
জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হতে সম্মত হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পূর্ণাঙ্গ সত্য উন্মোচনের শর্তে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গত ১০ জুলাই একটি লিখিত আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানায়, যা ১২ জুলাই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়।
আদেশে বলা হয়, “মামলার প্রেক্ষাপট ও তথ্য পর্যালোচনায় ট্রাইব্যুনাল মনে করে, অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ক্ষমা প্রদান করা উপযুক্ত। তবে এর শর্ত হচ্ছে—তিনি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য ও যারাই এতে জড়িত ছিলেন, প্রধান হোক বা সহযোগী, তাদের সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও সৎ বিবরণ দেবেন। তিনি এই শর্তসাপেক্ষ ক্ষমা গ্রহণ করেছেন এবং সেই অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী হিসেবে তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য উপযুক্ত সময়ে তাকে হাজির করা হবে।”
আদেশে আরও বলা হয়, “যেহেতু অভিযুক্ত মামুন শর্তসাপেক্ষ ক্ষমা পেয়েছেন এবং তা গ্রহণ করেছেন, তাই তাকে অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা করে রাখা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হলো যেন নিরাপত্তার স্বার্থে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অন্য বন্দিদের থেকে পৃথক করে রাখা হয়।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এএসএম রুহুল ইমরান বলেন, “এই আদেশটি ১০ জুলাই জারি করা হয় এবং এর একটি কপি ইতোমধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
ওইদিনই তিন সদস্যবিশিষ্ট ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে।
সানজানা