
ছবি: সংগৃহীত
আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্টভাবে বলছি , আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সর্বদলীয় সভা ডাকুন। আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে এবং সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু।
আজ শুক্রবার বিকেলে এনসিপির সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমাদের এমন এক সরকারের কাছে দাবি জানাতে হচ্ছে, যারা ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল করার উদ্দেশ্যে আমাদের মিটিংয়ে ডেকেছিল। অথচ আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি—আওয়ামী লীগ একটি খুনি দল, যারা এই দেশে হাজার হাজার মানুষকে গুম ও খুন করেছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, এবং চতুর্থবারও একইভাবে ভোট ডাকাতি করেছে। এ কারণে দেশের জনগণ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের জবাব দিয়েছে—সেই দিনটিতে জনগণ আওয়ামী লীগকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়, তাহলে আমাদের ২০১৮, ২০১৪ ও ২০২৪ সালের ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হবে। যদি তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তবে আমাদের ভাই আবু সাঈদের জীবন, মুগ্ধর জীবন, সন্তানহারা মায়ের চোখের অশ্রুর হিসাব দিতে হবে—একটি একটি করে সবকিছুর জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দাবিতে দুইটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে—নিষিদ্ধ ঘোষণা নির্বাহী আদেশে হবে না কি আইনগতভাবে। তবে আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, আওয়ামী লীগের প্রতিটি অপরাধের বিচার করতে হবে। শুধু দলটিকে নিষিদ্ধ করলেই হবে না, যারা গুম, খুন, অর্থপাচার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
এই অযোগ্য, অগণতান্ত্রিক, অর্থ-আধিপত্যে ভরপুর নেতাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার বাংলাদেশে থাকতে পারে না।
এসএফ