ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ১০ জুন ২০২৪

ঢাকার দিনরাত

হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগী বেড়ে গেছে

হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগী বেড়ে গেছে। আইসিডিডিআর’বির চিকিৎসকদের মতে, এই মুহূর্তে যে ডায়রিয়ার প্রকোপ হচ্ছে, এটা গ্রীষ্মকালীন। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। ডায়রিয়া রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। রোগী ও স্বজনের ভিড়ে হাসপাতালে লেগে আছে জটলা। অতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের পার্কিং এলাকায় করা হয়েছে অস্থায়ী তাঁবু

ভয়ংকর সংবাদ। আগে এমনটি শুনিনি। রাজধানীর কূটনীতিক এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হককে খুব কাছ থেকে গুলি করেন আরেক কনস্টেবল কাওসার আহমেদ। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল।

শনিবার দিবাগত রাতে ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষে এই গুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় পথচারী জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়েছে।

পানিদূষণ এবং হঠাৎ ডায়রিয়া!
ঢাকায় ওয়াসার পানি নিয়ে নানা কথা চালু আছে। ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় ওয়াসার পানি ফোটালে নিচে হলুদ রঙের কিছুটা থকথকে উপাদান জমে। এটি দেখলে কে আর ওই পানি পান করবে! গরমকালে অবধারিতভাবে ঢাকায় পানির অভাব ঘটে, পানি পানের চাহিদা বেড়ে যায়, কিন্তু বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। ঢাকার পানি নিয়ে যেসব গবেষণা হয়েছে তার ভেতর একটি গবেষণা সম্প্রতি আমার মতো অনেককেই দুশ্চিন্তায় ফেলে দেবে। 
গবেষণাটি করেছে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এসডো এবং আইপেন। গবেষণায় বলা হয়েছে, পোশাক কারখানার আশপাশের এলাকার পানির নমুনায় উচ্চ মাত্রার ক্ষতিকর পিফাস নামক রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পানি দূষণের বড় কারণ পোশাক কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল ‘পিফাস’। যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।

এমনকি লিভার নষ্ট ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প ‘ফাস্ট ফ্যাশন’ হিসেবে পরিচিত। দেশের অনেক কারখানা বিশ্বের প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর জন্য পোশাক তৈরি করে। তাদের বিভিন্ন পণ্যে পিফাসের উপস্থিত রয়েছে। 
এদিকে গত ৩০ মে থেকে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ২৮ মে আইসিডিডিআর,বিতে ৫১৫ জন রোগী এসেছিলেন। এরপর ২৯ মে এখানে চিকিৎসা নেন ৬৫৩ জন। ৩০ মে ৩০০ রোগী বেড়ে ৯৫১ জন হয়। এরপর থেকে নিয়মিত গড়ে হাজারের অধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ মে ১ হাজার ২০৮ জন, ১ জুন ১ হাজার ৩৩০ জন, ২ জুন ১ হাজার ২৭২ জন, ৩ জুন ১ হাজার ২২১ জন, ৪ জুন ১ হাজার ১১০ জন, ৫ জুন ১ হাজার ৩৫ জন, ৬ জুন ৯০২ জন, ৭ জুন ৭৬৫ জন এবং গত ৮ জুন সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১৭ জন ভর্তি হয়েছে এই হাসপাতালে। অর্থাৎ উল্লেখিত সাত দিনে ৭ হাজার ৬৩৫ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে এই হাসপাতালে।
আইসিডিডিআর’বির চিকিৎসকরা জানান, এই মুহূর্তে যে ডায়রিয়ার প্রকোপ হচ্ছে, এটা গ্রীষ্মকালীন। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। ডায়রিয়া রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। রোগী ও স্বজনের ভিড়ে হাসপাতালে লেগে আছে জটলা। অতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের পার্কিং এলাকায় করা হয়েছে অস্থায়ী তাঁবু। প্রতিদিন রোগী যা আসছে, তার বেশির ভাগই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার।
হঠাৎ কেন রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিল, তার অনুসন্ধানে নেমেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। অন্যদিকে জাতীয় কলেরা টাস্কফোর্সের জরুরি সভা হয়েছে। আইসিডিডিআর,বির হাসপাতাল প্রধান বলেন, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন প্রাপ্তবয়স্করা। আরও দেড় মাসের মতো এই ধারা থাকবে।

এই মুহূর্তে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে। খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে হাত ধুয়ে খেতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, বাইরের খোলা খাবার খাওয়া যাবে না। আর পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইন খেতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

বাসাবোর রূপবদল
বাসা কোথায়? বাসাবো। মন্দ লাগে না শুনতে। ঢাকার খিলগাঁও অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত বাসাবো অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তবে মতিঝিল- কমলাপুর থেকে এই এলাকা কাছে হওয়ায় বহু কর্মজীবী মানুষের পছন্দের তালিকায় বাসাবোর নাম সবার আগে। বাসাবোতে তেমন বিখ্যাত কোনো শপিং মল নেই, এখনো রাজধানীর কিছুটা অনগ্রসর এলাকা; তবু ওই এলাকায় কিংবা আশপাশেই আছে বিখ্যাত সব ব্র্যান্ড যেমন আড়ং, অ্যাপেক্স বা লে-রিভের আউটলেট।

আছে মীনাবাজার, স্বপ্নের মতো সুপারশপ। ৫০-৫৫ বছর আগে কেমন ছিল বাসাবো। কেমন ছিল বাসাবোর ‘পল্লীবালা রূপ’, তার একটা দারুণ বিবরণ পাওয়া যায় কথাসাহিত্যিক সাগুফতা শারমীন তানিয়ার লেখায়। তিনি লিখেছেন : ‘আমার মায়ের বাপ- মানে আমার নানা বহুকাল ধরে শহরের বাসিন্দা। একসময় ভাওয়াল রাজার মামলায় উকিল-ব্যারিস্টারদের ঝড়ের মতো ইংরেজিতে সওয়াল জবাব করা দেখতে ষোলঘর থেকে আসতেন, মুর্শিদাবাদে বড় হয়েছেন, এরপর অপশন দিয়ে এঁরা সবাই ফিরে এলেন।

নানার রকমটিও দাদার মতোই, জমিজিরেত না করে আকাশচারী বিমান ওঠানামা করতে দেখা মানুষ তিনি, বিমানবন্দরে অফিস। সিলেট-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ঘুওে ফিরে নিজের ন্যায়নিষ্ঠ বেতনে বাসাবোর জলাভূমির ওপর ১৯৬৯ সালে জমি কিনতে পারলেন। মাতুলালয়ে জন্ম হওয়া অনেককালের নিয়ম, আমি যদিও নানাবাড়িতে জন্মাইনি। কিন্তু আম্মা-আব্বা বিয়ের পর বেশ কয়েক বছর বাসাবোতেই ছিলেন। অল্প বয়সে বাসাবোর পল্লীবালা রূপটুকু দেখেছি, তার ভূমিরূপ উত্তল-অবতল। 
বাড়ির খানিকটা সামনে থৈথৈ বাসাবো বিল, পানি পরিষ্কারই ছিল, স্বাধীনের পরেও অনেক বছর অব্দি লোকে ঝিলে গোসল করতো। ধানচাষ হতো ধানিজমিতে, কাদায় হতো ধঞ্চে। নিচু ডাঙা লাঠিভাঙা শাক আর গিমা শাকে ভরে যেত পানি নেমে যাবার পর, আশপাশের সব বাড়ির লোকেই ওসব শাক তুলতে যেত।

প্রতি বছর বাসাবো বন্যায় ডুবে যেত বলে বেশির ভাগ টিনের বাড়ি মাটির উঁচু ভিটির ওপর দাঁড়িয়ে, বাঁশের সাঁকোয় করে পার হতে হতো। নৌকায় করে (দরদাম করার পরে আড়াই টাকা- তিন টাকায় এক নৌকা মাটি পাওয়া যায়) মাটি ফেলে উঁচু করে তারপর ঘর বানাতো লোকে। বাসাবোর রাস্তায় আমি প্রচুর তিতির আর গলাছিলা মুরগি চরতে দেখেছি। রাস্তা উঁচু, তবে ইটের রাস্তা আর কতটুকু।

এরপর কাঁচা রাস্তায় ঢোলকলমীর বেড়া। মাটি শুকিয়ে গেলে ফুটিফাটা হয়ে যেত আর বৃষ্টি হলেই পিচ্ছিল এঁটেল। কেঁচো ভর্তি উঠান, ফিনাইল ছিটিয়ে কূল পেত না নানি। কার্বলিক এসিডের বোতল খুলে চৌকির খুরায় খুরায় রেখে দিত রাতে। জিংলাপুরা সাপ কচুরির দামে লুকিয়ে থাকতো, আর ছিল ফুটকিদার ঢোঁড়াসাপ। একটানা বৃষ্টিতে রাস্তায় কলাগাছের ভেলা নেমে যেত।

লোকে পুকুরভাসা পানিতে টাকিমাছ-চোখকুনি মাছের টোপ দিয়ে শোল-গজার ধরতো আর বড়শিতে ভাত গেঁথে পুঁটিমাছ। পরের শ্রাবণমাসেই মোষের রক্তের মতো লাল মরিচা পড়ে যেত নতুন টিনের চালে। বাড়ির ভিটেতে একটা ওষধি গাছ (নিম-অর্জুন কিংবা বহেড়া), দু-তিনটে ফলের গাছ (আম-জাম-জলপাই-বরই), খানিকটা কলাফুলের ঝোপ আর একটা অন্তত এসেনশিয়াল মেহেদি গাছ, পেছনে ডোবা।

বাড়িগুলোর নাম ভারি পরিচিতিময়, বারেক ডাক্তারের বাসা, মকসুদের বাসা, ছাগলওয়ালা বাড়ি, হাসু-মাসুর বাসা। রাস্তার মোড়ে আবাসিক হোটেলের সিমেন্টের দেয়াল গাঁথা বারান্দায় দাঁড়িয়ে খালি গায়ে হাই তুলতো লোকে। ডিসপেন্সারিতে সন্ধ্যার ভিড় আর পথে বিলের মাছের অস্থায়ী বাজার। 
সত্তরের দশকের বাসাবো গাছপালাময়, জলাজমি আকীর্ণ। নানা অফিস করতে যাবার সময় আমার মেজখালা কোষা নৌকায় করে উঁচু রাস্তায় দিয়ে আসতো বাপকে, কদমতলা স্কুলের রাস্তার দিক থেকে অফিস সেরে ডাক দিত নানা, মেজখালা আবার নৌকায় করে এসে নিয়ে যেত। অতখানি দূর থেকে নানার গলার আওয়াজ পাওয়া যেত, কারণ ঐ যে বললাম, শহর তখন গ্রামের মেয়েটি- মুখে রা নেই। 
গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের জীবন বদলের বাসনা তীব্র, এরা জায়গীর থেকে পড়ে, চাকরি খোঁজে হন্যে হয়ে, তারপর ঢাকায় তাদের শেকড় চারিয়ে দিতে ব্যগ্র হয়ে ওঠে। যেমন আব্বা। মাদারটেকের কোনো একটা জায়গায় আমাদের দাঁড় করিয়ে রেখে আব্বা ঢাকা শহরে নিজের কেনা প্রথম জমি দেখাচ্ছে এই দৃশ্য আমার মনে আছে- আব্বার মুখভরা তারিফ, আমি তখন স্কুলে যাই না, জমিটা একটা কালো কাদার আয়তক্ষেত্র, কাঠচেরাই রঙা ভেড়া চরছে সেখানে, আকাশে যেন সূর্যগ্রহণের সময়কার আলো...পুরোটা মিলে অঁরি রুশোর আঁকা একটা ছবির মতো। কেন যে এইসব রঙ দিয়ে স্মৃতি আঁকা থাকে কে জানে।’

নেভা-জ¦লা জেনেভা ক্যাম্প 
ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ‘জেনেভা ক্যাম্প’ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় যেসব স্টোরি হতো আগে সেগুলোয় থাকতো আঁটোসাটো জায়গায় হাজারে হাজার বিহারির মানবেতর জীবন ও জীবন সংগ্রাম। এখন খবর হয় মাদক বিক্রির কারণে। মাদকের ‘হটস্পট’ হিসেবে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে জেনেভা ক্যাম্পের। বছরের পর বছর এখানে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালালেও পরিস্থিতি তেমন বদলায় না।

দিন দিন পরিস্থিতির অনেক অবনতি হয়েছে। এখন রীতিমতো লাইন ধরে মাদক কেনে আসক্তরা। রমরমা এই কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধও চরমে। সক্রিয় অন্তত ৯টি মাদক কারবারি চক্রের মধ্যে দুটি বারবার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। তাদের মদত দিচ্ছে আরও দুটি চক্র। এরই মধ্যে তাদের সংঘর্ষে এক শিশুর প্রাণ গেছে; আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। সমকাল পত্রিকায় সম্প্রতি যে প্রতিবেদন বেরিয়েছে তার খানিকটা তুলে দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

ইন্দ্রজিৎ সরকার লিখেছেন : ‘জেনেভা ক্যাম্পে সোহেল, মনু, সৈয়দপুরিয়া বাবু, সেলিম ছাড়াও অন্তত পাঁচজনের চক্র সক্রিয়। সেগুলোর দলনেতা– টিপু তাহেরী, পিচ্চি রাজা, মো. মাহমুদ ওরফে পটল মাহমুদ, মো. আলমগীর ওরফে আন্ডা আলমগীর ও লেংড়া আলমগীর। তাদের মধ্যে সৈয়দপুরিয়া বাবু চক্রের নেপথ্যে রয়েছে জাহিদ মোল্লা। চক্রের কেউ গ্রেপ্তার হলে তাকে ছাড়িয়ে আনাসহ প্রশাসনিক দেনদরবার করে সে।

একইভাবে সোহেল চক্রের আশ্রয়দাতা ক্যাম্পের চেয়ারম্যানের ছেলে এস কে রব্বানী। টিপু তাহেরী ক্যাম্পে ইয়াবার কারবার চালু করে। সে নিজে ক্যাম্পে না থাকলেও পুরো কারবার এখনো তার নিয়ন্ত্রণে। এক সময়ের কুখ্যাত মাদক কারবারি পাঁচু ও তার স্ত্রী পাপিয়া তার কারবারের প্রধান ছিল। এখন রাজিয়াসহ অন্যরা চালাচ্ছে। আরেক কুখ্যাত মাদক কারবারি ইশতিয়াক চক্রের ছয় সদস্যের একজন চুয়া সেলিম।

ইশতিয়াক ভারতে মারা যাওয়ার পর সে এখন চক্রের প্রধান। মাহমুদ ইয়াবার ‘হোম ডেলিভারি’র জন্য মাদকসেবীদের কাছে সুপরিচিত। সে ক্যাম্প চেয়ারম্যানের ভাতিজা। আন্ডা আলমগীর নিজেই চোলাই মদ  তৈরি ও বিক্রি করে। হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে, সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য কেনার জন্য সবাই লাইনে দাঁড়িয়েছে। আসল ঘটনা হলো, তারা মাদক কেনার অপেক্ষায়।

এটি জেনেভা ক্যাম্পের নিত্যদিনের চিত্র। সোহেল চক্রের ক্যাশিয়ার আরিফ কসাই লাইনগুলো তদারক করে। ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টরের আল-ফালাহ মেডিকেল গলি, একই এলাকার মাঝের গলি এবং পাবলিক টয়লেট ও গোসলখানার সামনে দেখা যায় এসব লাইন।’

হাশেম খানের শিল্পকর্ম নিয়ে অ্যালবাম
বরেণ্য শিল্পী হাশেম খানের ‘চিত্রকলা ভাস্কর্য ম্যুরাল ও ড্রইং ১৯৫৬-২০২৩’ শীর্ষক অ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হলো সম্প্রতি জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এইচএসবিসি ব্যাংক। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে শিল্পী হাশেম খানের আঁকা ছবি  থেকে বাছাই করা ২২০টি ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে এই অ্যালবাম। অ্যালবামটির পরিবেশক জার্নিম্যান বুকস।
অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনের আগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘কবি পাবলো নেরুদা বলেছিলেন, দেশ ছায়ার মতো। হাশেম খানের কাজ যা-ই দেখি, সেখানে দেশের ছায়া প্রতিভাত হয়েছে।’ শিল্পী হাশেম খান নিজের কাজ সম্পর্কে বলেন, ‘১৯৫৬ থেকে ২০২৩- এই দীর্ঘ সময়ে প্রতিদিনই ছবি এঁকেছি। ছবি আঁকাটাই আমার কাজ।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান। 

০৯ জুন ২০২৪

[email protected]

×