
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় একজন বাংলাদেশী অভিনেতা এবং আবৃত্তিকার। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে এবং টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। তিনি ২০২৩ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত হিসেবে ভূষিত হন। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ১৯৪৬ সালের ২৮ জুলাই খুলনার সাতক্ষীরায় জন্ম গ্রহন করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি বেড়ে উঠেছেন এমন এক পারিবারিক পরিবেশে যেখানে গানবাজনা আর অভিনয় ছিল আলোবাতাসের মতো। তার বাবা ভালো আবৃত্তি আর পাঠ করতেন, বাড়িতে ছিল নিজস্ব থিয়েটারের দল। সেই দল বছরে কয়েকটি যাত্রা এবং নাটক মঞ্চস্থ করতো। তাতে পরিবারের সবাই অভিনয় করতেন।
অনেক ছোটবেলায় এরকমই এক 'পালা'য় বিবেকের সহচর বালক বা 'এক-আনি'র ভূমিকায় জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম মঞ্চে ওঠা। তারপর একটু বড় হয়ে আবৃত্তি আর অভিনয়ের দিকে তার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। পাশাপাশি শিখেছেন গান আর তবলা বাদন। কলেজে পড়তে কলকাতায় গিয়ে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় একটি সাংস্কৃতিক দলের সদস্য হিসেবে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেন। সে সময়ে কলকাতায় কল্যাণ হালদার এবং কাজী সব্যসাচীর আবৃত্তি শুনে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় দারুণভাবে মুগ্ধ হন। ১৯৬৬ সালের দিকে কাজী সব্যসাচীর আবৃত্তির দল অগ্নিবীণার সদস্য হন তিনি ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭০এর দশকে ঢাকা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে একাধিক একক আবৃত্তির অনুষ্ঠান করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। পাশাপাশি ১৯৭০এর দশক থেকে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। তবে ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝি মোরশেদুল ইসলামের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি সূচনা-তে একটি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে সিনেমায় তার প্রথম আত্মপ্রকাশ।
তারপর তারেক মাসুদের 'মাটির ময়না', 'রানওয়ে', হুমায়ুন আহমেদের 'ঘেঁটুপুত্র কমলা' সহ বেশ কয়েকটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং অসংখ্য টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। আবৃত্তিকার ও অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে অফুরান শ্রদ্ধা।
লেখক
শরিফুল রোমান
সংবাদকর্মী
মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ
আঁখি