
বর্তমান সংকট ও উত্তরণের উপায়
দিনকয়েক আগে কার্ফু শিথিলের সময়ে জরুরি এক কাজে রিকশায় ধানমণ্ডি এলাকার এক গন্তব্যে যাচ্ছিলাম। রিকশাচালক বয়সে তরুণ, খুব সম্ভব ২৫-৩০ বছর হবে। যেতে যেতে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলাম, কার্ফুতেও কি চালাবে? ছেলেটি বলল, ‘না, লোকজন কম থাকে।’ কখন নেমেছ, কত টাকা কামাই হলো? ছেলেটির জবাব, ‘সকাল ১০টায় নামছি। ইনকাম হইছে ৪৫০-৫০০ টাকা।’ জমা কত দিতে হয়? ‘১২০ টাকা।’ বললাম খুব বেশি না, এলাকার অলিগলিতে তো চালাত পার। ছেলেটি বলল, ‘আমার বয়স বেশি না। ভয় করে।’ আর কথা বাড়াতে ইচ্ছে হলো না।
পেশাগত কারণে অর্থনীতি শাস্ত্র ও সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে সবটাতেই প্রথমে অর্থনীতির গন্ধ খোঁজাই আমার কাজ। কিন্তু ঘোর সংকট এলে অর্থনীতির প-িত কিংবা রিকশাওয়ালা, সবারই অর্থনীতির ভাবনা এলোমেলো হয়ে যায়, উবে যায় স্বাভাবিক ভাবনা-চিন্তা। কটা টাকা বেশি দিয়ে গন্তব্যে নেমে পড়লাম। কাজ সেরে ফিরে যেতে যেতে ভাবছিলাম, যে কেনো চিন্তা-ভাবনায় পাঁচ ‘ক’ অর্থাৎ কে, কী, কখন, কীভাবে, কেন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এগোতে হয় এবং শেষে একটি উপসংহার টানতে হয়।
কিন্তু এমনও অনেক সময় আসে, যখন একেবারে উপসংহারে গিয়ে সবটার যতি টানতে হয়। বাংলাদেশও এখন এমনই একটি অভূতপূর্ব অবস্থার মুখে পড়েছে । কারণ, মানুষের মনে বিস্ময়-ভয়-আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা এখন মান-অভিমান-বিশ্বাস-অবিশ্বাস-হতাশা-ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এই অবস্থায় অর্থকড়িনির্ভর মানব অর্থনীতির কথা বলা পুরোপুরি বাচালতা। কারণ, ব্যক্তি মানুষের সমাজ ছাড়া তো রাজনীতি-অর্থনীতি-রাষ্ট্র যা-ই বলি, সবই মূল্যহীন ও অচল। তাছাড়া অর্থনীতি শাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞানের একটি অংশমাত্র।
৫৩ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশ অনেক বড় বড় প্রাকৃতিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করেছে। যেখানে প্রকৃতি (সাইক্লোন, বন্যা, কোভিড-১৯) ও পারিপার্শ্বিকতা (আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক) মূল ভূমিকা রেখেছে। সেসব সংকট কিছু সময় পরে আমরা প্রত্যাশা মতো না হলেও কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে যে সংকটে পড়েছি, তা পুরোপুরি সামাজিক সংকট, যা মানুষের হাতে সৃষ্টি হয়েছে।
এ ধরনের সংকট আর একবার মাত্র স্বাধীন বাংলাদেশে হয়েছে। সেখানেও মান-অভিমান-হতাশা-ক্ষোভ-বিশ্বাস-অবিশ্বাস মিলিয়ে ‘বিস্ময়’ ভর করেছিল। ওই সংকটে সমাজের মানুষরা যে-যার ভূমিকা ঠিকমতো পালন না করায় বাংলাদেশকে চরমভাবে ভুগতেও হয়েছে। কাকতালীয় বিষয় হচ্ছে, এই দুই সংকটের সঙ্গেই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী পুরনো রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশ ভূখ-ের মহানতম নেতা, ত্যাগ স্বীকারকারী পরিবার ও তাঁর সদস্যের নাম জড়িয়ে আছে।
যে দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় মূল ভূমিকা রেখেছে, যে পরিবারের প্রধানসহ সদস্যরা ভালোবাসার প্রতিদান দিতে গিয়ে শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও প্রায় নির্বংশ হওয়ার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছে। তারাই এখন শাসন ক্ষমতায় থেকেও চরম জনবিচ্ছিন্নতায় ভুগছে। দলটির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিবর্গ প্রকাশ্যেই অস্তিত্বের সংকটের কথা বলছে। এই অবস্থা সংগত কারণেই বাংলাদেশের জন্যও মহা এক সামাজিক সংকট সৃষ্টি করেছে, যা আমাদের রাজনীতি-অর্থনীতির পাঁচ ‘ক’ বাদ দিয়ে উত্তরণ-উপসংহারে যেতে বাধ্য করছে।
কারণ, সম্প্রতি নিশ্চিত তথ্য-প্রমাণ মিলেছে, এমন ১৫০ জন বাংলাদেশী নাগরিকের মধ্যে ১১৩ জন বা ৭৫ শতাংশই শিশু-কিশোর-তরুণ, যাদের বয়স সর্বনি¤œ ৪ থেকে সর্বোচ্চ ২৯। তারা মাত্র ৯৬ ঘণ্টার ব্যবধানে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো বস্তু ও প্রাণঘাতী আঘাতে অকালে পৃথিবী থেকে চলে গেছে। অসীম সম্ভাবনাময় এই শিশু-কিশোর-তরুণদের নিজ দেশেই নিজের মানুষের হাতেই মৃত্যু হয়েছে। যা মানুষের মনের মধ্যে সীমাহীন বিস্ময়-দুঃখ-হতাশা-ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
একই সঙ্গে হাজারো সমবয়সী হাজারো মানব সন্তান আহত ও গ্রেপ্তার হয়েছে। সব মানুষের স্বাভাবিক সামাজিক জীবন চালিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য অর্থনৈতিক কর্মকা-কে স্তব্ধ করে দিয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দিনকয়েকের আত্মধ্বংসী এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে বা উত্তরণ ঘটাতে হলে আমাদের সবাইকে বিবেকের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। আমরা জানি, বিবেকের প্রকাশ দু’ভাবে মানুষ করে, সুবিবেচনা ও অবিবেচনা। এখন আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে, আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এই দেশকে আমরা ভালোবাসি। দেশের এ রকম এক মহাসংকটে আমরা সুবিবেচক হব, নাকি অবিবেচক হব? দেশ ও দশের ভালো চাইলে সুবিবেচক হতে হবে। এরপর প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে। দীর্ঘসময় এই সমাজে বসবাস করে মনে হয়, উত্তরণ এভাবে হতে পারেÑ
১. নির্মোহ মানুষের কাছে যৌক্তিক মাত্র একটি দাবি- বিপুলসংখ্যক মানুষের অকাল মৃত্যু ও বহুবিধ ক্ষয়ক্ষতির জন্য কার কী ভূমিকা ছিল, সেটা সবার আগে আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। কারণ, এখানে স্বার্থ-লোভ-মোহ-হতাশা-মান-অভিমান-অবিশ্বাস-ক্ষোভ সব কাজ করেছে, যা সবাইকে এক সময় অস্তিত্বের প্রশ্নের দিকে নিয়ে গেছে। এ রকম এক অবস্থায় সমাজব্যবস্থায় রাজনীতি-অর্থনীতি-রাষ্ট্র কিছুই কাজ করতে পারে না। তার ওপর যদি আগে থেকেই নানা কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চাপ ও কষ্টে থাকে। সেক্ষেত্রে বিবেকবান মানুষের পরিচয় না দিলে রাষ্ট্রের সবই ইতিহাসের নিয়মে ভেঙ্গে পড়বে, যা সংকট আরও বাড়বে এবং অশুভ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে। কারণ, মানুষের সমাজ টিকে থাকে পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ওপর।
২. দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করে গবেষকরা দেখেছেন, যে সমাজে পারস্পরিক বিশ্বাস বেশি, সেখানে আর্থিক বৃদ্ধি ও সুখের হারও তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশি। বাংলাদেশে যদি স্বাধীনতার পর থেকে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস টিকে থাকত, তাহলে আমাদের মাথাপিছু জিডিপি অন্তত ২০-৩০ গুণ বেশি হতো। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, একটি সংস্থার কর্মীরা যদি মনে করেন যে তাদের মূল্যায়ন করা হয়, সম্মান করা হয় এবং তারা সংস্থাটিকে হৃদয়ে ধারণ করেন; তাহলে কর্মীদের কাজকর্ম ৫৬ শতাংশ উন্নতি হয়, অসুস্থতাসংক্রান্ত ছুটির সংখ্যা কমে যায় ৭৫ শতাংশ। যে সংস্থায় কর্মীসংখ্যা ১০ হাজার, সেখানে শুধু এই কারণেই বছরে ৫ কোটি ডলারের বেশি সাশ্রয় হয়। একটি সংস্থার এই হিসাব রাষ্ট্রের জন্যেও প্রযোজ্য। পরিবারের জন্যেও প্রযোজ্য।
৩. স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে আমাদের রাষ্ট্রে মানুষের মধ্যে আস্থা-বিশ্বাসের এই ঘাটতি অত্যন্ত লজ্জাকর, হতাশাজনক। এর দায় মূলত আমাদের রাষ্ট্রের পরিচালকদের। বঙ্গবন্ধু ছাড়া যে যেভাবেই এই দেশ পরিচালনা করেছেন, তারা সবাই মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য শতভাগ চেষ্টা করেননি, করতে পারেননি। কারণ, তারা সবসময় নিজ বিবেক দিয়ে কাজ করেননি। অন্যদের মতামতে প্রভাবিত হয়েছেন, যার সুযোগ নিয়েছে তৃতীয় কোনো পক্ষ।
এই তৃতীয় পক্ষ কিন্তু নিজেদের মনোভাব-বিশ্বাসকে সেরা এবং অধিক গ্রহণযোগ্য মনে করে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সুযোগ গ্রহণের অপচেষ্টা করেছে। এটা করতে করতে এখন অবস্থা এমন হয়েছে, জনগণ তাদের পরিচালনা করার জন্য কোনো দল ও নেতাই খুঁজে পাচ্ছে না। বেদনাদায়ক হলো, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এখন অতি অল্প সংখ্যার স্বার্থান্বেষী লোকজন এবং তৃতীয় পক্ষের কবলে পড়ে গেছেন। তাই জনগণ পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থার ওপর চরম ক্ষুব্ধ, যা বাংলাদেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক। তবে এ থেকে উত্তরণ সম্ভব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই এককভাবে উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হওয়ায় এখনো তাঁর ওপর বিশ্বাস আছে মানুষের।
৪. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই বোঝেন যে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের সরকারগুলো নিজেদের টিকিয়ে রাখতে দেশের বাইরের লোকজন, দেশ ও সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে। যারা বিপুল আর্থিকসহ নানা ধরনের সহযোগিতা নিয়েছে, আর আমাদের দেশকে ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক সব চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে। ফলে, বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার অঙ্গীকার লিপিবব্ধ করে সংবিধান প্রণয়নের ৫৩ বছর পরে এসেও বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি পুঁজিবাদ-স্বজনতোষী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ঢুকে গেছে। যেখানে বৈষম্যহীন সমাজের কোনো অস্তিত্বই নেই।
পুঁজিবাদের তত্ত্ব হাজির করা অ্যাডাম স্মিথও স্বীকার করেছেন, বৈষম্যহীন পুঁজিবাদ শতভাগ তাসের ঘর। এর অর্থ হচ্ছে, বৈষম্য না থাকলে পুঁজিবাদ একদিনও টিকে থাকতে পারবে না। অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল মন্ত্রই ছিল, মানুষে মানুষে সাম্য এবং বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। যেখানে মত ও পথের কোনো পার্থক্য থাকবে না।
৫. এই অবস্থায় সরকারকে প্রথমে নমনীয় হয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে খোলামনে কথা বলতে হবে এবং সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সব পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানের জন্য পরামর্শ চাইতে হবে। তাদের পরামর্শ সরকার ইতিবাচক দৃষ্টি নিয়ে বাস্তবায়ন করতে শুরু করলে আস্থা ও বিশ্বাসের একটি জায়গা সৃষ্টি হবে। চরম ক্ষুব্ধ ও আবেগাক্রান্ত কিশোর-তরুণ প্রজন্ম তখন কিছুটা শান্ত হবে। এতে করে সব স্বাভাবিক করার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
৬. এরপর সরকারকে ভুক্তভোগী তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। সমাজ-অর্থনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বললে এবং তাদের মনোকষ্ট নিরসনের ব্যবস্থা করলে তরুণ প্রজন্ম অবশ্যই সাড়া দেবে এবং জানমালের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবে। কারণ, যারা বৈষম্য বন্ধ করার দাবি নিয়ে আন্দোলনে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও বন্দুকের গুলির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যায়, তাদের হৃদয়টা সাগরের মতো বিশাল।
৭. দেশের মানুষের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি হলে পরে বহির্বিশ্বের দিকে তাকাতে হবে। এতে দেখা যাবে, সেখানেও নতুন নতুন সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যে দেশের কাছেই সাহায্য-সহযোগিতা চাই না কেন, তারাও অনেক সংকটে আছে।
৮. এ রকম প্রেক্ষাপটে তারা যে সাহায্যই আমাদের দিক না কেন, সহজে দিতে চাইবে না। দিলেও পরোক্ষভাবে নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে, যা আমাদের সমাজে আবারও বিভেদ-বৈষম্য সৃষ্টি করবে। কাজেই আমাদের দরকষাকষি করতে হবে। ভবিষ্যৎ শঙ্কা থাকলে সাহায্য না নিয়ে নিজের চেষ্টাতেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
পরিশেষে আবারও বলব, সত্য হোক মিথ্যা হোক, সবাই যেহেতু মনে করে এই সংকটের জন্য সরকারের মুষ্টিমেয় লোকজন দায়ী, সেহেতু সরকারকেই প্রথমে উদ্যোগী হতে হবে। মানুষের আস্থা ফেরাতে যা যা করণীয়, ঠিক তা-ই করতে হবে। এরপর দলমত নির্বিশেষ খোলামনে সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। যদি তা সরকার না করে, তাহলে দেশে যে কোনোভাবে পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও আবারও সংকট দেখা দেবে। যা বাংলাদেশকে আরও বড় সংকট, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি