
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে খাল-নালায় পড়ে মৃত্যুর কথা শোনা যাচ্ছে অহরহ। নিত্যনতুন এ যেন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সড়ক থেকে অলিগলি, সর্বত্রই খোলা নালার ছড়াছড়ি। আর কিছু নালা দেখে মনে হয় এ যেন একটি খাল। নগরবাসীর চলাচলের পথে নালাগুলো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঘটছে দুর্ঘটনা, হারাচ্ছে তাজা প্রাণ। এমন ঘটনা চট্টগ্রামে আগেও ঘটেছে। ২০২৩ সালে আগ্রাবাদে খোলা নালায় পড়ে মারা যায় দেড় বছরের একটি শিশু। এর আগে আরও বেশ ক’জন শিশু ও শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে একইভাবে। কিছুদিন আগেই চকবাজার খালে পড়ে ছয় মাসের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো নগরবাসীকে। আগ্রাবাদ-চকবাজারে এমন হচ্ছে তা কিন্তু নয়, হালিশহর, বাকলিয়া, বায়েজিদ ও নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় খোলা বা ভাঙা নালার কারণে দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে এসব নালা পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়ে পথচারীর জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বর্ষাকালে এমন দুর্ঘটনা বেশি বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় নালার মুখ রাস্তার সমান হয়ে যায়, ফলে বোঝার উপায় থাকে না কখন পা পিছলে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ অনুরোধ, এসব খোলা নালা, খাল ও ড্রেন ঢেকে দেওয়ার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরি।
উম্মে সালমা
চট্টগ্রাম কলেজ
প্যানেল