
ছবিঃ সংগৃহীত
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া খুলনা অভিমুখী আন্তঃনগর জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ভাঙ্গা স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় লাইনচ্যুত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) রাত ৯টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। শুধু ট্রেনের ইঞ্জিন ও লাগেজভ্যান লাইনচ্যুত হওয়ায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ওই রেলপথে বেনাপোল এক্সপ্রেস ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আটকা পড়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে স্টেশন থেকে সিগনাল দেওয়া হলেও পয়েন্ট ছিল ভুল অবস্থানে। যাত্রীদের অভিযোগ এমন গাফিলতির ফলে ট্রেনে থাকা শত শত যাত্রী, নারী ও শিশুর জীবন হুমকির মুখে পড়েছিল।
অভিযোগ মতে এটি ছিল পদ্মা রেল লিংকের ইতিহাসে প্রথম ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা। ভাঙ্গা রেলস্টেশনে থাকা দায়িত্বরতদের চরম গাফিলতি ছিল। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে ট্রেনের যাত্রীরা।
ওই ট্রেনের খুলনার যাত্রী রফিক মিয়া মুঠোফোনে বলেন, ঢাকা কমলাপুর থেকে রাতে যথা সময়ে ট্রেনটি ছেড়ে আসে। রাত সাড়ে ১১ টার মধ্যে খুলনা পৌছে যাবার কথা আমাদের।
তিনি বলেন ভাঙ্গা জংশন রেলস্টেশনে ৩ মিনিট যাত্রা বিরতি দিয়ে ট্রেনটি ছেড়ে আসার পর রাত ৯.২০ মিনিট নাগাদ স্টেশনের অদূরে লুপলাইন থেকে মেইন লাইনে সংযুক্ত হবার আগেই ট্রেনের ইঞ্জিন ও লাগেজভ্যান লাইচ্যুত হয়। সে সময় ট্রেনের গতি ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটায় থাকায় বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। আল্লাহ তায়ালা ট্রেনের সকল যাত্রীদের সুরক্ষা রেখেছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, স্টেশন থেকে সিগনাল দিয়েছে কিন্ত ট্রাপ পয়েন্ট ঠিক ছিলো না।
সূত্রমতে, খুলনা থেকে উদ্ধারকারী রিলিপ ট্রেন রওনা দিয়েছে। এরপর লাইনচ্যুত ট্রেনের ইঞ্জিন উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
ইমরান