
ছবি: সংগৃহীত।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের পাঁচটি দ্বীপরাষ্ট্র—অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং সেন্ট লুসিয়া—নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দিচ্ছে তুলনামূলক সহজ শর্ত। মাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করলেই মিলছে এসব দেশের পাসপোর্ট, যা দিয়ে যুক্তরাজ্য, ইউরোপসহ প্রায় ১৫০ দেশে ভিসামুক্তভাবে ভ্রমণ করা সম্ভব।
এই ‘সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট’ কর্মসূচির আওতায় আগ্রহী ব্যক্তি মাত্র ২ লাখ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের রিয়েল এস্টেট বা উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করলেই সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকত্ব লাভ করতে পারেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে অনেক বিত্তবান ব্যক্তি এখন একাধিক পাসপোর্টের দিকে ঝুঁকছেন। ধনী ব্যক্তিরা দ্বিতীয় নাগরিকত্বকে ‘ব্যাকআপ প্ল্যান’ হিসেবে নিচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায় নিরাপদে থাকা যায়।
২০২৪ সালের শেষ চতুর্থাংশে এসব কর্মসূচিতে আবেদন বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। যা থেকে স্পষ্ট, বিশ্বব্যাপী এই ধরনের নাগরিকত্বের চাহিদা বাড়ছে। কেউ কেউ এসব দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসও শুরু করেছেন।
তবে বিষয়টি ঘিরে বিতর্কও রয়েছে। স্থানীয় নাগরিকদের একাংশ মনে করছেন, এই প্রক্রিয়া জাতীয় পরিচয়কে পণ্যে রূপান্তর করছে। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বাইরে সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডিনস সরকার নাগরিকত্ব বিক্রির এই নীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেছে—“নাগরিকত্ব কোনো পণ্য হতে পারে না।”
তবুও করমুক্ত সুবিধা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নত ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও ব্যবসায়িক সুযোগের কারণে এই সহজ নাগরিকত্ব এখন বিত্তবানদের কাছে দিন দিন আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
নুসরাত