ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

পারমাণবিক বোমায় ভারত-পাকিস্তান প্রায় কাছাকাছি, তবে…

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১০ মে ২০২৫; আপডেট: ০৪:৩৮, ১০ মে ২০২৫

পারমাণবিক বোমায় ভারত-পাকিস্তান প্রায় কাছাকাছি, তবে…

ছবি: প্রতীকী

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই সামরিক শক্তির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাগুলো। পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের সামরিক প্রস্তুতি, প্রযুক্তি ও কৌশলগত সক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়ায় এক জটিল ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করেছে।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সালে ভারতের কাছে আনুমানিক ১৭২টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের হাতে আছে ১৭০টি। সংখ্যার দিক থেকে এই পারমাণবিক শক্তি প্রায় সমান, কিন্তু প্রযুক্তি, বাহক ব্যবস্থার পরিশীলন এবং নির্ভরযোগ্যতাএই খাতে ভারত কিছুটা এগিয়ে।

ভারতের ‘অগ্নি’ ও ‘ব্রহ্মোস’ সিরিজের মতো দূরপাল্লার ও সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে অগ্নি-৫ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল (ICBM)। অন্যদিকে পাকিস্তান ‘শাহিন’ ও ‘ঘৌরি’ সিরিজের মাঝারি পাল্লার মিসাইল দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বহনের সক্ষমতা রাখে।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার (GFP) অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ভারত প্রতিরক্ষা খাতে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে, যেখানে পাকিস্তানের বাজেট মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার। ভারত সক্রিয় সেনা সদস্যে এগিয়েসাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি, যেখানে পাকিস্তানের আছে সাড়ে ৬ লাখের মতো।

স্থল, জল ও আকাশের শক্তিমত্তা: কার কেমন প্রস্তুতি?

ভারতের ট্যাঙ্ক সংখ্যা: ৪২০১ টি, পাকিস্তান: ২৬২৭ টি

ভারতের যুদ্ধজাহাজ: ২৯৩ টি (এর মধ্যে ২টি বিমানবাহী রণতরী), পাকিস্তান: ১২১ টি

ভারতের যুদ্ধবিমান: ৬৪৩ টি (১৩০ বোমারু), পাকিস্তান: ৪১৮ টি (৯০ বোমারু)

ভারতের সাবমেরিন: ১৮ টি, পাকিস্তান: ৮ টি

ভারতের হাতে আছে রাফাল ও মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান, যা পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। পাকিস্তান ব্যবহার করে JF-17 Thunder এবং চীনের তৈরি F-7, যা তুলনামূলকভাবে কম প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত।

ড্রোন, গোয়েন্দা ও কৌশলগত সক্ষমতা

দুই দেশই বর্তমানে ড্রোন ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি জোরালোভাবে ব্যবহার করছে। নজরদারি, গুপ্তচরবৃত্তি ও সুনির্দিষ্ট হামলার ক্ষেত্রে ড্রোনের ভূমিকা দ্রুত বাড়ছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই নিজস্বভাবে ড্রোন তৈরি করছে, আবার বিদেশ থেকেও উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোন সংগ্রহ করছে।

ভারত তার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব বিবেচনায় দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা কৌশলে এগিয়ে। পাকিস্তান তুলনামূলকভাবে বাজেট সীমিত হলেও পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল কৌশল মেনে চলে। দুই দেশের মধ্যে সমর সরঞ্জামের ভারসাম্য কিছু ক্ষেত্রে ভারতের দিকে হেলে পড়লেও, পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা এখনও ‘শেষ অবলম্বন’ হিসেবেই বিবেচিত হয়।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=nsNBzNyAHfI

রাকিব

×