ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

গুজবে ভরা রাত, প্রশ্নের মুখে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা!

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১০ মে ২০২৫

গুজবে ভরা রাত, প্রশ্নের মুখে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা!

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নতুন করে চরমে উঠেছে। ৭ মে রাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) সংলগ্ন আজাদ কাশ্মীরের কয়েকটি এলাকায় মিসাইল হামলা চালায় ভারত। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও জবাবি হামলা চালিয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইসলামাবাদ থেকে।

পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি, এই পাল্টা অভিযানে অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়। তবে ভারত এসব দাবিকে ‘অতিরঞ্জিত এবং ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

৮ মে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের সেনাঘাঁটিগুলো পাকিস্তানি হামলার শিকার হয়েছে। যদিও ইসলামাবাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা।’

ভারত দাবি করে, পাঠানকোট, জয়সলমির ও শ্রীনগরেও পাকিস্তানি হামলা চালানো হয়েছে, তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য ‘মিথ্যা এবং প্ররোচনামূলক’ বলে আখ্যায়িত করে।

এই উত্তেজনার মাঝে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর খবর প্রচার করে, যার মধ্যে ছিল পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়া, পাইলট আটক, করাচি বন্দরে হামলা ইত্যাদি। কিন্তু পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এসব খবরকে ‘পুরোটাই ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।

দ্য ডন জানায়, কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ফিলাডেলফিয়ায় হওয়া বিমান দুর্ঘটনার ছবি পাকিস্তানে ভারতীয় হামলার ছবি হিসেবে ব্যবহার করেছে। এমনকি একটি তুর্কি পাইলটের ছবিকে পাকিস্তানি বলে চালানো হয়েছে।

এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে আসা একটি ভারতীয় কোয়াড কপ্টার ও হার্ট ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। বাহাওয়ালনগর ও হাজিপির সেক্টরে এসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাজিপির সেক্টরে একটি সফল অপারেশনে ভারতের ‘ঝান্ডা জিয়ারত’ পোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে এবং একাধিক সেনাচৌকি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত রিজওয়ান সাঈদ শেখ জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা কাউন্সিল পর্যায়ে কিছু সংলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারতকে শান্তি বজায় রাখার জন্য দায়িত্ব নিতে হবে। তবে পাকিস্তানও আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করে।’

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=25D0eoUQkHQ

 

রাকিব

×