
ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার সাবাং এলাকায় সোমবার (২৮ জুলাই) ৬.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস (USGS) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ঘটনার সময় দুটি স্থানে কম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানায় সংস্থাটি।
এর আগে রোববার (২৭ জুলাই) আলাস্কায় ৫.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়, যার উপকেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮৩ কিলোমিটার গভীরে। তার আগের দিন শনিবার (২৬ জুলাই) ম্যাককুয়েরি দ্বীপ এলাকায় ৬.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেটির গভীরতাও ছিল ১০ কিলোমিটার।
গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) প্রশান্ত মহাসাগরের ওয়ালিস ও ফুটুনা দ্বীপপুঞ্জে ৬.৬ মাত্রার দুটি পৃথক ভূমিকম্প হয়। প্রথমটি ঘটেছিল মাতাউতু শহরের কাছে, যার গভীরতা ছিল ৩১৪.২ কিলোমিটার, এবং পরেরটি গোরোনটালো দ্বীপের কাছে, যার গভীরতা ছিল ১৪৪.৬ কিলোমিটার।
ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পটি আলাস্কার আরেকটি ভূমিকম্পের ঠিক পরদিনই ঘটে, যেখানে ৪.৮ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় স্যান্ড পয়েন্ট এলাকায়, গভীরতা ছিল ৩৮.৪ কিলোমিটার।
এর আগে রাশিয়ার পেত্রোপাভলোভস্ক শহরে ৬.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয় একই দিনে, মঙ্গলবার। এরপর সোমবার (২১ জুলাই) আলাস্কার আদাক এলাকায় ৫.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প রেকর্ড করে ইউএসজিএস।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এভাবে একাধিক মাঝারি ও শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনা ভূতাত্ত্বিক মহলে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের এমন ধারাবাহিকতা ভূগর্ভস্থ চাপের সঞ্চয় ও স্থানচ্যুতির একটি প্রভাব হতে পারে।
রাকিব