
ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবেটিস নিয়ে জীবনযাপন সহজ নয়, বিশেষ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে। ডায়াবেটিস হলো একটি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা, যা শরীরের খাবারকে শক্তিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যা যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে হৃদরোগ, কিডনি ক্ষতি, স্নায়ু ক্ষতি ইত্যাদির মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিস সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা জরুরি। কিছু খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই কী খাওয়া উচিত নয়, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, সুষম খাদ্য, ব্যায়াম এবং নিয়মিত ব্লাড সুগার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিচের ১০টি খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন
১. মিষ্টিযুক্ত পানীয়:
সফট ড্রিংক, স্পোর্টস ড্রিংক ও মিষ্টি পানীয় রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়। এসব পানীয়ে প্রচুর চিনি ও ক্যালরি থাকে, যা ওজন বৃদ্ধি এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স সৃষ্টি করতে পারে।
২. পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট:
সাদা পাউরুটি, মিষ্টি নাশতা ও বেকড খাবারে উচ্চ পরিমাণে চিনি ও খালি ক্যালরি থাকে। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়।
৩. প্রক্রিয়াজাত মাংস:
সসেজ, হটডগ, বেকনের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংসে উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম, প্রিজারভেটিভ এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. ভাজাপোড়া খাবার:
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রাইড চিকেন বা ডোনাটস-এর মতো খাবারে প্রচুর ক্যালরি, ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি থাকে। এগুলো ওজন বৃদ্ধি, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার:
ক্যানজাত স্যুপ, প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস এবং ফ্রোজেন খাবারে প্রচুর লবণ থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সোডিয়াম সীমিত রাখা জরুরি।
৬. স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার:
মাখন, লার্ড এবং পার্শিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল-জাতীয় খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় ও হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ায়।
৭. উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) সম্পন্ন খাবার:
আলু, ভুট্টার মতো খাবার রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়। এ ধরনের খাবারে ফাইবার ও পুষ্টি কম থাকে এবং খালি ক্যালরির পরিমাণ বেশি।
৮. চকলেট ও মিষ্টি:
চকোলেট, ক্যান্ডি বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে প্রচুর চিনি থাকে যা কোনো পুষ্টিগুণ না দিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়।
৯. সাদা ভাত:
সাদা ভাত একটি পরিশোধিত শর্করা যা পুরো শস্যের তুলনায় দ্রুত রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়।
১০. সস ও সালাদ ড্রেসিং:
অনেক সস ও সালাদ ড্রেসিংয়ে গোপনে প্রচুর চিনি ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট করে ও বাড়তি ক্যালরি যোগ করে।
আবির