
ছবি: সংগৃহীত
কিডনি আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি রক্ত পরিশোধন করে, শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু দেহে বর্জ্য পদার্থ জমে গেলে কিংবা রক্তচাপ বেড়ে গেলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে। এতে দেখা দিতে পারে ক্লান্তি, শরীর ফোলা বা আরও জটিল সমস্যা। তবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার যোগ করলে কিডনির সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের ৮টি খাবার নিয়মিত খেলে কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ও দীর্ঘমেয়াদে তা সুরক্ষিত থাকে।
১. ফুলকপি
ফুলকপিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ কম, কিন্তু এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি শরীর থেকে টক্সিন কমাতে সাহায্য করে। কিডনির জন্য উপযোগী একটি সবজি হিসেবে ফুলকপির গুরুত্ব অপরিসীম, বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ পটাশিয়ামজাত খাবার এড়াতে চান।
২. আপেল
আপেলে রয়েছে পেকটিন নামে একটি দ্রবণীয় আঁশ, যা রক্তে চিনি ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং কিডনি-সংক্রান্ত ঝুঁকি কমায়।
৩. রসুন
রসুন প্রাকৃতিকভাবে রক্ত বিশুদ্ধ করার উপাদান হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে প্রদাহ-নিবারক উপাদান। পাশাপাশি এটি খাবারে লবণ না দিয়েও স্বাদ বাড়ায়, যা কিডনির জন্য উপকারী, বিশেষ করে যাঁরা সোডিয়াম কম খাচ্ছেন।
৪. লাল বেল মরিচ
পটাশিয়াম কম কিন্তু ভিটামিন সি, বি৬ এবং ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর এই সবজিটি কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
৫. বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যালস আছে, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং কিডনির কাজের চাপ কমায়। এটি পটাশিয়াম কম হওয়ায় কিডনির জন্য নিরাপদ সবজি।
৬. বেরি (বিশেষ করে ব্লুবেরি ও ক্র্যানবেরি)
বেরিগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে, যা কিডনিকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ব্লুবেরি প্রদাহ প্রতিরোধ করে, আর ক্র্যানবেরি ব্লাডার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৭. অলিভ অয়েল
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে ভরপুর অলিভ অয়েল কিডনির উপর কম চাপ ফেলে। এটি রক্তে চিনি এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা কিডনির দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
৮. ফ্যাটি ফিশ (যেমন সালমন, ম্যাকেরেল)
এই মাছগুলোতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহে প্রদাহ কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। নিয়মিত এই মাছ খেলে কিডনির দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।
নোভা