ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

ইন্ডিয়া টুডে

ময়মনসিংহে ভাঙা বাড়ি নিয়ে গুজব, প্রশাসন বলছে, বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটা নয়

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৫:৫৯, ১৭ জুলাই ২০২৫

ময়মনসিংহে ভাঙা বাড়ি নিয়ে গুজব, প্রশাসন বলছে, বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটা নয়

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ময়মনসিংহে যেসব সংবাদে দাবি করা হচ্ছিল যে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে, সেই দাবি ভুল প্রমাণিত হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে ছড়িয়ে পড়া বিভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম বুধবার ইন্ডিয়া টুডে কে নিশ্চিত করেছেন যে, ভাঙা বাড়িটির সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের কোনো সম্পর্ক নেই।

 

 

তিনি বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন বিস্তারিতভাবে যাচাই-বাছাই করার পর সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে উক্ত ভাঙা বাড়িটি সত্যজিৎ রায় বা তাঁর পরিবারের কোনো সম্পত্তি ছিল না। সরকারি রেকর্ড, ঐতিহাসিক নথি ও প্রবীণদের সাক্ষ্য অনুযায়ী এ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “বাড়িটি এক সময় ময়মনসিংহ শিশু একাডেমির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। অনেক বছর ধরে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল এবং জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। সত্যজিৎ রায়ের প্রকৃত পৈতৃক ভিটা ‘দুর্লভ হাউস’ এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।”

এর আগে গত মঙ্গলবার ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে *সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে, যা নিয়ে ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এবং ঐতিহাসিক ওই স্থাপনাটি সংস্কারের জন্য সহায়তার প্রস্তাব দেয়।

এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) এক বার্তায় লেখেন, “মিডিয়ার সূত্রে জানতে পারি, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। রায় পরিবার বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অগ্রদূত।”

 

 

জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, পুরনো ও পরিত্যক্ত ওই ভবনের স্থানে আধা-কংক্রিটের একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে শিশু একাডেমির কার্যক্রম আবার শুরু করার পরিকল্পনা* নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “নতুন ভবন নির্মাণ শেষে শিশুদের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ড আবারও চালু করা হবে।”


ভাঙা ভবনটি নিয়ে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের একাধিক মহলের উদ্বেগ তৈরি হলেও, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে খণ্ডন করা হয়েছে। প্রশাসনের ব্যাখ্যায় উঠে এসেছে যে, সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি এখনও অক্ষত রয়েছে এবং ভাঙা ভবনটির সঙ্গে তাঁর পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই।

ছামিয়া

×