
ছবি: জনকণ্ঠ
আজ ১৬ জুলাই, ২০২৫ বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সঙ্গে ইউনাইটেড ফর দ্য ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সেস (UVED)-এর একটি প্রতিনিধিদলের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে UVED প্রতিনিধি দল জানায়, শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম হওয়া প্রায় ৩,৫০০ নাগরিকের মধ্যে অনেকেই আজও নিখোঁজ। যারা ফিরে এসেছেন, তাঁরা রয়েছেন চরম শারীরিক, মানসিক ও আর্থ-সামাজিক সংকটে। এই প্রেক্ষাপটে গুমকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি স্বাধীন আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।
UVED-এর পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রধান দাবিসমূহ ছিল: নিখোঁজদের ভাগ্য ও অবস্থান নির্ধারণে কার্যকর ও স্বচ্ছ তদন্ত পদ্ধতি গ্রহণ। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের আওতায় বিচার। ভুক্তভোগী পরিবারদের মনোসামাজিক সহায়তা ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসন। একটি নতুন সহায়তামূলক ফাউন্ডেশন গঠন। রাষ্ট্রীয় খরচে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের মাধ্যমে আইনি সহায়তা।
“নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (প্রতিরোধ) আইন, ২০১৩” বাস্তবায়ন। র্যাব বিলুপ্তি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বাতিল। জাতিসংঘের সহযোগিতায় এসব দাবি বাস্তবায়নের উদ্যোগ। UVED-এর পক্ষ থেকে প্রায় ২০০ গুম হওয়া ব্যক্তির একটি তালিকা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাশাপাশি গুম সংস্কৃতি নির্মূলে একটি সুপরিকল্পিত প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।
বৈঠকে UVED প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও UVED আহ্বায়ক মারুফ জামান (Zaman M Zaman)। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন UVED-এর সদস্য সচিব হুমায়ুন কবীর, সদস্য ইকবাল চৌধুরী, নাসরিন জাহান স্মৃতি এবং জাহিদ হাসান।
অ্যাটর্নি জেনারেলকে দাপ্তরিক সহায়তা করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট কাজী তামান্না ফেরদৌস।
বৈঠক শেষে UVED আশাবাদ ব্যক্ত করে যে, রাষ্ট্র এবার দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে নিখোঁজদের ভাগ্য উন্মোচন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।
সাব্বির