
মেট্রোরেলে একদিনে রেকর্ড ৪ লাখ ৩ হাজার যাত্রী! বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোরেলে একদিনে ৪ লাখ ৩ হাজার ১৬৪ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। ফেসবুকে ভেরিফায়েড পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
‘সিএনজি’ : জিম্মি যাত্রী
নৈরাজ্যের লাইসেন্স!
যে কোনো আধুনিক মহানগরেই থাকে নানা ধরনের গণপরিবহন। অনেকে বাস-মিনিবাসের বদলে খোঁজেন অটোরিক্সা, ট্যাক্সি। মধ্যবিত্তের পছন্দ অটোরিক্সা। অথচ এর চালক-মালিকেরা নানা অনিয়ম করে চলেছেন একেবারে শুরু থেকেই (২০০৩)। আর পকেট কাটা পড়ছে সাধারণ যাত্রীর। বলা যায় যাত্রীদের জিম্মি করেই তারা নৈরাজ্য চালু রেখেছেন। তাদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে একশন নিতে গেলেই তারা রেগে যান এবং সড়ক অবরোধ করে বসেন। সিএনজি বা পেট্রোলচালিত অটোরিক্সার চালক মিটারের বেশি ভাড়া আদায় করলে তার বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার প্রতিবাদে চালকেরা রবিবার সকাল থেকে সড়কে নেমে অবরোধ করেন। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পুলিশকে এই নির্দেশনা দেয়। ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় রবিবার সকাল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিক্সাচালকদের অবরোধ চলে। সকাল ৬টার পর থেকে তারা অবস্থান নেওয়া শুরু করেন। পরে তারা সড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে অফিসগামী সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। গ্যাস বা পেট্রোলচালিত ৪ স্ট্রোক থ্রি-হুইলার যান (অটোরিক্সা) মিটারে না চললে চালকের জরিমানাÑসম্পর্কিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সাম্প্রতিক নির্দেশনাটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করা হয়। তার মানে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের অন্যায় কর্মকাণ্ড মেনে নেন। সিএনজি ড্রাইভাররা বছরের পর বছর ধরে যাত্রীদের সঙ্গে অন্যায় করে যাচ্ছে, সরকার সেই অন্যায়ের প্রতিবিধান করার চেষ্টা করছে কিন্তু এটা তারা মানছে না, মানে তারা অন্যায় করেই যাবে। যাত্রীদের আগের মতোই বেশি ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হবে এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে অটোরিকশাচালকদের মর্জির ওপর নির্ভর করতে হবে। মালিকেরাও চালকদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করতে থাকবে। রীতিমতো মগের মুল্লুক!
অটোরিকশার বর্তমান সর্বনিম্ন (প্রথম দুই কিলোমিটার) ভাড়া ৪০ টাকা, অর্থাৎ একজন যাত্রী চাইলে ৪০ টাকায় অটোরিকশা ভাড়া করার সুযোগ পাবেন। দুই কিলোমিটারের পরের প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা নির্ধারিত আছে। অবশ্য চালকেরা ভাড়া নেন কার্যত দ্বিগুণ। দেড় শ টাকার নিচে স্বল্প দূরত্বের পথে যাওয়া যায় না। একটু বেশি দূরত্ব হলেই ভাড়া চাওয়া হয় আড়াই শ টাকা বা তার বেশি। বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন অথবা লঞ্চঘাটের মতো জায়গা থেকে কোথাও যেতে চাইলে অনেক বেশি ভাড়া হাঁকা হয়। সকালে অফিস শুরুর সময় এবং বিকেলে ছুটির সময় ভাড়া বাড়িয়ে দেন চালকেরা।
নতুন কবিতা,
কবির অনুভূতির রঙ
নিউইয়র্কে বসবাসকারী কবি ও স্থপতি লায়লা ফারজানার প্রথম কবিতার বইটি বেরিয়েছিল ২০২২ সালে; সেবার তিনি মেলায় ছিলেন নিয়মিত। এবার মেলায় এসেছে তাঁর দ্বিতীয় কাব্য নীল ইগুয়ানা, যদিও এবার তিনি মেলায় অনিয়মিত। তাঁর কবিতা এরইমধ্যে কবিসমাজ ও কবিতা-বোদ্ধামহলে সমাদৃত হয়েছে। নতুন গ্রন্থ মানেই নতুন ধরনের কবিতার সমাহার তাতে ঘটবে, এমনটা সব সময় দেখা যায় না। লায়লা ফারজানার কবিতা ব্যতিক্রমধর্মী নতুন কবিতার স্বাদ এনে দিয়েছে। তাঁর দুটি বই বাংলাদেশের কবিতাঙ্গনে বিষণ্নতা, উৎসব, বাস্তব-পরাবাস্তব, মূর্ত-বিমূর্তের মিশ্রণে এক ভিন্নতর অনুভূতি-অভিজ্ঞতার প্রকাশ। শত কবির একই ধরনের কবিতা পড়তে পড়তে ক্লান্ত কবিতাপাঠকদের জন্যে তাঁর কবিতা এক পরম প্রাপ্তি; আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠার সম্ভাবনায় উজ্জ্বল।
মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশিত এই ‘নীল ইগুয়ানা’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে কবি লায়লা ফারজানা চমকে দেয়ার মতোই উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলছেন: ‘আমি অনুভূতি আক্রান্ত হয়ে কবিতা লিখি, আর স্পষ্টভাবে সেই অনুভূতির একটা বিশেষ রঙ এবং চিত্রকল্প টের পাই। সে-রঙ, চিত্রকল্প এবং দৃশ্যপটকেই আমি বিমূর্ততায় ত্রিমাত্রিক রূপে প্রকাশ করতে চেষ্টা করি। হয়ত এর কারণ আমার স্থাপত্য পেশা এবং আমার দীর্ঘদিনের তৈলচিত্র-চর্চার প্রভাব।...আসলে আমি বিশ্বাস করি, কবিতাকে শুধুমাত্র শব্দে ধারণ করা যায় না। তার জন্য প্রয়োজন ভাব, উপমা, রূপক, রঙ, চিত্রকল্প, দূরত্ব, নীরবতা এবং ত্রিমাত্রিক জগতের উপলব্ধি আর জ্ঞান।... আমি বলতে চাই বলেই লিখি। আমি লিখতে চাই বলে লিখি। আর কবিতাগুলি জমির মত, অনুভূতি ভরা শব্দ, রঙ আর নীরবতা বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। হয়ত যা বলতে চাই এখনো বলতে পারিনি, যে কবিতাটি লিখতে চাই এখনো লেখা হয়নি, তাই লিখেই চলেছি শেষ কবিতাটির অপেক্ষায়।’
টিসিবির পণ্য এবং অভিযোগ
টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে ট্রাকে আর মানুষের ভিড় দিনদিন বাড়ছে। শফিকুল ইসলামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন জনস্বার্থেই বেশি প্রচার হওয়া দরকার। এ থেকে কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে মানুষ উপকৃত হবে।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। মাঝখানে কিছুটা বিরতির পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় এ কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। গত সপ্তাহের সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকা শহরের আটটি স্থানে টিসিবির ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রম ঘুরে দেখেন প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদক। এসময় ক্রেতারা টিসিবির পণ্য বিক্রি নিয়ে অন্তত পাঁচটি অভিযোগের কথা জানান।
সংক্ষেপে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হলো।
ক্রেতার তুলনায় পণ্য কম : টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা ৫৮৮ টাকা খরচ করে ২ লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল), ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ছোলা ও ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারেন। প্রতিটি ট্রাকে ২০০ জনের পণ্য থাকে। অথচ প্রায় প্রতিটি ট্রাকের পেছনেই ৩০০-৪০০ মানুষের সারি দেখা যায়। জনবহুল আবাসিক এলাকায় মানুষের সংখ্যা আরও বেশি থাকে। টিসিবির ট্রাক থেকে এসব পণ্য কিনলে একজন ভোক্তার ৪০০ টাকার মতো সাশ্রয় হয়। মূলত এই অর্থ সাশ্রয়ের জন্যই তীব্র ভিড় সত্ত্বেও মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু ক্রেতার তুলনায় পণ্য কম থাকায় শেষ পর্যন্ত অনেকে পণ্য কিনতে না পেরে খালি হাতে ফেরত যান।
স্থান ও সময় জানেন না ক্রেতারা : টিসিবির নিবন্ধিত ডিলার বা সরবরাহকারীরা ট্রাকে করে প্রতিদিন ঢাকা শহরের ৫০টি ও চট্টগ্রামের ২০টি স্থানে ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি করেন। তবে প্রতিদিন একই জায়গায় পণ্য বিক্রি হয় না; একই ওয়ার্ডের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ট্রাক যায়। ফলে সীমিত আয়ের অনেক ক্রেতা ঠিক কোথায় পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তা জানেন না। আবার লম্বা সময় নিয়ে ট্রাক খোঁজাও তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
টোকেন ছাড়া পণ্য বিক্রি : টিসিবির ট্রাকের পেছনে নারী ও পুরুষেরা সাধারণত দুটি সারিতে দাঁড়ান। অনেক পরিবেশক ট্রাক নিয়ে আসার পর উপস্থিত মানুষের মধ্যে টোকেন বিতরণ করেন। তখন টোকেনের সিরিয়াল অনুসারে ক্রেতারা পণ্য কেনেন। তবে সরজমিনে দেখা গেছে, অনেক পরিবেশক টোকেন ছাড়াই পণ্য বিক্রি করেন। টোকেন না থাকলে অনেক ক্রেতা আগে পণ্য নেওয়ার জন্য লাইন ভেঙে সামনে চলে যান। তাতেই শুরু হয় হট্টগোল।
বিশৃঙ্খলা, মারামারি : টিসিবির ট্রাকের পেছনে আরেকটি নিয়মিত চিত্র হচ্ছে বিশৃঙ্খলা, ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনা। গত সপ্তাহের চার দিনে রাজধানীর আটটি স্থান ঘুরে দেখেন এই প্রতিবেদক। প্রতিটি স্থানেই পণ্য বিক্রিতে চরম বিশৃঙ্খলা ও ক্রেতাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা দেখা গেছে। এই চিত্র সবচেয়ে প্রকট নারীদের সারিতে।
করা হয় খারাপ ব্যবহার : টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। তাঁদের অভিযোগ, ট্রাকের বিক্রেতারা (পরিবেশক, চালক ও সহকারী) সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এর মধ্যে গালাগাল যেন নিয়মিত ঘটনা। কখনো কখনো পানি ছুড়ে মারেন এবং সজোরে ধাক্কা দেন।
বইমেলা কড়চা
সত্যপ্রকাশের দায়বোধ থেকে বলতেই হবে এবার বইমেলায় লেখকেরা কম যাচ্ছেন। ভালো ও মানসম্পন্ন বইও কম প্রকাশিত হচ্ছে। শুরু থেকেই অঘটন ও বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছে একুশের বইমেলা। নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরীনের একটি বইকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। প্রকাশকের স্টল আক্রান্ত হয়েছে। এই ঘটনার পর স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা পর্যন্ত নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। অপরদিকে কবি সোহেল হাসান গালিবের একটি পুরনো বইয়ের একটি লেখাকে কেন্দ্র করে তাঁকে আক্রমণের হুমকি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখন গালিব আছেন কারাগারে। কবির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সর্বশেষ মেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি বন্ধ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া হয়। বইমেলায় নারী ও শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্যের ‘স্টে সেইফ’ ব্র্যান্ডের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে দুটি স্টলে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যেত। কিন্তু বইমেলার নীতি অনুযায়ী মেলায় বই ও খাবার ছাড়া অন্য কিছু বিক্রির সুযোগ নেইÑ এ কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ ওই দুটি স্টল বন্ধ করে দেয়। এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লেখক আইরীন সুলতানা লেখেন: ‘ মেলায় হতে পারে এদের (কিশোরী ও নারী) মধ্যে কারও প্যাড ওভার ফ্লো করে জামা/শাড়িতে দাগ লেগেছে, হতে পারে কারও পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না কিন্তু পিরিয়ড হুট করে শুরু হওয়াতে জরুরি ভাবে প্যাড পরতে হবে টয়লেটে গিয়ে। এসব জরুরি দৃশ্যে নারীরা কী করবে? এই জরুরি পরিস্থিতি না ভাবতে পারাটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের পুরুষতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা, রক্ষণশীলতা এবং কূপমণ্ডুকতা। বইমেলায় স্যানিটারি প্যাড ‘বিক্রি’ অনুমোদনহীন হতেই পারে। কিন্তু বইমেলায় ’বিনামূল্যে’ স্যানিটারি প্যাড পাওয়ার ব্যবস্থা না রাখা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নারীস্বাস্থ্য বিষয়ে দৈন্য বোধবুদ্ধির পরিচয় স্পষ্ট করে।’
নারীদের ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ বাড়তে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে বক্তব্য দেয়। এতে মেলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যবসায়িক চুক্তির বিষয়টি খোলাসা হয়ে পড়ে। যাহোক, একাডেমি কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়: ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। ইভেন্ট ওয়াশরুমের পাশে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা রাখবেÑ এটাও আমরা নিশ্চিত করছি।’
আসা যাক মেলার হালফিল চিত্রে। মাত্র পাঁচ মিনিট বইমেলার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে চারদিক একটু খোলা চোখে তাকালেই মেলাপ্রেমীদের মানসিকতা বুঝে ফেলা যায়। বুঝবেন, বইমেলায় বহুজন আসেন, কিন্তু বই ছুঁয়েও দেখেন না। ভুল বললাম। নান্দনিক বইঘরের সামনে দাঁড়িয়ে একখানা বই হাতে তুলে নেন। সঙ্গীটি মোবাইলের ক্যামেরা তাক করে নানা দিক থেকে ছবি তোলেন। আবার দুজনে সেলফিও তোলেন। তারপর বইটি রেখে দেন। কোনো কোনো বিক্রেতা তাই বাধ্য হয়েই নোটিস টাঙাচ্ছেন: ‘আগে বই কিনুন, তারপর সেই বই হাতে নিয়ে স্টলের সামনে যত খুশি সেলফি তুলুন। ক্রেতা-পাঠকদের বই দেখার সুযোগ দিন।’ তবে বই হাতে ছবি তোলার মতো মানুষ খুব বেশি হয়তো না। অধিকাংশই বইয়ে হাত দেন না। ঘুরেফিরে সাজানো দোকান দেখেন। সারিবদ্ধ বইয়ের দোকানগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে চলে যান। বইকে কেন্দ্র করে, বইয়ের জন্ম উপলক্ষে যে মেলা, সেখানে বহু মানুষ আসছেন শুধু বেড়াতে।
তবে মানতেই হবে, বেড়ানোর দারুণ জায়গা বলেই প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বইমেলায় আসেন। এই জায়গাটা এমন প্রাণপ্রাচুর্যে ভরে উঠেছে এখানে একটা মেলা হচ্ছে বলে। মেলাটা বইয়ের, হাঁড়িচুড়ি ফুলফল সবজি কম্পিউটারের নয়। বইয়ের মেলা, প্রতিদিনই শত শত একদম নতুন বইয়ের জন্ম হচ্ছে এখানেই! কিন্তু বইটাই যে অনেকের জীবনে অনেকটাই বর্জনীয়। বই পড়তে কষ্ট হয়। ঘুম পায়। চোখে ব্যথা হয়। তার বদলে স্মার্টফোনে তাকিয়ে থাকার কী যে মজা!
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
[email protected]