
অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এই অধ্যায়ের মূল ও প্রাধান্যপ্রাপ্ত কাজ হচ্ছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করা।
দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব জানান, সকালে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে নির্বাচন আয়োজন, প্রশাসনিক প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রেস সচিব জানান, নির্বাচন কমিশনকে ইতোমধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারিতে, রমজানের আগে, ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রশাসনে পরিবর্তন আনার বিষয়ে তিনি জানান, এসপি ও ওসিদের নিয়োগে লটারিভিত্তিক পদ্ধতি চালু হচ্ছে। ডিসি নিয়োগের বিষয়েও আলোচনা চলছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানানো হবে।
নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা জোরদারে আনসার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। সেনাবাহিনী সদস্য সংখ্যা ৬০ হাজার থেকে আরও বাড়ানোর সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। সরকারের পক্ষ থেকে দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে, যতদিন না নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং রোজার আগেই নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনায় বেশিরভাগ দল ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। সামনে আরও সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
আফরোজা