসে এক পুরনো দিন। ফিরে আসে ১৯৬৫ সাল।
কাশ্মীর সীমান্তে যখন উথাল-পাথাল যুদ্ধ, তখনই দৃপ্ত ভঙ্গিতে আবির্ভূত হন এক তরুণ বাঙালি সেনা অফিসার—তৎকালীন ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১২তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টে কর্মরত এই বাঙালি যুবক তখন লড়ছিলেন কাঞ্জারি, বুর্জ, ব্রাহ্মণী পাহাড়ে।
শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, যখন ইউনিটের নেতৃত্ব দেন তিনি—তাঁর সেই সাহসিকতা তখন কেবল একটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিল না, দিয়েছিল এক ইতিহাসের জন্ম। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ, তাঁকে প্রদান করা হয় ‘হিলাল-ই-জুরাত’, পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা।
তিনি শুধু একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত সেনানায়ক ছিলেন না, ছিলেন এক বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলী, এক ক্ষুরধার চিন্তার ধারক। তাঁর অভিজ্ঞতা, তাঁর যুদ্ধজ্ঞান পরিণত হয় ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতির মাঠে।
১৯৭১ সালে, ভিন্ন এক মঞ্চে, ভিন্ন এক পতাকার তলে তিনি হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার কণ্ঠস্বর, ঘোষণা করলেন মুক্তির কথা। তিনি আর কেবল একজন সেনা ছিলেন না, হয়ে উঠেছিলেন জাতির ইতিহাসের রচয়িতা।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যখন চরম উত্তেজনা, দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলা, যখন শান্তির সুর হয় নিঃস্ব, তখন ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়—সাহস কখনও কেবল বন্দুকের ট্রিগারে নয়, সাহস লুকিয়ে থাকে সংকল্পে, নেতৃত্বে এবং স্বপ্নে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=g8qgZeTPTjA
রাকিব