ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

ফলের মৌসুমে সাবধান

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ৯ মে ২০২৫

ফলের মৌসুমে সাবধান

বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন ফলমূল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেশ আশাব্যঞ্জক। আমের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে গত বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ। তবে কমতে পারে লিচুর উৎপাদন। এবার শীতের স্থায়িত্ব ছিল কম। লিচুর মুকুল আসার সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে পরাগ রেণু নষ্ট হয়ে যায়। এর সঙ্গে দিন-রাতের তাপমাত্রার হেরফের হয়েছে। তাই লিচুর উৎপাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে। আম ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬২২ টন, লিচু ২ লাখ ৩০ হাজার ৪৮০ টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এবার ২ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬২২ টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর এ জেলায় ১০ শতাংশ বেশি আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে গত বছর পৃথিবীর ৩৮টি দেশে ১ হাজার ৩২১ টন আম রপ্তানি হয়। এ বছর সে  লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টন। আমের মোট রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশ যায় ইংল্যান্ডে।  দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইতালি এবং তৃতীয় সৌদি আরব। দেশে মধুমাসে মৌসুমি ফল আমের অভিষেক হয় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত সাতক্ষীরার আম দিয়ে। এ জেলার আম আগে পাকে এবং সুস্বাদু হওয়ায় দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে আম পাড়লে এবং বাজারজাত করলে আমের মান ভালো থাকে। দেশের অন্যান্য  জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কৃষি অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের কঠোর নজরদারি করতে হবে মাঠ পর্যায়ে, যেন কোনো অসাধু গোষ্ঠী উচ্চ লাভের আশায় অকালপক্ব আম কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করতে না পারে।
এদিকে অপরিপক্ব আম বাজারজাত বন্ধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত ১০ হাজার ৬২০ কেজি অপরিপক্ব আম ধ্বংস ও তিনজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় লিচুর উৎপাদন সবচেয়ে বেশি। এ জেলাগুলোয় চায়না-২ প্রজাতির লিচুর চাষ বেশি হয়। আশির দশকে চীন থেকে এ প্রজাতি আনা হয় বাংলাদেশে। দেশের মাটি ও আবহাওয়ার সঙ্গে বেশ ভালোভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এ প্রজাতি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিচুর ফলন হয় পাবনা জেলায়। তৃতীয় দিনাজপুর। এখানে বেদানা জাতীয় লিচুর উৎপাদন হয় বেশি। দেশে বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষ হয় বোম্বাই, বেদানা ও চায়না-২ প্রজাতির লিচু। বেদানা প্রজাতির লিচুর আকৃতি বড় ও রস বেশি হওয়ায় এর দাম বেশি। পাবনা ও গাজীপুরে বেদানা জাতের লিচুর উৎপাদন বেশি হয়। দেশের গ্রামগঞ্জ, মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে, বাড়ির আঙিনায়, স্কুল প্রাঙ্গণ সর্বত্র রয়েছে কাঁঠালগাছ। এসব গাছে ছোট-বড় কাঁঠালের ছড়াছড়ি। কোনোটির রং হলুদ, বাদামি, কিংবা সবুজ কাঁঠাল। আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই কাঁঠাল বাজারে উঠতে শুরু করবে। ফলে পূর্ণ হবে মধুমাস।

প্যানেল

×