
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, কাশ্মীরে সোমবার নিহত তিন জঙ্গি সেই এপ্রিলের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, যাতে ২৬ জন নিহত হন এবং ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা শুরু হয়।
ভারত বলছে, নিহতরা পাকিস্তানি নাগরিক। শ্রীনগরের উপকণ্ঠে সেনা, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযানে তারা মারা যায়। শাহ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া গুলির খোসা এবং স্থানীয়দের শনাক্তকরণে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জঙ্গিদের সাহায্য করেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তান এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কিছু না বললেও রাষ্ট্রীয় মিডিয়া দাবি করেছে, ভারত “ভুয়া সংঘর্ষ” সাজিয়ে পাকিস্তানি বন্দিদের হত্যা করছে—যদিও তারা এর কোনো প্রমাণ দেয়নি।
এর আগে এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই হিন্দু পর্যটক। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে এবং নিরপেক্ষ তদন্ত চায়।
এই হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চার দিন ধরে টানা পাল্টাপাল্টি হামলা চলে, যা পরে ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তিতে রূপ নেয়।
কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। অনেক মুসলিম কাশ্মীরি পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বা স্বাধীনতা চায়। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে এই সংঘাতে।
তথ্যসূত্র: এপি নিউজ
আবির