ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৪১, ২৮ জুলাই ২০২৫

ঢাকার দিনরাত

ঢাকায় কত বিচিত্র উপায়ে যে মানুষের মৃত্যু ঘটে

গত চার দশকে ঢাকা শহরের পরিবেশগত ভারসাম্য চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। ১৯৮০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বেড়েছে সাত গুণ। ভূমির তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হারিয়ে গেছে ঢাকার ৬০ শতাংশ জলাধার। অবশিষ্ট জলাধার রয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এলাকায়। ২১ দশমিক ৬ শতাংশ ঢাকার সবুজ আচ্ছাদন কমতে কমতে নেমেছে মাত্র ১১ দশমিক ৬ শতাংশে।

রাজধানী ঢাকা নিয়ে এমন শঙ্কার তথ্য উঠে এসেছে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ প্রকাশিত এক গবেষণায়। রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘প্রকৃতিবিহীন ঢাকা? প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক টেকসই নগর ভাবনার পুনর্বিচার’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে উদ্বেগজনক সব তথ্য উঠে আসে।

মাইলস্টোন-স্কুল ট্র্যাজেডি

ঢাকায় কত বিচিত্র উপায়ে যে মানুষের মৃত্যু ঘটে! অভিনব সব পদ্ধতিতে অপমৃত্যুর শিকার হন ঢাকায় বসবাসকারী মানুষ। পথচারী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, উড়াল সড়ক থেকে কঠিন কোনো বস্তু পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে অক্কা। প্রাইভেট কারের ভেতরে বসে ট্রাফিক নিয়ম মেনে যাচ্ছেন গন্তব্যে। ক্রেনের দড়িদড়া ছিঁড়ে বিশালাকার নির্মাণসামগ্রী পড়ল গাড়ির ওপরে। চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেলেন। আর অধুনা চলছে মব সন্ত্রাস। পাথরে থেঁতলে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা। সড়ক দুর্ঘটনার রয়েছে বিবিধ তরিকা। ভাগ্য ভালো হলে প্রাণে বেঁচে যাবেন, হাড়গোড় ভাঙবে। পঙ্গুত্ববরণ করে নিতে হবে। ঢাকা শহরে যেমন বিচিত্র প্রতারণার ফাঁদ পাতা, তেমনি মৃত্যুরও ফাঁদ পাতা নানা ছলে। 
বিষয়টি তো এমন নয় যে রাস্তার পাশের কোনো রেস্টুরেন্টে বসে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন। সড়ক দিয়ে চলছে বিচিত্র যানবাহন, বিভিন্ন গতির বিভিন্ন আকৃতির। একটি ভারিসারি যন্ত্রদানব বেপরোয়া গতিতে আপনাদের আড্ডাস্থলে এসে গুঁড়িয়ে দিল। এর তবু একটা সান্ত¦না থাকে, বলবেন গাড়িটির যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল, কিংবা চালক নেশাগ্রস্ত ছিলেন। কিন্তু একটি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন শিশুরা, আর তাদের ওপর আছড়ে পড়ল একটি যুদ্ধবিমান।

মুহূর্তে বিস্ফোরণ হলো, আগুন জ্বলে উঠল। তৎক্ষণাৎ মারা গেল অনেকে, আবার অনেকের শরীর অগ্নিদগ্ধ হলো। এই অপমৃত্যুর সান্ত¦না কোথায়। এসব কা-কারখানাকে আমরা দুর্ঘটনা বলে মনকে ধোঁকা দিতে চাই। কিন্তু অনুসন্ধান করলে আমরা জানব দেশের প্রতিটি দুর্ঘটনার পেছনে নিশ্চিতভাবেই রয়েছে বহুজনের গাফিলতি, কর্তব্যে অযোগ্যতা কিংবা অবহেলা এবং স্বেচ্ছাচারিতা।
আসা যাক আকাশে ভেসে থাকতে ব্যর্থ হয়ে প্রচ- গতিতে মুখ থুবড়ে ভূপাতিত হওয়া (এক্ষেত্রে ভবনে আছড়ে পড়া হবে) প্রশিক্ষণ বিমানের প্রসঙ্গে। এতে নিহত কোনো শিশুর বাবা-মায়ের মানসিকতার কথা ভাবুন। তিনি কাকে দুষবেন? প্রথমেই বলবেন বিমানের ত্রুটির কথা। এক সময় না একসময় মন বলবেই বিমান চালকের কথা। প্যারাসুটে ঝাঁপ দিয়ে নেমে আসা বিমান চালক কি খুব বেশি আহত হয়েছিলেন? তাকে উদ্ধার করে সেনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

এখানে সন্দেহ করার কিছু নেই। বাইরে থেকে অবস্থাদৃষ্টে মনে না হলেও নিশ্চয়ই তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তা না হলে স্বল্প সময়ের ভেতর প্রাণ হারাবেন কেন? এই মৃত্যু নিয়েও সমাজ সন্দেহ করছে। কদর্য সব সন্দেহের তীর ছোড়া হচ্ছে। কী অবাক করা কথা! আমাদের সমাজ যে ভীষণ নেতিবাচকভাবে বদলে গেছে তার নমুনা হলো মানুষ কদর্য সব সন্দেহ করছে, গালগল্প ছড়াচ্ছে।
যাহোক, প্রথমত প্রশ্ন উঠেছে বিধ্বস্ত বিমানটির ফিটনেস নিয়ে। আকাশে স্বল্প সময়ের জন্য উড্ডয়নের পরই কি বিমানটি ফিটনেস হারিয়েছিল? যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে বিমানটি কারিগরী দিক দিয়ে শতভাগ নিরাপদ উড্ডয়ন উপযোগী ছিল না, এমনটাই ভাবনায় আসবে। যে কোনো বিমান উড্ডয়নের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়, এটাই বিধিবদ্ধ নিয়ম।

সেখানে কি কোনো গাফিলতি ছিল? বিমান এবং তার চেকিং প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্ন উঠলে তার দায়ভার বিমানবাহিনীর ওপরেই বর্তায়। বিমান কেনার কথা অবধারিতভাবে ওঠে, ওঠে ক্রয়পদ্ধতির কথা, সন্দেহের উদ্রেক ঘটবে বিমান কেনায় অনিয়ম অস্বচ্ছতা নিয়ে। মানুষের মন, এত এত শিশুর প্রাণ গেল, তাই সন্দেহটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে আমরা কাকে দুষব?
মাইলস্টোন স্কুলের অবস্থানের কথা প্রথমদিকে কেউ বলেননি। শুধু মাইলস্টোন প্রতিষ্ঠানই কি, বিমান উড্ডয়ন-অবতরণ সীমান্তরেখার মধ্যে বা সরলভাবে এয়ার রুটের ভেতের আর কি কোনো ভবন নেই? প্রতিষ্ঠান নেই?
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কারিগরিভাবে বৈধ হলেও এটি কার্যত অনিরাপদ এলাকায় অবস্থিত। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ার (বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ অঞ্চল) মধ্যে পড়েছে। বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ায় থাকা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ জনসমাগম হয়, এমন সব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) ‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা: জননিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় ও করণীয়’ শীর্ষক এক তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছিল। শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব বিষয় তুলে ধরে বিআইপি।
১৯৯৫ সালে যখন ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) হয়, তখন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এলাকা জলাশয় ছিল। এটি বিমানবন্দরের জন্য উপযোগী ছিল উল্লেখ করে আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, মাইলস্টোনের জন্য নিচু এলাকা ভরাট করতে দেয় রাজউক। মাইলস্টোনের নিচু এলাকা ভরাটে রাজউক কেন বাধা দেয়নি, সেই প্রশ্ন রেখে এই পরিকল্পনাবিদ বলেন, রাজউক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কেউ নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি। যারা ভবন তৈরি করেছেন, তারা নিজেরাও অঙ্গীকার ঠিক রাখেননি।
বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এলাকায় জনসমাগম হয়, এমন স্থাপনা কত আছে, তা যাচাইয়ে সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ের কমিটি করা উচিত বলে মনে করেন বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। এই পরিকল্পনাবিদ বলেন, যিনি মাইলস্টোন স্কুল নির্মাণ করেছেন, তার দায় আছে। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমতি ও অনাপত্তিপত্র নেওয়ার বিষয় আছে। যারা অনুমতি ও অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের দায়ভার আছে। দায়ভার আছে, এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনলে হয়তো ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানো যাবে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ অনেককে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাদের। হাসপাতালের সামনে ভিড় করেছেন দগ্ধদের স্বজনরা। পাশাপাশি সেদিন উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ২১ জুলাই সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেখা যায়, অ্যাম্বুলেন্সে করে দগ্ধদের নিয়ে আসা হচ্ছে। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। সেখানেও অনেক ভিড়। ভিড়ের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান। সেটি নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের দোতালা একটি ভবনে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।’
দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনের জন্য বিমানবাহিনী ইতোমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিশু শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ অন্তত ৫১ জন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল ছুটির সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আবার ক্লাস শেষে কারও কারও কোচিং চলছিল। যে ভবনে বিমানটি আছড়ে পড়ে, সেটির পাশে ছিল শিশুদের খেলার দোলনা। কেউ কেউ তখন দোলনায় ছিল। এজন্য হতাহতদের বেশির ভাগই শিশু।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার, স্কাউটসহ স্বেচ্ছাসেবীরা। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান অনেকে। হতাহতদের উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হয় উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালসহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অন্তত আটটি হাসপাতালে হতাহতদের নেওয়ার খবর জানা গেছে। পরে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটে যান হতাহতদের স্বজনরা। স্বজনদের আর্তনাদ-আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালগুলো।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের বেশির ভাগই দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাছাড়া নিহতদের মধ্যে অনেকের শরীর এমনভাবে ঝলসে গেছে যে তাদের চেহারাও চেনা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যাবে না, তাদের মৃতদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
হতাহতের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। গত মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা এবং পালন করে সরকার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে।
বাস্তবতা হলো এর আগেও প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৈমানিকের মৃত্যু পর্যন্তও হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম একটি ভবনে বিমান আছড়ে পড়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রাণহানি ও মারাত্মক দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটলো। এটি জাতীয় ট্র্যাজেডি।
স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ প্রসঙ্গ

অধ্যাপক ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, বলেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ চেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। বুধবার চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
আগে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ টাকা, এখন দিতে হয় ৫ লাখ, বললেন মির্জা ফখরুল। শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান রচিত ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’ শীর্ষক বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। 

২৭ জুলাই ২০২৫

[email protected]

প্যানেল হু

×