ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২৮ নভেম্বর ২০২২

ঢাকার দিনরাত

ফিফা র‌্যাংকিং-এ বাংলাদেশ ১৯২তম অবস্থানে

শীতে সিওপিডি (ফুসফুসের রোগ) রোগীদের ভোগান্তি বাড়ে। শীতে তাই তাদের সতর্ক থাকতে হয়, জীবনধারা বদলে নিতে হয়। ঢাকায় শীতের বাতাস অনেকটাই দূষিত হয়ে পড়ে। ডাক্তাররা খোলা বাতাসে কম বেরুনোর কথা বলেন। কয়েক বছর আগে ঢাকা শিশু হাসপাতাল ঢাকার ১১টি এলাকায় পাঁচ শতাধিক মানুষের ওপর একটি গবেষণা চালিয়ে ফুসফুসের অসুস্থতা ব্যাপক হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। ফুসফুসের সক্রিয়তা বা পিএফটি (পালমোনারি ফাংশন টেস্ট) পরীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকার ২৩.৪৭ শতাংশ মানুষ ফুসফুসের কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। এত দিনে এই হার নিশ্চয়ই আরও বেড়েছে। জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন ৪৫০ থেকে ৫০০ রোগী তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। বেশিরভাগই অ্যাজমা ও সিওপিডিতে আক্রান্ত।

বিশ্বকাপ ফুটবল মৌসুমে রাজধানীর রূপ

খেলা হচ্ছে কাতারের দারুণ সব স্টেডিয়ামে। সেসব খেলায় বিভিন্ন দেশের ফুটবলভক্তরা কিভাবে উৎসব উদযাপন করছেন তার আংশিক ছবি টিভির পর্দায় দেখে বেশ খানিকটা আঁচ করে নিতে পারছেন ঢাকাসহ দেশের দর্শকেরা। কাতারের মাঠগুলোয় বিশ^কাপ ফুটবলের খেলা দেখতে লড়াইরত দেশগুলোর নাগরিকরা উপস্থিত থাকছেন। আর আমাদের দেশে টিভি পর্দার সামনে প্রধানত ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা- এই দুটি ফুটবল দলের সমর্থকরাই বসছেন। যদিও তাতে উৎসবে সামান্যতম ভাটা পড়ছে না।

বিশেষ করে রাত একটার খেলাগুলোই বিপুল দর্শক সমাগমে প্রাণপ্রাচুর্যময় ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে। খেলা শুরুর আগেই প্রিয় দলের জার্সি গায়ে জড়াচ্ছেন বহুজন, সে ঘরে-বাইরে যেখানেই হাক। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের একটি করে ম্যাচ বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতেই শুরু হয়েছে। আমার বয়সী আরামপ্রিয় মানুষেরা ঘরের ভেতরেই খেলা দেখতে স্বস্তি বোধ করেন বেশি। কিন্তু আমাদেরও ইচ্ছে করে রাত একটায় ঘরের বাইরে বিশাল কোনো পর্দার সামনে বসে খেলা উপভোগ করতে।
ব্রাজিলের খেলার দিন এমন একটা আমন্ত্রণও পেয়েছিলাম আমরা ক’জন বন্ধু। নুজহাত-পারভেজ দম্পতি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ ও ইনডোর মিলিয়ে গুলশানে নতুন একটি অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া ফেরত তাদের এক বন্ধুর উদ্যোগে। অস্ট্রেলিয়া থেকেই স্থাপত্য-পরিকল্পনাটি পেয়েছেন তিনি। রেস্তোরাঁটি উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কিন্তু তার আগেই বন্ধুদের সঙ্গে খেলা দেখার ব্যবস্থা নেয়া হয়, সেই সঙ্গে আপ্যায়ন করা হয় ওখানকারই কিচেনে তৈরি নানা উপাদেয় খাবার দিয়ে। জমজমাট ব্যাপার-স্যাপার।

বলাবাহুল্য দুয়েকজন বাদে সবাই ব্রাজিলেরই সমর্থক। ফলে আর্জেন্টিনার সংখ্যালঘু দর্শক মজার মজার তীর্যক মন্তব্যের শিকার হলেন। এটাও বিশ^কাপের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, বাড়তি আনন্দও। বলতেই হবে গুলশান-বনানীর রেস্টুরেন্ট ছাড়াও ঢাকার বেশ কিছু অঞ্চলে উন্মুক্ত স্থানেও বড় পর্দায়ে দর্শকেরা খেলা উপভোগ করছেন।
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা দলের সমর্থকরা যেমন ভালোবেসে সাদা-আকাশী রঙের জার্সি পরেন, তেমনই আর্জেন্টিনার মানুষও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পরেন। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি আর্জেন্টিনাতেও তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। সেসব পোশাকই কিনে পরেন আর্জেন্টিনার মানুষজন। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় ৫৫ লাখ ৫ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ওভেন ও নিট পোশাক মিলে ৮৩ লাখ ৯১ হাজার ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
ফিফা র‌্যাংকিং-এ বাংলাদেশ ১৯২তম অবস্থানে। তার মানে বিশ^কাপ ফুটবল খেলায় সুযোগ পেতে আমাদের বহু বহু পথ বাকি। বাংলাদেশের ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা’ উন্মাদনা নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সব থেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে এদেশের মানুষের পছন্দের দলের পতাকা টানানোর দিকটি। বিশ্বকাপ এলেই কিভাবে বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকা টানায় তার বর্ণনা রয়েছে সেখানে। বাড়ির ছাদ, বারান্দা এমনকি সেতুতেও এই দুই দেশের পতাকা আঁকা হয়েছে। বাংলাদেশিরা বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নিয়ে তর্কে মেতে থাকে। কখনও কখনও সেটি পাথর ছোড়াছুঁড়িতেও রূপ নেয় বলে লিখেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে এত সব ঘটনা ঘটছে এমন একটি দেশে, যার রাজধানী রিও ডি জেনিরো থেকে সাড়ে নয় হাজার মাইল ও বুয়েন্স আয়ার্স থেকে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মাইল দূরে। এমন একটি দেশে ফুটবল নিয়ে এই উত্তেজনা, যেটিকে ক্রিকেটপাগল দেশ বলে মনে করা হয়। এমনকি এদেশের বেশিরভাগ মানুষেরই তার জীবনে কোনো আর্জেন্টাইন বা ব্রাজিলীয়র সঙ্গে দেখা হয়নি। ঢাকায় বসবাসকারী এক ব্রাজিল-ভক্তের মতে, এটি উন্মাদনা! আপনি যদি সত্যিই একে এক কথায় বলতে চান, তবে এটি এমন এক উন্মাদনা, যা গোটা দেশকে জাগিয়ে তোলে। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ব্রাজিল সাত গোল খাওয়ার পর ব্রাজিল-ভক্তদের ‘সেভেন আপ’ বলে ক্ষেপানোর প্রবণতার কথাও উঠে এসেছে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে।

আর্জেন্টিনার ফ্যানরা তখন দোকানে গিয়ে সেভেন আপ কেনা শুরু করে এবং ব্রাজিল ফ্যানদের সামনে দাঁড়িয়ে তা খেয়ে তাদেরকে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করে। মানুষ যখন রঙিন টেলিভিশন কিনতে শুরু করে তখনই তারা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার রং বেরঙের জার্সি পরা খেলোয়াড়দের দেখতে শুরু করে। আর সেসময়ই মানুষ এই দুই দলের ভক্ত হতে শুরু করে। তবে এ ক্ষেত্রে ডিয়েগো ম্যারাডোনার কথা আলাদা করে না বললেই নয়।
গণমাধ্যম থেকেই জানলাম জয়ে পুরান ঢাকায় ব্রাজিল সমর্থকরা বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস করেছেন। দফায় দফায় কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল করেছে। বাহাদুর শাহ পার্ক, কবি নজরুল কলেজসহ পুরান ঢাকার অলিগলিতে বড় পর্দায় হাজারো দর্শকের সমাগমে ব্রাজিলের খেলা দেখানো হয়েছে। ব্রাজিলের জয়ে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে খিচুড়ির আয়োজনও করা হয়। এছাড়া ওই কলেজ সাংবাদিক সমিতির ব্রাজিল সমর্থিত সদস্যরা খাসি জবাইয়ের ঘোষণাও দেন।
মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদের সৌজন্যে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহযোগিতায় এবারের বিশ্বকাপের সব খেলা দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় দুটি ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে একটি ডিজিটাল স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও তার আশপাশেও আছে খেলা দেখার ব্যবস্থা। পছন্দের দলের খেলা দেখতে রোজই ক্যাম্পাসে ভিড় জমছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকছেন ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও।

বিক্ষিপ্তভাবে ও দল বেঁধে ক্যাম্পাস এলাকায় খেলা দেখতে আসেন হাজারো মানুষ। কেউ আসেন সপরিবার, কেউ বন্ধুদের নিয়ে। নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী, মধ্যবয়স্ক-সব পর্যায়ের মানুষই আসছেন খেলা দেখতে। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে আসছে শিশুরাও। রাত ১২টার মধ্যেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে টিএসসিসহ ক্যাম্পাস এলাকা।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে খেলার সময়ে জনসমুদ্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বিদেশে থাকা আমার এক চিকিৎসক-শিক্ষক বন্ধু লিখেছেন, ‘লক্ষ্য করুন এখানে আক্ষরিক অর্থেই ছাত্র ও ছাত্রীরা আছে, এরকম সুশৃঙ্খলভাবে ফুটবল খেলা দেখছে। আমি তো মনে করি যে পরিমাণ গোঁড়ামিতে ছেয়ে যাচ্ছে দেশ এটা তার বিপরীতে এক সামাজিক, ধনাত্মক বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। আমরা গর্ব করে বলতে পারি ভিড়ের মধ্যেও তোমার পাশের বান্ধবী বা বোন নিরাপদ তোমাদের কাছে! এটা বিশাল ধনাত্মক (ইতিবাচক) অর্জন।

একজন শিক্ষক হিসেবে আমি বরং ছাত্রছাত্রীদের সমালোচনা না করে বলব, তোমাদের এই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান অক্ষুণœ থাকুক। তোমাদের এই ঐক্য ও শৃঙ্খলা যেন ঘুষ, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, বাকস্বাধীনতারোধ, জঙ্গিবাদ এরকম নানাবিধ সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমুন্নত থাকে। জয় হোক সুস্থ বিনোদনের ও সামাজিক অঙ্গীকারের!’
প্রসঙ্গত বলছি,  শুক্রবার বেশ অনেকটা রাতেই বারিধারা থেকে আমরা চার বন্ধুতে বেরিয়েছিলাম কফি খাওয়ার জন্য। আগের দিনই রাত তিনটার পরে যে-কফিশপের বাইরের প্রাঙ্গণেও (ওই কফিশপে খেলা দেখার পর ব্রাজিল সমর্থকরা দাঁড়িয়ে খুশিমনে আড্ডা জমিয়েছিলেন) দারুণ ভিড় দেখেছি, সেই কফিশপ যেন শীতনিদ্রামগ্ন। এমনকি, অবাক কা- আমাদের প্রবেশে করতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে ভেতরে ম্যানেজারকে ফোন করা হলেও অনুমতি মিলল না।

কেননা অনেক আগেই কফি মেশিনগুলো বন্ধ করে দিয়ে ক্লিনিং চলছে। অগত্যা কাছাকাছি একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম। সেখানে প্রোজেক্টারে বড় পর্দায় ইংল্যান্ড-আমেরিকার ফুটবল-যুদ্ধ চলছে। কিন্তু তার দর্শক হলাম কেবল আমরা চারজনাই! এই ছোট একটা ঘটনা থেকে বোঝা যায় ঘরের বাইরে গিয়ে বড় পর্দায় হৈ-হুল্লোড় করে খেলা ঢাকাবাসী দেখছে শুধু আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলেরই খেলা, সে যে কোনো দলের সঙ্গেই হোক না কেন।
বিশ^কাপ ফুটবল চলাকালীন ঢাকার রূপবদল ঘটে কিছুটা, রাতগুলো হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। আর ঘরে গৃহিণীদের কেমন কর্মব্যস্ততা যায়, সেটিও বলা দরকার। এ নিয়ে সামনের শুক্রবার ফিচার থাকছে জনকণ্ঠের ‘অপরাজিতা’ পাতায়।

প্রাকৃতিক শোভাময় পূর্বাচল

নাগরিক একঘেয়েমি কাটাতে ঢাকার আশেপাশে একটু প্রকৃতিসম্মত নৈসর্গিক শোভাম-িত খোলামেলা জায়গায় বেড়াতে চাইলে পূর্বাচল হতে পারে উত্তম পছন্দ। ছুটির দিন শুক্রবার দুপুরে না খেয়ে একটু খিদে পেটে বিকেলবেলা পূর্বাচলে গেলে ওখানে বিলের রকমারি টাটকা মাছ, ক্ষেতের শাকসব্জি, হাঁসের মাংস আর দুই ধরনের শুঁটকি দিয়ে ভরপেট ভাত খেলে পূর্বাচল যাওয়াটা মন্দ মনে হবে না। আমাদেরও হয়নি। পূর্বাচল প্রকল্পে ইতোমধ্যে প্লটের অবস্থান নির্ণয়, রাস্তাঘাট নির্মাণ, নয়নাভিরাম লেক তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ৬ হাজার ১৫০ একর জমির এ প্রকল্প এলাকা অনেকটা নির্জন ও খোলামেলা।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ৩০০ ফুট সড়ক, মেহেদী ফুড কোর্ট, নীলা মার্কেটসহ পূর্বাচলের বিভিন্ন খোলা জায়গায় লোকজনের ভিড় দেখা যায়। এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী বেড়াতে আসেন। তাদের ভোজন চাহিদা মেটাতে অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন সেক্টর ও ৩শ’ ফুট সড়কের আশপাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক খাবার হোটেল। এসব হোটেলের অনেকগুলোই ছন, বাঁশ ও টিন দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। ফটোসেশনের জন্য উপযুক্ত স্থান। পূর্বাচলের বিভিন্ন মোড়ে ছোট ছোট বাজারের মতো বসতেও দেখা যায়। ঘোরাফেরা শেষে সেই বাজার থেকে সবজি, গরুর দুধ, ডিম, ফলসহ নানা পণ্য কিনেও মানুষজন বাড়িতে ফেরে।

মেসিকে নিয়ে বই

শনিবার মধ্যরাতে মেসি-ম্যাজিকে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। রবিবার সকালে অফিসে এসে টেবিলে পেলাম লিওনেল আন্দ্রেস মেসিকে নিয়ে লেখা বই ‘মেসি!’, রচয়িতা প্রকাশনীর প্রকাশক কবি লুৎফুল হোসেন বইটি পাঠিয়েছেন। সদ্য ছাপাখানা থেকে বাঁধাই হয়ে এসেছে ‘মেসি’। আর্ট পেপারে ছাপা সর্ম্পূণ রঙিন অনবদ্য প্রকাশনা। প্রধানত মেসি-অ্যালবাম হলেও মেসিকে নিয়ে কৌতূহল-জাগানো বিচিত্র তথ্যের সমাবেশ ঘটেছে বইয়ে। লেখক মিরাজুল ইসলাম চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক হলেও লেখালেখিই তার প্যাশন। রীতিমতো পড়ালেখা করে খেটেখুটে তথ্য সংগ্রহ করে আকর্ষণীয় আঙ্গিকেই লিখেছেন এই বই।

মেসির জীবনের নানা দিক, মজার মজার সব তথ্য রয়েছে বইয়ে। আরও আছে ফুটবল খেলার আদি ইতিহাস, আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাস ইত্যাদি। ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছে পাঠক সমাবেশ ও বাতিঘর ছাড়াও বনানীর দি রিডিং ক্যাফে, উত্তরার রাগা আর্ট ক্যাফে ও লা-মিরচি এবং কাঁটাবনে কনকর্ড এম্পোরিয়াম বইয়ের মার্কেটে। অনলাইনেও মিলবে।

২৭ নভেম্বর, ২০২২
[email protected]

×