
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এক প্রকারে বাঁচিয়ে রেখেছেন প্রবাসীরা। তারা নেই কোনো আলোচনায়, নেই কোনো ব্যানারে। কিন্তু তারা আছেন দেশের কোটি কোটি পরিবারের হাসির পেছনে। বলতে গেলে, বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় স্তম্ভ হচ্ছে প্রবাসী আয়।
এদিকে, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ফিরেছে নতুন আশার আলো। শ্রমবাজারের বড় একটি অংশ দখল করে রাখা মালয়েশিয়ার পথ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল বাংলাদেশিদের জন্য। আর মে মাসে ড. ইউনূসের কূটনৈতিক ম্যাজিকে কপাল খুলতে যাচ্ছে ১২ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর।
মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে থাকা কোটি প্রবাসীর শ্রমঘামে টিকে আছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম এই খাত। সেই বাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিল মালয়েশিয়া। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ মে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া। এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েন হাজার হাজার কর্মপ্রত্যাশী।
তবে শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ফিরেছে আশার আলো। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে যেতে পারে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
এই অর্জনের পেছনে রয়েছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন কূটনৈতিক দক্ষতা। মালয়েশিয়া সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ১৪টি দেশ থেকে ১২ লাখ কর্মী নিয়োগ দেবে। তবে তাদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়েই।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে মালয়েশিয়ার শিল্প-কারখানাগুলোতে বেড়েছে শ্রমিকের চাহিদা। আবার, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে মালয়েশিয়া এখন নতুনভাবে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে। ফলে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ।
তারা আরও বলছেন, এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিকের কপাল খুলতে পারে। সময় এখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার। দরকার জাতীয় স্বার্থে কূটনৈতিক সাফল্যকে সমর্থন দেওয়া।
ইমরান