
আবহমান বাংলা ও বাঙালির বৈচিত্র্যময় বৈভব ষড়ঋতুর অবিমিশ্র লীলা
উৎসবপ্রিয় জাতি আমরা। বারো মাসে তেরো পার্বণ পালন করা সংস্কৃতিমনা এক লড়াকু জাতি-গোষ্ঠীর জীবনাচরণে আবর্তিত। সেই পুরাকালের অস্ট্রিক জাতিসত্তার এক অবিমিশ্র মিলনবোধ আর মঙ্গল যোগের চিরায়ত সম্ভার। সেখানেই বাঙালির ষড়ঋতুর আবাহন যেন যুগ-যুগান্তরের সম্মিলিত বোধ
আবহমান বাংলা ও বাঙালির বৈচিত্র্যময় বৈভব ষড়ঋতুর অবিমিশ্র লীলা। নতুন বছরের প্রথম মাস বৈশাখ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। চৈত্রের পড়ন্ত বেলায় খরতাপের উত্তাল হাওয়া আমাদের মাতিয়েও দেয়। চৈত্রের শেষ মানেই বাতাসের মর্মর ধ্বনির এক আকুল আবেদন। ১৪৩০ সাল তার সময় অতিক্রম করে ১৪৩১-কে নবসম্ভাবনায় উদ্বেলিত করে দেয়। যার প্রহর গুনতে গুনতে আমাদের বসন্ত রাজঋতুর বিদায়ের ঘণ্টাও বেজে ওঠে।
আবার সাড়ম্বরে নববর্ষকে স্বাগত জানাতে নৈসর্গও যেন সব ধরনের আয়োজনে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। ষড়ঋতুর বৈভবে চিরায়ত সমৃদ্ধ বাংলা বরাবরই তার ঔদার্য আর বৈশিষ্ট্যে কোলের সন্তানদের নানামাত্রিকে ভরিয়েও তোলে। আর স্বদেশী কবি-সাহিত্যিকদের বন্দনায় পুষ্ট আবহমান বাংলার ঋতুসৌষ্ঠবও এক অপরিমেয় রূপময়তা। প্রকৃতি যেন সাজ সাজ রবে গুছিয়ে দিতে সব ধরনের আনন্দ আর মঙ্গল বার্তায় তৎপর থাকে। কিন্তু তার আগে ফেলে আসা বছরকে বিদায় জানানোও যে প্রাকৃতিক নিয়ম।
তেমন বিধি তো প্রকৃতিই সাড়া জাগিয়ে দেয়। ফাল্গুন-চৈত্রের শেষ সময়ে নৈসর্গের ঝরাপাতার মর্মর ধ্বনিতে প্রকৃতি যেন নাজেহাল অবস্থায়। বসন্তের শুভাগমনের প্রাক্কালে যেমন বৈচিত্রিক আবহে সাজ সাজ রব কোলের সন্তানদের রাঙিয়ে দেয়। আর বৈশাখ সেখানে নিয়ে আসে পাতা ঝরানোর এক দোদুল্যমান বাতাস। আবার সেটাই যেন আবহমান বাংলার নিরন্তর শোভা বর্ধন। ঋতু বৈচিত্র্যের মহাসন্ধিক্ষণে নিত্যনতুন ঋতুর আবহে অভ্যস্ত সব বাঙালির জীবনযাপন।
ফেলে আসা ফাল্গুন-চৈত্রের যে মর্মরধ্বনি সেটাই কোলের সন্তানদের ভিন্ন মাত্রার সম্ভারে আকুল করে দেয়। সেটা যেমন মানসিক দ্যোতনায়, একইভাবে প্রতিবেশগত হরেক আবেদনও। আর বাতাসের এমন ব্যাকুলতা সেটাই যেন বর্ষ বিদায়ের সকরুণ বেদনা। আবার নতুন বছরের নবউদ্দীপনায় নিজেদের তৈরি করে নেওয়াও নৈসর্গিক আবহের চিরায়ত বোধ। সঙ্গত কারণে ১৪৩১ সাল পেছনের হাসি, গান, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা, বিষণ্ণতাকে ফেলে লড়াকু অভিগমনে সামনে চলার দৃপ্ত অঙ্গীকারে প্রত্যয়ী।
দুরন্ত বেগে বৈশাখের অভিগমনে আমরা বিভোর, বিমুগ্ধ হয়ে খরতাপ গ্রীষ্মকালকে অভিনন্দিত করি। যদিও মুগ্ধতার জায়গায় কোনো এক সময় দগ্ধতার তাপপ্রবাহ কাহিল করার দুরবস্থাও দেখা দেয়। কারণ হিসেবে বলাই যায় উৎসব-আনন্দে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা নিজেকে ভরিয়ে তুলি আর চারপাশের প্রতিবেশকে অনন্য রূপে রাঙিয়েও দিই।
উৎসবপ্রিয় জাতি আমরা। বারো মাসে তেরো পার্বণ পালন করা সংস্কৃতিমনা এক লড়াকু জাতি-গোষ্ঠীর জীবনাচরণে আবর্তিত। সেই পুরাকালের অষ্ট্রিক জাতিসত্তার এক অবিমিশ্র মিলনবোধ আর মঙ্গল যোগের চিরায়ত সম্ভার।
সেখানেই বাঙালির ষড়ঋতুর আবাহন যেন যুগ-যুগান্তরের সম্মিলিত বোধ। যেখানে নিত্যজীবন চেতনা, চিরস্থায়ী মূল্যবোধ যেন অভিন্ন সূত্রে গাঁথা এক অভাবনীয় সাংস্কৃতিক দ্যোতনা। সঙ্গত কারণে ঋতু বদলের নানা মাত্রিক প্রতিবেশ পরিস্থিতির যে আড়ম্বর সেটাই শাশ্বত বঙ্গভূমির অনন্য শৌর্য। আবহমান বাংলা পরিশীলিত মনন ও ভিন্ন আঙ্গিকের অবিস্মরণীয় শক্তিময়তার আপন শৌর্যে মহীয়ান যেখানে ঋতুরাজ বসন্তও তার সামগ্রিক আবেদনের পসরা সাজিয়ে মিলনের ডালা পূর্ণ করে দেয়। পাশাপাশি বাঙালির নববর্ষের বৈশাখ মাস তার রুদ্র বেশে প্রকৃতিকে অগ্নি¯œানে শুদ্ধও করে দেয়। কবিগুরুর ভাষায়-
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে,
মুমূর্ষুরে দাও উড়াইয়ে।
ফাল্গুন-চৈত্রের ফুলের সজ্জা এবং ঝরাপাতার মর্মর ধ্বনিতেই প্রচ্ছন্ন থাকে আগত বৈশাখের নব সম্ভাবনা। তবে এবারে আমরা আগেই খরতাপকে মোকাবিলা করে চৈত্রের অন্তিম সময় পার করেছি। শুধু তাই নয়, কালবৈশাখীর ঝড়ঝঞ্ঝা আঘাত হানাও আগাম বৈশাখকে আলিঙ্গন করা। তার নজির ইতোমধ্যে সারাদেশে দৃশ্যমানও হয়। ঋতুরাজ বসন্ত তার অন্তিম প্রহরে যে বৈশাখী আমেজ নিয়ে আসে সেটাও সব নববর্ষে দৃশ্যমান হয় না।
গত বছরের বৈশাখেও আমরা ঋতুরাজ বসন্তের সর্বশেষ স্পর্শে শীতল হাওয়ার অনুভব পেয়েছি। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম। পুরনো বছরকে বিদায়ই শুধু নয়, ফেলে আসা দিনের দুঃখ, তাপ, শোক মুছে ফেলাও প্রকৃতিই আমাদের তালিম দিয়ে দেয়। বছরের হরেক আবর্জনাকে ঝেড়ে-মুছে সাফ করাও যেন নৈসর্গের আকুল আবেদন। প্রকৃতির কোলে লালিত সন্তানরা নৈসর্গিক নিত্যনতুন আবহে পেছনে রাখা বেদনাবিধূর দুঃসময় কিংবা অনাকাক্সিক্ষত আবর্জনাকেও স্মৃতি থেকে বিদায় করার চেষ্টায় নিমগ্ন হই।
প্রকৃতির বিধান অনুযায়ী কেমন সব হয়েও যায়। নতুন বছরের উন্মাদনায় প্রকৃতি যেমন রৌদ্রসিক্ত আবহ অতিক্রম করছে কোলের সন্তানদেরও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাই বর্ষ বন্দনায় ব্যাকুল হয়েছে আবহমান বাংলা ও বাঙালি। অনন্তকাল ধরে চলে আসা আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বোধকে নবতরভাবে জাগিয়ে তোলাই উৎসব-আড়ম্বরের মূল সারবক্তা। ইতোমধ্যেই বরণের ডালা সাজিয়ে ১৪৩১ সাল বিধি অনুযায়ী সন্তানদের কাছে উপস্থিত। কোলের সন্তানরাও তেমন আনন্দ উৎসবে মশগুল হয়ে বর্ষবন্দনায় অভিষিক্ত হয়েছে।
রাজধানীসহ সারাদেশে পালিত হয় বৈশাখ মাসের আনন্দঘন শুভ উদ্বোধন। রমনা বটমূল থেকে ছায়ানট সবই যেন বৈশাখী গান আর ঐতিহ্যময় আবেদনে চিরায়ত বাংলাকে নতুন করে উজ্জ্বলতর করে দেয়। প্রকৃতিও নিত্যনতুন সাজে জনগণকে তার সমূহ আবেদনে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কখনো উদ্ধত প্রকৃতি কালবৈশাখীর তা-বে অনেক কিছু তছনছ করে দিচ্ছে। আবার ভিন্নরূপে শান্ত, স্নিগ্ধ প্রলেপ লাগিয়ে দিতেও খুব বেশি দেরি করছে না।
১৪৩১ সালের প্রথম মাস বৈশাখকে ইতোমধ্যে সানন্দে অভিনন্দিত করা হয়। আবার খরতাপে বিরূপ প্রকৃতির রৌদ্রজ্বালা সহ্য করে বৈশাখকে সহনীয় করে তোলাও প্রকৃতি পরিবেশের অনুষঙ্গ। বাংলাদেশ যেমন নতুন বছরকে সাদর সম্ভাষণে ভরিয়ে তুলেছে সেটাও অনিন্দ্যসুন্দর এক মহাকর্মযোগ তো বটেই। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দনভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে উন্নত বাংলাদেশের নিত্যনতুন অত্যাধুনিক মহাপ্রকল্পের। ইতোমধ্যেই আমরা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কক্সবাজারের পাদদেশে রেলস্টেশন তৈরি হয়েছে, যা আধুনিক ও প্রযুক্তির স্মার্ট বাংলাদেশের অবধারিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
অবারিত গতি প্রবাহের পাশাপাশি দুর্গতিও সেভাবে পিছু ছাড়ে না। বিশেষ করে রাজধানীবাসীর নিত্যজীবনের স্বস্তি যেমন দৃশ্যমান অস্বস্তিও সমানভাবে জনগণকে তাড়িত করে যাচ্ছে। চৈত্রের শুষ্ক পরিবেশের সঙ্গে বাতাসের যে সুনিবিড় আখ্যান সেখান থেকে কত বিপত্তি মাথাচাড়া দেয় হিসাব-নিকাশের বাইরে। বিভিন্ন স্থানে আগুন লেগে যাওয়ার যে মহাদুর্বিপাক সেটাও জনগণকে নানা মাত্রিক বিপন্নতা ও অস্থিরতার কোপানলে বিদ্ধ করে। তেমন আলামত ইতোমধ্যেই আমরা প্রত্যক্ষ করে যাচ্ছি।
কালবৈশাখীর ঝড়-ঝাপটায় যে ক্ষতি হয় তা পুষিয়ে নিতে তেমন বেগ পেতে হয় না। কিন্তু অগ্নি দুর্বিপাকের দুঃসময় সামলাতে কত বিপন্নতা মোকাবিলা করতে হয় ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। এখানেও আছে অপরিণামদর্শিতার বেহাল চিত্র। বিভিন্ন বাজার কিংবা বহুতল ভবনে অগ্নিকা-ের পর সামনে আসে নানামাত্রিক অনিয়ম আর অনৈতিক কার্যক্রম। আগুন লাগার পর জানা যায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করেনি। লোক আর সম্পদ ক্ষয় তো বটেই বিভিন্ন নিরাপত্তা অধিদপ্ততরও কোনো সদুত্তর দিতে পিছিয়ে যায়।
স্মরণকালের হৃদয় কাঁপানো হরেক অগ্ন্যুৎপাত শুষ্ক আবহাওয়ায় তার জ্বলন্ত শিখা বিস্তারে দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য হয়ে যায়। তাই চৈত্রের যে বাতাসে আগুন লাগার ঝক্কি-ঝামেলা থাকে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের খরতাপে তা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবলতর। এমন আশঙ্কা মাথায় রেখে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করাও সময়ের ন্যায্যতা। বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগার পর অনুসন্ধানে লিপ্ত তদন্ত কমিটিগুলোর ভেতরের হরেক অপকর্ম দৃশ্যমান করে তুললেও সুরাহা বলতে যা বোঝায় তা খুব কমই হয়। ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন চিহ্নিত করা হচ্ছে।
তবে ভেঙে ফেলার কোনো নজির তৈরি না হওয়াও আগুন লাগার চরম আশঙ্কাকে জিইয়ে রাখা বলাই যায়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে আরম্ভ করে হরেক অধিদপ্তরের চরম গাফিলতি চিহ্নিত হয়েই যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিকার একেবারেই নেই। বিভিন্ন ভবনে বিস্ফোরণ, আগুন লাগা নতুন কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং বহুবার সংঘটিত হওয়া এমন দুর্বিপাক বারবার সংশ্লিষ্টদের আঘাত হানলেও মূলত কোনো এক অদৃশ্য কারণে কর্তৃপক্ষ থেকে আরম্ভ করে ভবনের মালিক অধিবাসীদেরও কেন যেন কোনো বোধোদয়ও আজ অবধি দৃশ্যমান হচ্ছেই না।
চরম সর্বনাশ না হওয়া পর্যন্ত কেউ থামেও না অপরিকল্পিত ভবন তৈরির ঝুঁকি থেকে। সার্বিক ক্ষতিগ্রস্তের পরও সংশ্লিষ্টরা নির্বাক, নিরুত্তর। কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হওয়াও বিপরীত স্রোতে যেন আলিঙ্গন করা। চৈত্র-বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসের খরতাপে আগুন লাগার যে চরম সময় সেটা জানা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবিধানে কেন এত ধীরগতি? তেমন প্রশ্নের উত্তর মেলাও ভার। সাজ সাজ রবে যেভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হলো অগ্নি দুর্বিপাকের যাবতীয় অসামঞ্জস্য নিরসনে তেমন সমস্বরে আওয়াজ তোলা বাঞ্ছনীয়। শুধু দৃশ্যমান উন্নয়ন কিংবা উৎসব আয়োজনের সাড়ম্বর।
পরিস্থিতির ধারেকাছে যে সমূহ বিপর্যয় সেখানে জোরালোভাবে প্রতিবাদ-প্রতিবিধানের শক্ত দাবি তোলাও সময়ের চাহিদা। খরতাপে যেন দগ্ধ বৈশাখ মাস। ঝড়-ঝাপটা আর কালবৈশাখীর দাপটেও স্বস্তি থাকার কথা নয়। তেমন দুঃসহ সময়কেও সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনায় সংশ্লিষ্টদের জন্য সহনীয় করে তোলা বিশেষ দায়বদ্ধতা।
গত বছর আমরা ১ বৈশাখ উদ্্যাপন করি পবিত্র রমজান মাসে। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরপরই বাংলা নববর্ষ আমাদের ঐতিহ্যিক দ্যোতনার মহাসাড়ম্বর।
গ্রামনির্ভর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বৈশাখী আমেজে সর্ববিধ অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পন্ন করার দৃশ্য উঠে এসেছে। ১ বৈশাখের যে পান্তা ইলিশ সেটাই গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর প্রতিদিনের স্বাভাবিক আহারের সংস্থান। আবার যেখানে পান্তা অবধারিত সেখানে নিত্য সমস্যাসংকুল মানুষের পাতে ইলিশ থাকে না। সেখানে পোড়া শুকনো ও কাঁচা মরিচের ভর্তা পেঁয়াজ দিয়ে মাখানো পদই প্রতিদিনের আহার সামগ্রীর বিশেষ উপাদান। তাই বলাইবাহুল্য, যা দিয়ে উৎসব আয়োজন সেটাই গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে নিত্য আহার সংস্থান।
তেমন ঐতিহ্যিক ও চিরায়ত বৈশাখ আসে প্রতি বছর তার সর্ববিধ আবেদন আর বৈশিষ্ট্য নিয়ে। কোলের সন্তানদের মাতিয়ে দেয় নববর্ষের উৎসব আর আনন্দে। আবার প্রকৃতি আর প্রতিবেশের অবধারিত নিয়মে তেমন আহার সংযোগ প্রতিদিনের খাদ্যসংস্থানও তো বটেই। অবিমিশ্র এক অপরূপ মেলবন্ধন আজও শাশ্বত বাংলাকে তার স্বরূপ আর মহিমান্বিত কর্মযোগে আবিষ্ট করে রেখেছে। বৈশাখের জৌলুস যা প্রাণিত করে বাঙালিকে তেমন সম্ভার সারা বাংলার পুরো বছরের নিত্যনৈমিত্তিক আয়োজন। সত্যিই বিস্ময়কর ব্যাপার- অনুষ্ঠান আয়োজনের আনন্দের সঙ্গে মিলেমিশে একাত্ম হয় নিত্য জীবনযাপনের অবধারিত আহার সংস্কৃতি।
লেখক : সাংবাদিক