ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন কারিকুলাম এবং বাস্তবতা

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২১ এপ্রিল ২০২৪

নতুন কারিকুলাম এবং বাস্তবতা

.

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর, কিন্তু ২০১০ সাল পর্যন্তও বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল পাশ্চাত্যমুখীইংরেজরা যখন ভারত শাসন শুরু করে তখন তাদের প্রকৃতপক্ষে দরকার ছিল টাকা বা সম্পত্তি ও সম্পদতাই তারা ভারতের শিক্ষা নিয়ে ভাবেননিযখন তাদের নিজেদের দরকার হলো তখন তারা শিক্ষা নিয়ে ভাবলেনশিক্ষা প্রাচ্যমুখী হবে নাকি পাশ্চাত্যমুখী হবে সেই প্রশ্নে সেই সময়ের কর্তাব্যক্তিরা মতবিরোধে জড়ালেও মূলত পাশ্চাত্যেরই বা পাশ্চাত্য নীতিরই জয় হলো; যা ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরএমনকি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বলব ছিল

ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তান আমল ও বাংলাদেশ আমলে মোট ২২টি শিক্ষা কমিশন এখানকার শিক্ষার সম্প্রসারণে কাজ করেছেএগুলো হলো ব্রিটিশ আমলে লর্ড ম্যাকলের নি¤œগামী পরিস্রবণ শিক্ষানীতি, ১৮১৩; উইলিয়াম অ্যাডাম শিক্ষা কমিশন, ১৮৩৫; উডের ডেসপ্যাচ, ১৮৫৪; উইলিয়াম হান্টার শিক্ষা কমিশন, ১৮৮২; লর্ড কার্জনের শিক্ষা সংস্কার সম্মেলন, ১৯০১; মাইকেল স্যাডলার কমিশন, ১৯১৭ ও সার্জেন্ট কমিশন, ১৯৪৪পাকিস্তান আমলে মওলানা মুহাম্মদ আকরম খাঁ শিক্ষা কমিশন, ১৯৪৯; আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশন, ১৯৫৭; এসএম শরীফ শিক্ষা কমিশন, ১৯৫৯; হামুদুর রহমান ছাত্র সমস্যা ও ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক কমিশন, ১৯৬৪ ও নূর খান শিক্ষা কমিশন, ১৯৬৯বাংলাদেশ আমলে শামস-উল-হক শিক্ষা কমিটি, ১৯৭০; কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন (মূলত জাতীয় শিক্ষা কমিশন), ১৯৭২; শামসুল হক শিক্ষা কমিটি, ১৯৭৬; কাজী জাফর আহমেদ শিক্ষা কমিশন, ১৯৭৮; মজিদ খান শিক্ষা কমিশন, ১৯৮৩; মফিজউদ্দীন আহমদ শিক্ষা কমিশন, ১৯৮৭; শামসুল হক শিক্ষা কমিশন, ১৯৯৭; এম এ বারী শিক্ষা কমিশন, ২০০১; মনিরুজ্জামান মিয়া শিক্ষা কমিশন, ২০০৩ এবং কবির চৌধুরী শিক্ষা কমিশন, ২০০৯

জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরীর মৃত্যুর পর আর কোনো কমিশন গঠিত না হলেও মূলত ঐ কমিশনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আধুনিক, প্রাচ্যমুখী, জীবনমুখী এবং কর্মমুখী শিক্ষানীতি গ্রহণ করে২০১০ সালে সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি কার্যকর হয়২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ নতুন কারিকুলামে প্রবেশ করেছেএকে কর্মমুখী শিক্ষা পদ্ধতিও অনেকে বলছেনস্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার সম্প্রতি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জন্য একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছেপাঠ্যক্রমটি পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে পুরোপুরি গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছেনতুন শিক্ষাক্রমের কিছু অপরিহার্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে লার্নিং বাই ডুয়িং, ক্রিটিক্যাল থিংকিং অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি, স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর জোর দেওয়া, লাইফব্যান্ড লার্নিং, হোলিস্টিক এডুকেশন এবং কন্টিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্ট

এই শিক্ষা পদ্ধতি বা কারিকুলাম নিয়ে কিছু বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছেবিশেষ করে যখন শত শত বছরের প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি প্রকৃতপক্ষে থাকছে না তখন ইতিবাচকভাবে অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছেএর সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতিও করছে

ইতিহাসের বিগত ২২টি শিক্ষা কমিশনের অন্তত দুটির বিরুদ্ধে এদেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে; শরিফ কমিশন (১৯৫৯) ও মজিদ কমিশন (১৯৮৩) হিসেবেই সেগুলো পরিচিতবাংলাদেশের স্বার্থবিরুদ্ধ কোনো কিছু হলে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ে এর প্রমাণ আমাদের তারুণ্য বহুবার দিয়েছেঅতএব এটি নিয়ে সংকটের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নেইএখন যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের প্রকৃত শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকদের সঠিক নির্দেশনা দেওয়াসেটা সরকারি পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত সব জায়গায় করতে হবে

শিক্ষা কমিশনগুলো গঠিত হয় কেন? এটি শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়প্রত্যেক দেশেই তাদের নিজেদের মতো করে শিক্ষা কমিশন-টাইপ কিছু শিক্ষার রকম-প্রকরণ ঠিক করেযে দেশের শিক্ষা দর্শন, শিক্ষা পদ্ধতি সেই দেশের মাটি ও মানুষের জন্যবিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে, সরকারের চাহিদা, বাজারের চাহিদা সবকিছু ঠিক রেখেই তা করা হয়নতুন পাঠ্যক্রমটি ডেভিড কোলবের এক্সপেরিমেন্টাল লার্নিংএবং লেভ ভাইগটস্কির সামাজিক গঠনবাদতত্ত্বের মতো সুপ্রমাণিত শিক্ষামূলক তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছেনতুন কারিকুলামে আশা করা হচ্ছে শিখলে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা হবে, যার অর্থ লার্নিং বাই ডুয়িং

২০১৭ সালের মূলত চাহিদা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের কাজ শুরু হয়এই শিক্ষাক্রমের প্রয়োজন কী? বর্তমান অবস্থা কী? এ নিয়ে মোট ছয়টি গবেষণা হয়েছেএরপর ২০২১ সালে এসে একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছেএটি প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্তএটি করার সময় অনেক বিজ্ঞজনের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে, সভা-সেমিনার হয়েছেতারপর একটা রূপরেখা দাঁড় করানো হয়এটি প্রধানমন্ত্রীকেও দেখানো হয়েছেসংসদীয় স্থায়ী কমিটি দেখেছেরূপরেখার দুএক জায়গায় প্রধানমন্ত্রী সংশোধন দিয়েছেনপ্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেওয়ার পর কারিকুলাম অনুমোদনের জন্য সচিবের নেতৃত্বে সর্বোচ্চ কমিটি ন্যাশনাল কারিকুলাম কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এনসিসিসি) অনুমোদন দেয়আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সকলের উপস্থিতিতে এটা তুলে ধরা হয়কিছু মতামতের ভিত্তিতে সংশোধনের পর এটা পাস করা হয়এটির নাম জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১এর ওপর ২০২২ সালে ৬০টি স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়এর ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই প্রবর্তন করা হয়২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই প্রবর্তন করা হয়২০২৫ সালে দশম শ্রেণি, ২০২৬ সালে একাদশ শ্রেণি আর ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণির বই প্রবর্তন করা হবে

এই রূপরেখায় কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য আছেনবম শ্রেণির পরীক্ষা নবম শ্রেণিতেই হবেএসএসসি পরীক্ষা শুধু দশম শ্রেণির কিছু নির্বাচিত বিষয়ের ওপর হবেএতে পাবলিক পরীক্ষার চাপ কমে যাবেএকাদশ শ্রেণির পরীক্ষা একাদশ শ্রেণিতেই হবেআর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দ্বাদশ শ্রেণিতেই হবেএকাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সম্মিলিত রেজাল্ট এইচএসসির রেজাল্ট হিসেবে গণ্য হবেনবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য বলে কিছু থাকবে নাসবাইকে সব বিষয় পড়তে হবেএকাদশ শ্রেণিতে গিয়ে তারা শাখাভিত্তিক পড়াশোনা করবে

এই কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ শিক্ষার্থীরা অনেক আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছেতাদের পড়াশোনার যে ভীতি বা পরীক্ষার যে ভীতি সেটা এখন আর নেইতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিদ্যালয়ে যাচ্ছেচ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের শিক্ষকদের নিয়েশিক্ষকদের একটি বিরাট অংশ পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়েই আছেনশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বিভাগকে দায়িত্ব নিতে হবে ঐ শিক্ষকগণকে বোঝানোর এবং প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্যবিশেষ করে যাদের বয়স ৫০-এর ওপর তাদের অনেকে নতুন করে নতুন কিছু গ্রহণ করতে কোনোভাবেই আগ্রহী নাতাদের একটি অংশ এবং অভিভাবকদের একটি অংশ বলছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন সম্ভব নয়তারা ভুল পথে আছেনবাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা সম্ভব নয় বলে কী আমরা পিছাতেই থাকব? আমাদের তো শুরু করতে হবেঅবশ্যই যে কোনো শুরুতে কিছু সমস্যা আছেএটার কারণে যদি আমরা পিছিয়ে থাকি তাহলে তো আমাদের শিক্ষার্থীরা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে যেতে পারবে নাতারা তো পৃথিবীর অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে পারবে না

সুপারিশমালা :

১. পরীক্ষা পদ্ধতিকে যুগোপযোগী করতে হবেবাংলাদেশে হঠা করে পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়ার ফল ইতোমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছেবিশেষ করে অনগ্রসর এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই এর সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারবে না

২. বাংলাদেশের সব শিশু যেন বিদ্যালয়ে যায় তার ব্যবস্থা করতে হবেঅনগ্রসর জনপদকে চিহ্নিত করে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করতে হবেকেউ যেন বাদ না যায়

৩. সবাই যেন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে

৪. এই শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য শিক্ষার্থী যেন শেখেউচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্তও যদি কেউ লেখাপড়া করে এবং সত্যিকারের শিক্ষালাভ করে তবে তার যে দক্ষতা অর্জন হবে তাতে সে তার জীবন চালানোর মতো জীবিকা বেছে নিতে পারবে

৫. কর্তা ব্যক্তিরা যাই বলুন না কেন, এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করবেন শিক্ষকআগের মতো বাসা থেকে মুখস্থ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ কমপরিবার যে চাপের মধ্য দিয়ে সন্তানকে পরীক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলতেন এখানে সে সুযোগ নেইতাকে প্রকৃত শিক্ষার্থী হতে হবে এবং বিদ্যালয় থেকে শিখতে হবেবিদ্যালয়ে শিক্ষকের বিকল্প নেইশিক্ষকের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবেবেতন বা পারিতোষিক বাড়াতে হবেআর তা না হলে মেধাবী কেউ শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেবেন নাআমরা স্বীকার করি আর না-ই করি, প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষকগণ এখনো কোচিংয়ের মাধ্যমেই টিকে আছেনবিশেষ করে এমপিও ও বেসরকারি শিক্ষকদের মান-সম্মান নিয়ে এই শিক্ষাক্রমে কোনোভাবেই বেঁচে থাকার সুযোগ নেইএই শিক্ষাক্রমে প্রাইভেট বা কোচিংয়ের সুযোগ নেই

৫. এই শিক্ষাক্রমে শ্রেণি পরিচালনায় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবেযে ক্লাসগুলোতে ১০০ জন শিক্ষার্থী আছে সেখানে কিভাবে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালানা করা সম্ভব? শ্রেণি ও সেকশনগুলোতে শিক্ষার্থী কমাতে হবেএজন্য অবকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবেপর্যাপ্ত ল্যাবের ব্যবস্থা ও খেলাধুলার জায়গা থাকা দরকরপর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও যেখানে প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক একই সঙ্গে চালু আছে সেই জায়গাগুলোকে হয় একটি বেছে নিতে হবে, নয় তো বিদ্যালয়ের পরিসর বাড়াতে হবে

৬. প্রয়োজনে বাংলাদেশের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবেঅন্তত কাজটা আজ থেকেই শুরু হোক

৭. অভিভাবকদের এই শিক্ষাকার্যক্রমের অংশীজন বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে

৮. গত প্রায় এক দশকে তুলনামূলকভাবে ছেলেদের থেকে মেয়েরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বেশিআবার উচ্চ শিক্ষায় ছেলেরা এগিয়েএর দুটি কারণছেলেদের শিশুশ্রম এদেশে বেশিমেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেশিএগুলো রোধ করতে হবে

৯. বাস্তবতা হলো এতো অল্প সময়ের শ্রেণি কার্যক্রমে এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন কঠিনএজন্য সরকারকেই দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কর্মঘণ্টা ঠিক করতে হবেকেউ যেন কোচিংয়ে না যায়এর মাধ্যমে বাণিজ্যও বন্ধ হবে

১০. উচ্চ মাধ্যমিকের পরের স্তরে যেন এর ধারাবাহিকতা থাকে সেটি এখনই নিশ্চিত করতে হবে

১১. কারিকুলামের বাইরের আরেকটি খবর হলো- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনকোভিডের সময় (২০২০) থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়েছেশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও নতুন শিক্ষামন্ত্রীকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে

নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি সুস্থ, মানবিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবেজাতির পিতার স্বপ্নের আধুনিক সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন শিক্ষাক্রম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ

লেখক : অধ্যাপক ও সদস্য,

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

×