
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান কর্মবাজারে শুধু অভিজ্ঞতা নয়, প্রোফাইলের উপস্থাপনাও হয়ে উঠছে বড় একটা ফ্যাক্টর। বিশেষ করে জেনারেশন জেড, যারা ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মেছেন, তাদের জন্য প্রোফেশনাল প্রোফাইল মানে শুধু জীবনবৃত্তান্ত নয়, বরং একটা ডিজিটাল পরিচয়।
LinkedIn ব্যবহারেও এসেছে এই প্রজন্মের ছোঁয়া। একাধিক জরিপে দেখা গেছে, জেন-জেড প্রফেশনালরা এখন ব্যক্তিত্ব, উদ্দেশ্য ও স্টাইল দিয়ে প্রোফাইল সাজিয়ে চাকরি বা নেটওয়ার্কে এগিয়ে যাচ্ছেন।
নিচে ১০টি কার্যকর ধাপ তুলে ধরা হলো যা অনুসরণ করলে LinkedIn প্রোফাইল পাবে জেন-জেড ভাইব এবং কর্পোরেট দুনিয়ায় বাড়বে গ্রহণযোগ্যতা:
১. হেডলাইন হবে পরিচয় নয়, প্রভাব
"Student at XYZ University" নয়, বরং “Aspiring Data Analyst | Passionate About Ethical AI”—এমন হেডলাইন নজর কাড়ে।
২. প্রোফাইল ছবি হবে প্রফেশনাল, তবে কৃত্রিম নয়
স্মার্ট, হাস্যোজ্জ্বল এবং নিজস্ব ঘরানায় তোলা ছবি বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়।
৩. ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যানারেই থাক প্রেরণা বা পোর্টফোলিও লিংক
ব্যানারে নিজের কাজ, কোট বা ব্যাক্তিগত ব্র্যান্ডিং উপাদান দিন।
৪. ‘About’ সেকশনে বলুন আপনি কে, কেন, এবং কোথায় যেতে চান
কী করছেন না, বরং কেন করছেন—এই গল্পটাই আগ্রহ তৈরি করে।
৫. অভিজ্ঞতা অংশে শুধু দায়িত্ব নয়, অর্জনগুলো তুলে ধরুন
যেমন: “Led a 3-member team to develop a marketing plan that increased engagement by 40%.”
৬. প্রজেক্ট ও ভলান্টিয়ার কাজগুলো দিন গুরুত্ব
জেন-জেডরা শুধু চাকরির অভিজ্ঞতা নয়, সমাজসচেতন ও উদ্যোগী—এটা ফুটিয়ে তুলুন।
৭. কনটেন্ট শেয়ার করুন নিজের চিন্তা দিয়ে
জব পোস্ট শেয়ার নয়, বরং নিজের অভিজ্ঞতা, রিভিউ, বা মাইক্রো-ব্লগ দিন নিয়মিত।
৮. স্কিল লিস্টে ট্রেন্ডি ও প্রাসঙ্গিক স্কিল হাইলাইট করুন
‘AI Prompting’, ‘UX Writing’, ‘Sustainability Strategy’—এই রকম হট টপিক স্কিল যুক্ত করুন।
৯. রিকমেন্ডেশন দিন ও নিন
সহপাঠী, সহকর্মী বা শিক্ষক, যারাই পারেন, তাদের থেকে একটি দুইটি রিকমেন্ডেশন সংগ্রহ করুন।
১০. প্রোফাইল URL কাস্টমাইজ করুন
linkedin.com/in/yourname12345 নয়; বরং linkedin.com/in/yourfullname—এটা আরও পেশাদার দেখায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৫ সাল নাগাদ প্রোফেশনাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে জেন-জেডদের উপস্থিতি দ্বিগুণ হবে। তাই শুধু প্রোফাইল খোলা নয়, এটিকে ব্র্যান্ডের মতো পরিচর্যা করাই হবে সফলতার চাবিকাঠি।
ছামিয়া